শীত ফুল
শীত শীত শীত ফুল
হিম শাখে ফোটে,
সকালের কচি হাসি
কুয়াশার ঠোঁটে।
নিচে দিয়ে কে আগুন
জ্বালিয়েছে ভাই?
ধোঁয়া ওঠা দীঘিটা তো
আস্ত কড়াই!
শীতের মেয়ে
শীতের বাড়ি পৌষ গ্যারামে
মাঘের বাড়ির পাশে,
ঘাসের বুকে জড়িয়ে ধরে
শিশির মেয়ে হাসে।
ঠাণ্ডা হাওয়া বেশ তো খুশি
পৌষ বুড়িকে পেয়ে,
হিম হিম হিম কুচি ছড়ায়
দুষ্টু শীতের মেয়ে।
পাশের গ্যারাম মাঘের বাড়ি
রঙ কুয়াশায় ঢাকা,
কিসের ভয়ে বাঘ পালানোর
হয়রে ছবি আঁকা?
শীত পিঠা
থুত্থুরে শীত বুড়ি কাঁপে
থুত্থুরে শীত বুড়ি,
ঠক ঠকা ঠক লাঠি হাতে
বয়সটা তিন কুড়ি।
বুড়ির পিঠে শীতের বোঝা
মিষ্টি রসের ঘ্রাণ,
পিঠা পুলির আয়েশে হয়
বেভুলা মন প্রাণ।
শীত পদ্য
নূর মোহাম্মদ দীন
শীত পড়েছে শহর-নগর গঞ্জে-গাঁয়ে মাঠে
ভাল্লাগে না খাওয়া-নাওয়া মন বসে না পাঠে।
শীতের বুড়ি দিচ্ছে হানা প্রাণি মানবকূলে
সুয্যিমামা রোদ ছড়াতে গেছেই বুঝি ভুলে।
ছোট-বড় হচ্ছে জড়ো বসছে আগুন জ্বেলে
গরীব-দুঃখী নয়কো সুখী শীতের সময় এলে।
ঠাণ্ডা-জাড়ে চুলার পাড়ে গোল হয়ে সব বসে
পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে মিষ্টি খেজুর রসে।
শীতের যেমন আছে ভালো আছে মন্দ ঠিক
শীতে কেহ কষ্ট না পাক চোখ রাখি চারদিক।
গুড বয়
পথিক ইদ্রিস
আম্মুটা বলে শুধু ‘ও পাড়ার সঞ্জয়
ইশকুলে গিয়ে রোজ করে সব মন জয়।
পড়ুয়ারা যেসময় ইশকুল বাটে যায়
আমাদের ইমরোজ ফুটবল মাঠে যায়!
যে হবে সে ন’বছরে পড়ে নেয় সব বই
যে হবে না সে পড়ে না- আয়ু হোক নব্বই!
বাঁদরামি মানায় কি কোনো টেন পড়ুয়ার?
আরে বাবা ভেবে দেখো; তুমি নও গরু আর!
নিয়মিত ইশকুলে যাও বাবা ইমরোজ
সুস্থতা পেতে খাও দুধ-কলা-ডিম রোজ।’
আম্মুর কথা মতো আমি নেই ঠাট্টায়-
ইশকুলে যাই ভোর সাতটা বা আটটায়।
আমাকে-ই ঘিরে সব যতো আশা মা-বাবার
পড়াশোনা নিয়ে ভাবি, আমি তাই যা ভাবার।
পড়ালেখা জীবনকে করে খুব রোশনাই
পড়ালেখা ছাড়া আজ কিচ্ছুতে জোশ নাই।
সূয্যিটা ছাড়ে আজ কী ভীষণ রোদ্দুর
মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে হবে যেনো বোধ দূর!
দরদর ঘামে ভেজা আমি এক পাবলিক
মন বলে- মুখে দিতে করি শুধু ডাব লিক!
রোদঝড় এসবের লাগে না কো মুড ভয়
ইশকুলে গিয়ে রোজ আমি হই গুড বয়।