ছবিঃ সংগৃহীত
লুইস ক্যারলের বিশ্ববিখ্যাত রচনা "এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড" পাঠকদের কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার এক অনবদ্য উপাখ্যান। ছোট্ট মেয়ে এলিসের গল্প শুরু হয় একটি সাদা খরগোশকে অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে, যা তাকে টেনে নিয়ে যায় এক অদ্ভুত ও রহস্যময় দুনিয়ায়। সেখানে এলিসের অভিজ্ঞতা আমাদের দেখায়, কল্পনা আর কৌতূহলের মিশেলে জীবন কতটা রঙিন হতে পারে।
এই বইয়ের মূল ভাবনা জীবনের অনিশ্চয়তা, কৌতূহল, এবং কল্পনার শক্তি। এলিস এক অদ্ভুত চায়ের দাওয়াতে উপস্থিত হয়, যেখানে ম্যাড হ্যাটার তাকে জিজ্ঞেস করে এক অদ্ভুত ধাঁধাঃ
"তুমি কি বলতে পারবে, টেবিল আর কাকের মধ্যে কী মিল?"
এই প্রশ্নের উত্তর কেউই দিতে পারে না, এবং ম্যাড হ্যাটার নিজেও উত্তর জানে না। এই ছোট ঘটনাটি আসলে গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বহন করে—সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া বা সবকিছু বুঝে উঠতে পারা জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। কৌতূহল ধরে রাখা এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করার আনন্দই আসল।
এলিসের প্রতিটি অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায়, অচেনা পরিবেশে নতুন কিছু শেখা এবং তা গ্রহণ করার মানসিকতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। গল্পটি শুধু শিশুদের জন্যই নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও গভীর অর্থবহ। এটি মনে করিয়ে দেয়, কল্পনার শক্তি এবং নতুনের প্রতি উদ্দীপনা আমাদের জীবনের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
"এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড" এর মতো কাহিনি আমাদেরকে দেখায়, কখনো কখনো জীবনের অদ্ভুত ঘটনাগুলোই আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষা দেয়। তাই কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া মানেই জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করা।
আসিফ