ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

নাকফুল

হিরা সাবিয়া সুলতানা

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নাকফুল

বাড়ির আয়োজন দেখে নিলুফা বিচলিত,ওর মনে বিদ্যুত খেলে যায়। আজ বিয়ে তাও আবার ওরই। বিয়ের মানে কী ও বোঝে না। ফুলের উপরে কেবলই ভ্রমর এসে বসছে। গ্রামের অতিচঞ্চল লোকেরা মশকরা করে নিলুফাকে বলেন, ‘ফা জানিস আজ তোর বিয়া’। নিলুফাকে গ্রামবাসী ফা বলেই ডাকে। আর ফা বলার একটা কারণও আছে, নিলুফার সামনের পাটির দাঁতগুলো একটু চওড়া তাই মুখটা একটু হা করে থাকে। নিলুফা কিছুদিন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েও গেছে। গায়-গতরে এই যা একটু উছলে উঠেছে। বাবা দবির। মেয়ের বিয়ে দেওয়া থেকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। দবির শ্রমিক। মা সাহারা। মরুভূমির মতোই উনার জীবন। দবির উপার্জন বাড়াতে না পারলেও বছর বছর সন্তান জন্ম দিয়েছে। দুই মেয়ে, দুই ছেলে। প্রথম মেয়েই নিলুফা। বয়স যাই হোক নিলুফাকে বিয়ে দেওয়াই যেন আজ বাবা দবিরের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে।
দিনটি ছিল শুক্রবার। দিনটি নাকি গরিবদের ঈদের দিন। তাই বাবা দবিরের ইচ্ছে মেয়ের জন্য তো আর সানাই এর সুর, পার্টি করা গেলো না আর সে  সাধ্যিও নেই। গরিবদের অতো সাধ-আহ্লাদ থাকতেও নেই। তাই একটা ভালো দিনে নিলুফার বিয়ে হোক এটা বাবা হিসেবে চাওয়া। এখানে মা সাহারার কোনো কথা নেওয়া হয়নি। মেয়েদের নাকি বুদ্ধি-শুদ্ধি কম। কঠিন সিদ্ধান্ত ওরা ধড়ফড় করে নিতে জানে না। তাই সাহারা, সাহারা হয়েই থাকলেন।
নিলুফাকে বিয়ে করতে এসেছে পাশের দু গ্রাম পরের গ্রামের সংগ্রাম হোসাইনের ছেলে বিপ্লব হোসাইন। বিপ্লব কোথায় কী বিপ্লব ঘটিয়েছে তা বলা মুশকিল। আজ বিয়ে করতে এসেছে  নিলুফার জন্য শাড়ী, ব্লাউজ, লিপস্টিক, আইভ্রু, আয়না, লেসফিতা আর সাথে নাকফুল সবই কিনেছে নিজের উপার্জনের টাকা থেকে। বাবা সংগ্রাম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিয়ে করবি কর, তবে আমি এক টাকাও খরচ করতে পারবো না। বাবা কিছু দিবেন না, তা হোক নিজের ইনকাম করা টাকাতেই সব কিনবে এবং বিয়ে করবে। পড়াশোনা এক লাইনও হয়নি। ছোটো থেকেই কাজ আর কাজ। এখন ভাড়ায় খাটানো চার্জার ভ্যান চালায়।
বিয়ে হলো নিলুফার। বিয়ের অর্থ ওর জানা নেই। আর বিয়ের পথ কতদূর যায় তাও অজানা। গ্রামের মসজিদের ইমাম সাব যখন নিলুফাকে বললেন, মা বলো কবুল। তখন নিলুফাও বলল, মা বলো কবুল। ইমাম সাবের ব্যর্থতায় নিলুফার পাশের কে যেন বলে দিল, কবুল। এই বিপর্যয় শেষ হতে না হতে ফকফকে আকাশে বিপর্যয়ের কালো মেঘ এলো। বিপ্লবের নিয়ে আসা নাকফুল নিলুফার নাকে নেই। নিলুফার নাক ফোঁড়ানো নেই তো ফুল বসবে কী করে! চারদিক হট্টগোল বাধল। এখন কী হবে। কেউ একজন বলল, ‘মেয়ের বিয়া দিবা আর নাক ফোঁড়াও নি এইডা কেমন হলো মিয়া।’ এমন কথায় দবিরের নাক কাটা গেল। কথার ফোঁড়ন অসহ্য লাগছিল নিলুফার। চিৎকার দিল। বলল, ‘বিয়া করমু না। ভালা লাগতাছে না বিয়া।’ ওর কথায় সবাই অট্টহেসে গোটাবাড়ি ঝলমলে করে দিল। বরপক্ষ থেকে কথা এলো, এ বিয়ে হচ্ছে না।’ কে বলেছে হচ্ছে না। হচ্ছে অবশ্যই তবে নিলুফার নাক ফোঁড়াবার পরে। নাকফুল নাকি স্বামীর এক দৃশ্যমান বন্ধন। নাকফুল পরিয়েই তবেই নাকি বিয়ে করবে বিপ্লব। বরের এ এক কথায় চারিদিক প্রশংসার ঢলে ঢল নামল। দবির হবু জামাই বিপ্লবের দিকে তাকালেন, ডান হাত দিয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললেন, ‘তো বাবাজি, বিয়া হওনের পর নাকফুলডা পরনেতে কোনো অসুবিধা নাই।’ শ্বশুরের কথার তোড় বিপ্লবের কানে পৌঁছল কিন্তু মন অব্ধি গড়ালো না। বিপ্লব বলল, ‘না, তা হইবো না। আগে নিলুফার নাকে নাকফুল যাইবো তয় বিবাহ হইব, নচেৎ নয়।’ বেশি কথা বললে করিৎকর্মা ছেলে হাতছাড়া হবার ভয়ে কথার সীমান্ত রচিত হলো।
টানা পনেরো  দিন পর বিপ্লব সকল বিপ্লবের অবসান ঘটিয়ে নিলুফাকে মেঘ ভাঙা রোদ হিসেবে নিয়ে আসল। নিলুফা বিয়ের অর্থ ঠিকভাবে না বুঝলেও বাবা-মা যে ওকে  বিপ্লবের সাথে থাকবার সঠিক ব্যবস্থা করে দিয়েছে তা বোঝে। বিপ্লব ভালোবাসায় ফেটে পড়েছে। এই জেরে ও জোরে মনের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে বেশ কটা দিন থেকে অটোরিক্সা চালাতে যেতে পারেনি। বিয়ের মতো আধ্যাত্মিক ও রোমান্টিক কাজ করতে পেরে বিপ্লব খুশি হলেও জমানো টাকা শেষের পথে। বসে খেলে তো রাজার ভাণ্ডারও একদিন শেষ হয়ে যায়। বিপ্লব বিয়ের চারদিনের মাথায় ভাড়ায় চালিত অটোরিক্সা চালাতে বের হলো। সকালের হাওয়া বেশ ভেজা ভেজা। হেমন্তের শিশির যেন গোটা আকাশটাকে বিস্তার করে ফেলেছে। সূর্যটাও জাগছে না। জাগলেও কুয়াশা জাপটে ধরে আছে। নিলুফা এ পরিবারে এসে বুঝেছে বিপ্লব ওর স্বামী। স্বামী যা বলে সেভাবেই চলতে হয়।
দশ মাস পরের ঘটনা। নিলুফা সন্তান সম্ভবা হয়। দারুণ অস্বস্তিতে ওর সময় যায়। সেদিনই প্রথম নিলুফাকে বিপ্লব ফা বলে ডাকে। নিলুফার মনে ও মননে পা টিপে টিপে হাঁটার মতো বাবা-মার স্পর্শ অনুভব করল। নিলুফা এমনি কম কথা বলে। কিন্তু সেদিন কী যে এক আবেগ উছলে উঠল  বোঝা গেল, জানা গেল না। হুড়মুড় করে বলল, ‘হুনতাছেন মনটা বাপজানের জন্য খচখচ করতাছে। হামারে লইয়া চলেন।’ বিপ্লব নিরিবিলি হয়ে বলল, ‘যামুনে।’  বলেই ঘরের দরজা টেনে একটু ফাঁকা করে চলে গেল। নিলুফার দেহ ভারবাহী হয়ে গেছে, অঙ্গে অঙ্গে মা হবার সকল চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মা-বাবা আর ছেটো ভাইবোনদের জন্য মন  পোড়ে। ওদের কথা ভাবতে ভাবতে ভেতরটা মনে হয় প্রদীপের আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে আর সেই প্রদীপ তার আলোর রোখে ভেতরটাও পুড়াচ্ছে। পুড়পুড় করে পুড়ছে এ পুড়বার গন্ধ নেই শুধু চোখ দিয়ে কফোঁটা অশ্রু বিছানায় পড়ল। নিলুফার এখন এমন অবস্থা যে একা একা হাঁটতে ভয় হয়, বসে থাকলেও মাথা ঘোরায়। বমি হবার ভাব আসে শুধু ওয়াক্ ওয়াক্ শব্দ হয় বমি হয় না। শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে, কিছানায় এপাশ-ওপাশ হয়ে সময় কাটানো ছাড়া নিলুফার কোনো উপায় নেই। দরজায় ছিটকানি নাড়িয়ে এলেন শাশুড়ি। বললেন, কী করো গো? এহুন শরীরডা ক্যামন লাগতাছে?’ হামার কোমরের ব্যাথাডাও বাড়ছে গো।” নিলুফা তখন থকথকে কাদার মতো বিছানার সাথে লেপটে শুয়ে আছে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঢক ঢক করে পানি পান করবার মতো জোরালো শব্দের বৃষ্টির বোল। বিপ্লব এলো। সকাল থেকেই ওর মনটা দুর্বহ শঙ্কায় আচ্ছন্ন। বৃষ্টিতে ভিজে জবজবে। মাথার পানি গামছা দিয়ে মুছতে মুছতে বলল, ‘মা এহানে আছো ভালা করছো। রাত থ্যেইকাই তো ফা এর অসুখডা বাইরা গ্যাছে।’ কথারা যৌবনের ক্ষিপ্রতায় ছুটে গেল। বিপ্লবের মা জোসনা বেগমের সমস্ত শরীর জ্বলতে লাগল। ছেলে মায়ের কথা না বলে বৌয়ের কথা বলছে। শাশুড়ি কী বলবে তা ভাবতে ভয়ে তার বুক শুকিয়ে গেল। কথা ছেড়ে দিয়েও বিপ্লব বুঝেছে মা দুরন্ত ক্রোধে ফেটে পড়বে। কিন্তু না, মায়ের কাছ থেকে কোনো কৈফিয়ত বা জ্বালাময়ী কোনো কথা বের হলো না। জোসনা বেগম বাদ-প্রতিবাদহীন জোছনার মতো বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা বিলাতে লাগলেন । বললেন, ‘বিপ্লব আইছো বাজান। বৌডারে একবার ডাক্তোরের কাছোত লইয়া যাওনের প্রয়োজন। ছাওয়াল হওনের আগে মাইয়াগো কতো অসুখ-বিসুখ আইসা ভর করে। তুই হওনের সময় হামারও অসুখের কমতি আছিলো না। কালই লইয়া যায়ও। হামার ভালা ঠেকতাছে না।’ মা কথা বলেই একদণ্ড ঘরে দাঁড়ালেন না। নিজের ঘরে গেলেন। নিলুফার শরীরে অস্বস্তি বাড়ছে। এ রাতেই কিছু হয়ে যেতে পারে। মায়ের কথা শুনে বিপ্লব খুশি হলো নাকি বেজার হলো বোঝা গেল না। মায়ের কথার  উত্তরও দিল না। ভেজা কাপড় এ ফাঁকে পরিবর্তনও করেছে। বিপ্লব এইবার নিলুফার দিকে তাকালো। নিলুফার মুখ অন্ধকারে ডুবে গেছে। বলল, ‘ফা তোমার খারাপ লাগতাছে? কাল তোমারে ডাক্তোরের কাছে নিমুনি।’ অন্যসময়  হলে নিলুফা ঢক্ ঢক্ করে পানি গেলার মতো কথাও গিলে খেত। কিন্তু এখন তার মানসিক যন্ত্রণার চেয়ে শরীরের যন্ত্রণা বেশি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ পেছনে যায় না, যায় সামনে। নিলুফা বলল, ‘ হামি আর যন্ত্রণার সাথে পারতাছি না; মনে হয় মইরা যামু, কিছু একটা করেন।’ নিলুফার কথার ভাব এর আগে এরকম শোনেনি কখনো বিপ্লব। নিলুফার আনত দৃষ্টি এবার বিপ্লবের মুখোমুখী। বিপ্লব ঘাড়ের গামছাটা হাতে তুলে মুখটা বারবার মুছছে। নিলুফা এ ধরনের কাণ্ড কখনো করে না। তবে কী নিলুফার কষ্টের ভার ওর কাছে কিছুটা গেছে নাকি আগত সন্তান আসবে নাকি আসবে না সে এক অজানা আশঙ্কায় তা বোঝা গেলো না। বুকের ভেতর ধকধক করছে। বাইরে বৃষ্টিরা থামবার অবকাশ পেয়েছে। রাতও চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে রাতজাগা পাখি ও অন্যান্য প্রাণিগুলো ডেকে জড়ো করেছে। সরগরম রাত মানেই ভয় আর ভয়। এদিকে নিলুফা কথা বলা বন্ধ করেছে। বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে আছে। বিপ্লব ‘মা’ বলে এক চিৎকার দিল। বাবা সংগ্রামও মুখ বাড়িয়ে চমকে গেলেন। বিপ্লব অটোরিক্সা বের করে নিলুফাকে পাঁজাকোলা করে তুলে মায়ের পাশে বসিয়ে দিল। দ্রুত কমিউনিটি ক্লিনিকে নিল। সেখানে কোনো ডাক্তার খুঁজে পাওয়া গেল না। তবে আছে নার্স আর কজন ইন্টার্নি। তড়িঘড়ি করে সব ব্যবস্থা হলো। রাতেই নাকি অপারেশন করতে হবে। হেড ডক্টর ইতোমধ্যেই এসেছেন। বললেন, ‘রুগির অবস্থা খারাপ। আর এমতাবস্থায় দুজনকে বাঁচানো সম্ভব নয়। আপনাদেরকে বেছে নিতে হবে মাকে বাঁচাবেন, নাকি সন্তানকে?’ ডাক্তারের কথার কোনো ছিদ্রপথ নেই। বিপ্লবের মনটা কেউ বুঝি পাক দিয়ে ধরে দুমড়ে মুচড়ে ফালাফালা করে দিচ্ছে। একদিকে সন্তান অন্যদিকে নিলুফা। নিলুফাকে অবিশ্রান্ত-অবিরল মাথা উঁচু করে মনের ভেতরে অবস্থান করতে অনুভব করল। তাই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলো না। বলল, ‘ডাক্তোর সাব্ হামার বৌডারেই বাঁচান।’ বলেই বিপ্লব অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে একবার নিলুফাকে দেখতে চাইলো কিন্তু ডাক্তার, নার্স ঠেলে তা আর সম্ভব হলো না।
 খোদা খেয়ালের বশে মা ও সন্তানকে বাঁচিয়ে দিলেন। খবর আসল অপারেশন সঠিক হয়েছে। মা ও সন্তান দুজনই ভালো আছে। একহারা দিগন্তে শব্দের পাখিরা উড়বার আগে বিপ্লব সকল শব্দের মিছিলকে নিস্তব্ধ করে দৌড় দিল সন্তান ও সন্তানের মায়ের কাছে। ডাক্তার, নার্স সবার মাঝে একই কথা এটা কী করে সম্ভব! যেখানে সন্তানই ধারণ করবার সক্ষমতা মেয়েটির পরিপূর্ণতা পায়নি সেখানে মা ও সন্তান দুজনই বহাল তবিয়তে। সাতদিন পর ওদের রিলিজ হলো। ক্লিনিকের বিল গেছে বেড়ে। বিপ্লবের পক্ষে এটা দেওয়া সম্ভব নয়। বাবা সংগ্রাম পারলেও দিবেন না। সপ্তম দিন সকালে ক্লিনিকের খরচের ফর্দ বিপ্লবের হাতে  এসে টুক করে একজন দিয়ে গেল। বিপ্লব কারো সাথে কোনো কথা না বলে বাইরে বের হলো। সারাটা দুপুর ও বিকাল কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। টাকার কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি বিপ্লব। সন্তান আর স্ত্রী দুজনেই বেঁচে আছে খুশিতে একবার আটখান হয় আবার পরক্ষণেই ক্লিনিকের বিলের কথা ভাবলেই মন দুঃসহ কঠিন বেদনায় ভারী হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় ক্লিনিকে ফিরে বিপ্লব পা টিপে টিপে নিলুফার কাছে গেল। বলল, ‘হুনছ, ট্যাহার কোনো ব্যবস্থা করবার পাননু না। কী করমু আর পারতাছি না। শ্যাষ তুমার নাকফুলডা বে”ন লাগবো। কতা দি”ি আবার তুমারে নাকফুল কিন্না দিমু।’ স্বামীর কথা শুনে নিজেকে অরক্ষিত কোনো বনে ফেলে রেখে আসার মতো মনে হলো নিলুফার। নাকে হাত দিতেই চোখের দৃষ্টিশক্তিটা বুঝি দপ্ করে নিভে যেতে চায়। নিলুফা সন্তানের দিকে তাকাল। আর্তনাদের হাহাকারেরা জটলা পাকালো মনে। নিলুফা জানে স্বামীর যে আয়-রোজগার তাতে আর কোনোদিনই সে নাকফুলের দেখা পাবে না। বিয়ের আগে কত সময় ধরে টাকা সংগ্রহ করেছে- তারপর নাকফুল কিনেছে তার হিসেব তার জানা নেই।  নাকফুল তাও আবার সোনার সেটা কখনো সে পাবে না। এটা সম্ভবও নয়। তবুও স্বামীর ইচ্ছার কাছে নিলুফার স্বপ্ন যেন  নিরর্থক হয়েও অর্থ খুঁজে পায়। নিলুফা কোনো কথা না বলে খুলে দিল স্বামীর অস্তিত্বের নাকফুলটি।

×