হঠাৎ তুমি বললে হেসে,
‘পালিয়ে যাও পালিয়ে যাও-
প্রেমের নদী, মাতাল স্রোত,
ডুবছে নাও ডুবছে নাও।’
তোমার কথা শুনবো কেনো?
ডুবছে নাও, ডুবতে দাও
কিসের ভয়? কিসের ডর!
ডুবুক যদি ডুবতে দাও।
অপেক্ষাতুর অশ্রু“
রেজাউদ্দিন স্টালিন
তাকে কখনো দেখিনি আমি
গল্প পড়েছি, শুনেছি তার অন্তর্ধান
রহস্য আর বিস্ময় দিয়ে মোড়ানো
তার হ্রস্ব জীবন
সে নাকি কথা বলতো হাজার বছর
আগের রাজকন্যাদের সাথে
আর চিনতো দৈত্য দানোর বাসর
চিনতো সে রাক্ষসের অন্তঃপুর
প্রাণ-ভোমরার কৌটা
দৈত্য এলে ঢুকে পড়তো গাছের মধ্যে
বাঘ এলে লুকিয়ে পড়তো নদীর জলে
তাকে ভালোবাসতো
প্রজাপতি আর পাখিরা
বিড়াল আর মাছেরা
মা আর ফুলেরা
তার গল্প পড়তে পড়তে
আমিও তাকে ভালোবেসেছি
এখন সবাই তাকে খুঁজি পাখ-পাখালির ভিড়ে
লুকিয়ে থাকা পরীদের হাসিতে
সব অপেক্ষাতুর মায়ের অশ্রুতে।
স্বাধীনতার শ্বাস
আবু জুবায়ের
আকাশ ভেঙে নামে ধুলো,
মাটির গহীন থেকে ওঠে প্রতিধ্বনি।
জীবনের দাগে আঁকা হয় মানচিত্র,
ঘামে ভেজে জনপদের স্মৃতি।
অস্তিত্বের মঞ্চে বাজে মৌন বীণা,
ক্ষুদ্র কণার ভেতর দানা বাঁধে প্রাচীন শপথ।
পথরেখা হয়ে ওঠে সময়ের সাক্ষী,
শুধু একটি শব্দ বাঁচিয়ে রাখে স্বপ্ন।
ফড়িং জনম
সাকিব জামাল
তবুও জাদুবাস্তবতাময় এই টুকরো জনমে
ক্ষণকালের এক ক্লান্ত ফড়িং আমি!
কখনও কখনও ডানা ভেঙে যায়,
তোমার উপেক্ষার মায়াহীন ঝড়ে।
অথচ শিশির গলে যাওয়া ভোরে-
তুমি নেচে ওঠো ঘাসফুল, আমায় ভুলে!
সূর্য, আলোটুকু তোমাকেই দেয়।
অথৈ অন্ধকার একান্ত আমার হয়ে থাকে।
৩৬ জুলাই
খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন
জুলাই আমার হাজার ভাইয়ের
রক্তে ভেজা ঢাকা
রংপুর সিটি, যাত্রাবাড়ী
রক্তে সাভার ঢাকা।
জুলাই আমার রক্তমাখা
সাইদ ভাইয়ের মুখ
স্বৈরাচারের পলায়নে
আনন্দ উৎসুক।
জুলাই আমার মুগ্ধ ভাইয়ের
বুকে গুলির ঝড়
ছাত্র-যুবক গুলির মুখেও
আন্দোলন-তৎপর।
জুলাই আমার শহীদ মারুফ
কলজে ছেঁড়া ধন
এই জুলাই যে বেঁচে থাকার
প্রকৃষ্ট ইন্ধন।
জুলাই মানে ছাত্র-যুবক
শেখ হাসিনার যম
জুলাই এলেই স্বৈরাচারের
বের হয়ে যাক দম।