অনেক সময়ই রাষ্ট্রের চিন্তাশীল মানুষ কিংবা স্বাধীনচেতা কবিদের ক্ষমতাধর শাসকগোষ্ঠী, রাজা বা শোষকদের নিষ্ঠুর বৈরিতা এবং রক্তচক্ষের মোকাবিলা করতে হয়। বাংলা সাহিত্যের বহু সুপরিচিত কবি আছেন, যাদের লেখনীর কারণে তাদেরকে শিকার হতে হয়েছে নানা অন্যায় ও জুলুমের। এমনকি অনেককে কারাবাস ভোগ করতে হয়েছে। তবুও সকল রকম শোষণের বিরুদ্ধে নির্ভীক ছিল তাদের কণ্ঠস্বর।
॥ এক ॥
সপ্তদশ শতকের প্রথম দশকে আলাওলের জন্ম। তিনি ছিলেন ফরিদপুরের ফতেয়াবাদ পরগণার জালালপুরের অধিপতি মজলিস কুতুবের একজন মন্ত্রীর পুত্র। ড. মুহম্মদ এনামুল হক চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার জোবরা গ্রামে আলাওলের জন্ম বলে মনে করেন। কিন্তু কবির নিজের উক্তি অনুসারে ফরিদপুরের জালালপুরেই তাঁর জন্ম এবং এ সিদ্ধান্তই পণ্ডিতগণ গ্রহণ করেছেন। পিতাপুত্র জলপথে পরিভ্রমণ কালে পর্তুগিজ জলদস্যু কর্তৃক আক্রান্ত হন। এর ফলে, পিতার জীবননাশ হয় এবং আলাওল আরাকানে আশ্রয়লাভ করেন। প্রথমে আরাকান রাজের অশ্বারোহী সৈন্য বিভাগে রাজদেহরক্ষী পদে আলাওল নিযুক্ত হন।সঙ্গীতনৈপুণ্য ও কবিত্বগুণের জন্য আলাওল সৈন্যবিভাগ থেকে খোদ মিন্তারের অমাত্য সভায় কবির আসনে অধিষ্ঠিত হন। অতঃপর ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে সোলেমানের আদেশে দৌলত কাজীর অসমাপ্ত সতীময়না আলাওল সম্পূর্ণ করেন। ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে সপ্তপয়করের আত্মজীবনী রচনাকালে শাহজাদা শাহ সুজার সঙ্গে কবির ঘনিষ্ঠতা হয়। সপ্তপয়করের আত্মজীবনী বৃত্তান্তের অংশে আরাকানে শাহ সুজার আশ্রয় গ্রহণের উল্লেখ আছে ‘দিল্লিশ্বর বংশ আসি/যাহার শরণে পশি/তার সম কাহার মহিমায়’ এ গ্রন্থ রচনায় কবির পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন আরাকান রাজের সমরসচিব সৈয়দ মুহাম্মদ খান। এই গ্রন্থে সংক্ষেপে অথচ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলাওল চন্দ্র-সুধার্মার রাজত্বের বর্ণনা করেছেন। রাজনামাঙ্কিত মুদ্রায় যে স্বর্ণময় রাজপ্রাসাদের উল্লেখ পাওয়া যায়, এখানে তার বর্ণনা আছে। ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে শাহ সুজা নিহত হন। ইতোমধ্যে ঘটে গেছে আলাওলের ভাগ্যবিপর্যয়। বিশ্বাসঘাতক শাহ সুজার সঙ্গে কবি আলাওলের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে রাজদরবারে মৃজা নামক এক রাজ-অনুচর কবির নামে রাজদ্রোহিতার অভিযোগ আনেন। এর ফলে, কবি পঞ্চাশ দিনের কারাবাস যন্ত্রণা ভোগ করেন। পরে অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হওয়ায় আলাওল মুক্তি পান এবং মৃজা দণ্ডিত হন। কিন্তু আলাওল রাজসভায় আর পূর্বসমাদর ফিরে পেয়েছিলেন বলে মনে হয় না। তবে পূর্বোক্ত ঘটনার এগারো বছর পর মজলিস নবরাজের সহায়তায় কবির ভাগ্যোদয় হয়েছিল বলে জানা যায়। আলাওল ১৬৭২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
॥ এক ॥
