ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ছড়া-কবিতা

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছড়া-কবিতা

বিজয় সূর্য

উৎপলকান্তি বড়ুয়া

ঢেউয়ের বুকে নদীর জলে
জোয়ার ভাটির টান,
পাখির ঠোঁটে বেজে ওঠে
বিজয় সুরের গান।

চোখের দেখা ভুল নয় তো
নয় রে মনের ভুল,
বাগান জুড়ে ফুটে আছে
বিজয় রঙের ফুল।

বুকের ভেতর স্বপ্ন বোনে
গাঁয়ের সরল চাষী,
খুকুর ঠোঁটে ঝলকে ওঠে
বিজয় রাঙা হাসি।

সবুজ জমিন মায়ের শাড়ি
প্রিয় চিরকাল,
দেশ পতাকা গর্বে আঁকা
বিজয় সূর্য লাল।


বিজয় দিবস

কোমল দাস

বললো খুকিÑ ‘বলো দাদু, বিজয় দিবস কী?
এটা নিয়ে অনেক গল্প করছে টুনি দি,
কোনোকিছুই বুঝিনি তাই এলাম তোমার কাছে
জলদি করে বলো তোমার কী কী জানা আছে।’

দাদু বলেনÑ ‘শোন দাদুভাই, অনেক বছর ধরে
পাক হানারা এদেশ শাসন করতো গায়ের জোরে,
নানানরকম অবিচারে করতো ক্ষতি তারা
যার কারণে বাঙালিরা হলো বাঁধনহারা।

তাই তো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীন করে দেশ
অনেক জীবন ঝরার পরে সে যুদ্ধ হয় শেষ,
ন’মাস যুদ্ধ করার পরে স্বাধীনতা আসে
আজও আমার সেসব ছবি চোখের সামনে ভাসে।

ডিসেম্বরের ষোল তারিখ পেয়েছিলাম জয়,
এই দিনে তাই বিজয় দিবস পালন করা হয়।’


বিজয়ের হাসি

শারমিন নাহার ঝর্ণা

বিজয় সুখে হাসছে দেখ
সবুজ বনের পাখি,
বিজয় সুখে হাসছে দেখ
মিষ্টি ছেলে রাফি।

বিজয় সুখে হাসছে দেখ
ফুলের বনে কেয়া,
বিজয় সুখে হাসছে দেখ
মিষ্টি মেয়ে খেয়া।

বিজয় সুখে হাসছে দেখ
সাদা রঙের আকাশ,
বিজয় সুখে বইছে দেখ
শান্ত শীতল বাতাস।

পেতলের চাঁদ

মোস্তফা মাহাথির

তারাদের রাত ছিল কাঁপছিল পেতলের চাঁদ
হাসছিল সেই রাতে বাড়িটার সুবিশাল ছাদ।

সেই ছাদে চুপচাপ বসেছিল একজন লোক
বুক ছিল ধুকপুক মনে ছিল সীমাহীন শোক।
মাঝে মাঝে চোখ তুলে দেখছিল নদীটার তীর
আনমনে করছিল সেই লোক একা বিড়বিড়!
ছেলে তার যোদ্ধা, বাড়ি ছাড়া আজ বহুদিন
বুকে তাই সংশয় হাহাকার ব্যথা চিনচিন।

হাত তুলে দোয়া করেÑ ‘খোদা, এই সুন্দর দেশ
স্বাধীনতা পেয়ে যাক, ফিরে পাক সব পরিবেশ।
সব ছেলে ফিরে পাক বাবাদের মায়েদের বুক
দেশটাতে দাও খোদা স্বাধীনতা স্বর্গের সুখ।’

রাতশেষে ভোর আসে শুরু হয় পাখিদের গান
শোনা যায় দূর হতে সুমধুর ভোরের আজান।
সেই ভোরে চুপচাপ বাড়ি এসে বলে যায় কেউ
ছেলে তার নেই আর, বুকে ওঠে কান্নার ঢেউ।
গতরাতে হানাদার পেতেছিল মৃত্যুর ফাঁদ
সেই রাতে তারা ছিল কাঁপছিল পেতলের চাঁদ!

স্বাধীনতা এসে যায় পতাকায় জেগে থাকে লাল
লাল খুনে জেগে থাকে শহীদেরা সহস্র কাল।

মোহাম্মদ আলী

×