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর প্রথম গ্রন্থ অগ্নিবীণা প্রকাশের ঠিক চার সপ্তাহ পর ঔপনিবেশিক পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হন।অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয় ২৪ অক্টোবর ১৯২২। কবি গ্রেফতার হন ২৩ নভেম্বর ১৯২২। তাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২-এ। নিজের ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছিল কবিতাটা। ‘ধূমকেতু’ তখন শুধু একটা পত্রিকা নয়, একটা ঝড়। বিপ্লবীদের মধ্যে প্রবল প্রভাব এ পত্রিকার। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লেখা জ্বালাময়ী এই কবিতা বিপ্লবীদের প্রাণিত করল দারুণভাবে। কিন্তু বিদেশি শাসক ভাল চোখে দেখল না ব্যাপারটা। এমনিতে ‘ধূমকেতু’র উপর তাদের নজর ছিলই। ৮ নভেম্বর পুলিশ এলো ‘ধূমকেতু’র অফিসে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নজরুলের ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা এবং এগারো বছরের বালিকা লীলা মিত্রের ‘বিদ্রোহীর কৈফিয়ৎ’ নামের ছোট্ট প্রবন্ধটির জন্য পুলিশ ‘ধূমকেতু’র ওই তারিখের সমস্ত সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করল। নজরুলকেও ধরতে এসেছিল তারা। কিন্তু নজরুল তখন কলকাতার বাইরে। নজরুলকে পুলিশ ২৩ নভেম্বর ১৯২২ তারিখে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করল। নিয়ে এলো কলকাতায়। নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা হলো শুধু তাঁর কবিতাটার জন্যই। প্রেসিডেন্সি জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসাবে কিছু দিন থাকার পর, ১৬ জানুয়ারি ১৯২৩, নজরুলের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ হলো। পরদিন ১৭ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হিসাবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলো আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। এরপর হুগলি জেল হয়ে নজরুলকে বহরমপুর জেলে আনা হলো ওই বছরের ১৮ জুন। হুগলি জেলে নজরুল প্রথমে বিশেষ শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা পাননি, যদিও রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে তা তাঁর প্রাপ্য ছিল। হুগলি জেলে নজরুলের ৩৮ দিনের অনশন আলোড়ন তুলেছিল সারা বাংলায়। এই অনশনের পর নজরুলকে বিশেষ শ্রেণির কয়েদি হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ আসে। কিন্তু সে নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি।
সেদিক দিয়ে বহরমপুর জেল ছিল অনেকটাই অন্যরকম। এখানে তিনি বিশেষ শ্রেণির কয়েদি হিসাবেই আসেন। যদিও নজরুল এখানেও সাধারণ কয়েদিদের মতোই পোশাক পরতেন। এই জেলের পরিবেশ নজরুলকে খুশি করেছিল। জেলে থাকাকালীন মুজফফ্র আহমদকে গোপনে লেখা একটা চিঠিতে রয়েছে, বহরমপুর জেলে তাঁর ভাল থাকার কথা। সে সময় বহরমপুর জেলের সুপার ছিলেন বসন্ত ভৌমিক। বসন্তবাবু ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার প্রফুল্লকুমার সরকারের ভগ্নিপতি। নজরুলের লেখাপত্রের খোঁজ তিনি ভালই জানতেন। নজরুলের প্রতি তাঁর মনে যথেষ্ট সহানুভূতি ছিল। তিনি নজরুলকে একটা হারমোনিয়াম জোগাড় করে দিলেন। আর কবিকে কে পায়? চলল গান। জেলের ভিতরের বন্দিরা শুধু নয়, বাইরেও লোকেরা দাঁড়িয়ে নজরুলের গান শুনতে লাগল। হুগলি জেল থেকে নজরুলকে আনার কারণ ছিল, সেখানে বন্দিদের উপর নজরুলের ক্রমবর্ধমান প্রভাব। বহরমপুরে এসে বাড়ল বই কমল না। এদিকে গানের সঙ্গে কবিতা লেখাও চলছে। তাঁর সব লেখাই গোপনে চলে যাচ্ছে বাইরে।‘প্রবাসী’ সম্পাদক নজরুলের ছোট বড় যে কোনও কবিতার জন্য দশ টাকা দিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করতে লাগলেন। উল্লেখ্য, সে সময় একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কেউই কবিতার জন্য টাকা পেতেন না। এরই মধ্যে আর্য পাবলিশিং হাউস থেকে ওই ১৩২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বের হলো নজরুলের ‘দোলনচাঁপা’ কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের ১৯টি কবিতা জেলে বসেই নজরুল লেখেন। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটা বহরমপুর জেলে বসে লেখা। পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় ওয়ার্ডারদের সাহায্যে কবিতাগুলো বাইরে আনেন। ‘দোলনচাঁপা’র প্রুফ দেখা, ভূমিকা লেখার (‘দুটি কথা’ শিরোনামে) কাজও করেন পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়। বহরমপুর জেলে বসে নজরুলের সবচেয়ে বড় সাহিত্য কীর্তি সহবন্দী পূর্ণ দাসের অনুরোধে একটি নাটক লেখা।পূর্ণ দাস বাইরে গিয়ে একটি চারণ দল গঠন করবেন, সেই চারণ দলের অভিনয়ের উদ্দেশ্যে তিনি নজরুলকে একটা নাটক লিখে দেবার অনুরোধ করেন। এই নাটক লেখার কথা নজরুল বলেন, মুজফ্ফর আহমদকে চিঠিতে। অন্যান্য রচনার মতো এ রচনাও জেলের বাইরে পাচার হয়। কিন্তু তারপর এর আর হদিশ মেলে না। নাটক হারিয়ে গেলেও এই নাটকের একখানা গান কিন্তু রক্ষা পায়। সে গান এখন বিখ্যাত। ‘জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছে জুয়া। তবে বহরমপুর জেলের জীবন একেবারে নিষ্কণ্টক ছিল না। প্রিজন অ্যাক্ট ভাঙার অপরাধে নজরুলের বিরুদ্ধে এখানেই আবার একটা মামলা হলো। ওই বছরেরই ১০ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করা হলো বহরমপুরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এন কে সেনের আদালতে। এদিন বহরমপুর কবির পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য নজির স্থাপন করল ব্রজভূষণ গুপ্তের নেতৃত্বে শহরের হিন্দু মুসলমান উকিলরা কবির হয়ে লড়াই করে। পুলিশের অনুরোধে ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী মোকদ্দমার দিন পড়ল। কিন্তু সে মোকদ্দমা ১০ তারিখের কথা মনে করেই হোক বা অন্য কোনও কারণেই হোক সরকার আর চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইল না। ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেলেন নজরুল। নজরুল মেয়াদ শেষ হবার আগে মুক্তি পেয়েছিলেন এমন ভাববার কিন্তু কোনও কারণ নেই। মুজফ্ফর আহমদ তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, জেল আইন অনুসারে সে সময় মাসে তিন দিন করে রেমিশন পাওয়া যেত। সেই হিসাবে দশ মাসে তিনি ত্রিশ দিন রেমিশন পেয়ে ঠিক সময়েই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মুক্তির দিন কৃষ্ণনাথ কলেজের ছেলেরা মিছিল করে নজরুলকে নিয়ে গেলেন সায়েন্স মেসে। পরে নজরুল এসে উঠলেন নলিনাক্ষ সান্যালের বাড়িতে। এখানে সে সময় কয়েকটা দিন তিনি থেকেও গেলেন। নজরুলের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। যে কদিন তিনি এখানে ছিলেন, বহরমপুরের যুব সম্প্রদায় নজরুলের গান দিয়ে শহর মুখর করে তুলেছিল।
কবিকে দু’বার কারাবরণ করতে হয়েছিল। প্রথমবার ১৬ জানুয়ারি ১৯২৩ সালে। ১৪ এপ্রিল তিনি আলীপুর জেল থেকে কলকাতার হুগলি জেলে স্থানান্তরিত হন। তখন তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। এর কারণ ছিল ব্রিটিশ জেল সুপারের দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। হুগলি জেল সুপার মি.আর্সটেন কয়েদিদের নিপীড়নের বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতেন, যেন তারা সরকারের প্রতি অবনত হয়। কিন্তু যখন কয়েদিগণ নজরুলের নেতৃত্বে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, আর্সটেন তখন তাদের ওপর আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করেন। তখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার নজরুলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করে এই মর্মে যে, নজরুল জেল কোড ভঙ্গ করেছেন।
যখন কাজী নজরুল ইসলামের অনশন ধর্মঘট ৩৮ দিনে উপনীত হয়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেন। রবিঠাকুর একটা ছোট চিঠিতে তাঁকে অনুরোধ করেন, ‘অনশন ধর্মঘট পরিত্যাগ করো, আমাদের সাহিত্য তোমাকে দাবি করে।’ কিন্তু টেলিগ্রামটি তাঁর কাছে পৌঁছেনি। ইচ্ছাকৃতভাবে কারা কর্তৃপক্ষ টেলিগ্রামটি কবিগুরুর কাছে ফেরত পাঠায়। ৩৮ দিনের অনশনের পর কেবলমাত্র কবির শাশুড়ি বিরজা সুন্দরী দেবীর অনুরোধে তাঁর হাতে লেবুজল পান করে নজরুল অনশন ভঙ্গ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৯২৩ সালের ডিসেম্বর কবি কারামুক্ত হন। এসময় নজরুল কোর্টে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যা পরবর্তীকালে রাজবন্দীর জবানবন্দী শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
২৫ অক্টোবর, ১৯৩০। ব্রিটিশ সরকার কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ দায়ের করে এবং ৬ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে। তবে দ্বিতীয়বার তাঁকে জেলে যেতে হয়নি গান্ধী এবং আরউইনের মধ্যে চুক্তির কারণে।
॥ তিন ॥
১৯৭২ সালে আল মাহমুদ তৎকালীন গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। যে পত্রিকাটির মালিকানা ছিল জাসদের এবং সেটি সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৭৪ সালে জাসদসমর্থিত ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’-এর সম্পাদক থাকা অবস্থায় রক্ষীবাহিনী এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের সমালোচনা করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগার জীবনটা তাঁর জন্য শাপে বর হয়ে দেখা দেয়। আল মাহমুদের সম্পাদনায় তখন গণকণ্ঠ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি মনে করেন, আল মাহমুদ গণকণ্ঠের সম্পাদক থাকলেও তাঁর দলীয় কোনো পরিচয় ছিল না। রাজনৈতিক দল জাসদের প্রতি সহানুভূতি থাকলেও আল মাহমুদ কখনো সরাসরি রাজনীতিতে জড়াননি। ১৯৭৪ সালের ১৭ই মার্চ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির সামনে জাসদের উদ্যোগে ঘেরাও কর্মসূচীর ডাক দেয়া হয়। সেদিন রাতেই তৎকালীন গণকণ্ঠের সম্পাদক আল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাসদ গণকণ্ঠের মালিক ছিল বলে আল মাহমুদ ভিকটিম হলেন। এবং তিনি অনেকদিন বিনা বিচারে কারাগারে ছিলেন’।