পুরুষ
জেসমিন আক্তার রিক্তা
অব্যক্ত কথা আর পারছি না, আমি ভালো নেই সে তো- পুরুষ।
পুরুষ শব্দ শুনে ধিক্কার জানায় অনেক লোকে, সমাজে জোর করে পৌরুষতা দেখায় নিন্দিত সে জন।
কিন্তু বাক্যরচনা আজ সুপুরুষ নিয়ে, পিতার সহিত শৈশব কাটে তার চরম উল্লাসে ।
পিতার কাছে নানা বায়না, ঘুরতো হাতটি ধরে।
উৎসবে পেত নুতন পাঞ্জাবি সাথে আরো কত কি, হাস্যজ্জ্বল মুখে দেখতেই পেত না পিতার পায়ে পুরাতন চটি।
শৈশব কাটে হাসি ভরা মুখে, পদার্পণ করে কৈশোরকালে।
হঠাৎ যেন আকাশে ওড়ানো নতুন ঘুড়ি, নেই কোনো মানা যেন পিতার হাত ধরে হাঁটার অভ্যাস চাইলেও পারবে না আর।
শৈশবের অবুঝ হাসি ভুলে, নতুন তেজের আবেশ নিয়ে চলবে নিজের পথে।
বয়ঃসন্ধিতে নিজের মত দেখাবে পরিবার পরিজনে, বাবা মা এর সঠিক বুঝ লাগবে অহেতুক।
সঙ্গ বাড়বে ভালো মন্দের, পরিবার থেকে দূরে থাকার এই তো তার শুরু।
যৌবনে রমনীর এলো কেশে, কাজল চোখ হবে পুলকিত হৃদয়, পন্থা খুঁজবে তার হৃদয় পাবার।
কেউ সফল আবার কেউ ব্যর্থ, কেউ নিজেকে আলোকিত করার চেষ্টায় আবার কেউ অন্ধকারে ডুবে আছে প্রেয়সীর ধোঁকায়।
শুরু চিন্তার রেখা, পিতার থেকে টাকা চাইতে বোধ করে লজ্জা।
শৈশব, কৈশোর বয়ঃসন্ধি ভেদ করে বুঝতে শিখেছে পুরুষ শব্দ ভার বহন করার মান।
শুরু হয় ভাবনা পিতা মাতার কষ্ট মোচন, প্রেয়সী পাবার অক্লান্ত পরিশ্রম, নির্ঘুম রাত্রি যাপন এটাই পুরুষের সুখ হরণ।
শুনে কি তার ভিতরে থাকা আর পারছি না আত্নচিৎকারের যন্ত্রণা।
সফলতা পেয়ে ভেবেছিল মিলবে সেথা সুখ, আজ সফলতা পেয়েও কেন মুখ মলিন, কাটে নির্ঘুম।
পিতা মাতা, অর্ধাঙ্গিনীর সুখে সারাজীবন কাটায় প্রতিদিন যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে, বাসায় ফিরে ক্লান্তি নিয়ে।
এবার বাকি জীবন কাটে শৈশবের রঙিন ভাবনায়, পিতৃত্বের দায়িত্ব বোধে কাটায় জীবন সন্তানের সুখে।
নিজের জন্য কিছু না করে না ভেবে পরিবারের সুখে সারাজীবন কাটায় তার জীবন - আদর্শ পুরুষ।
লেখিকা হয়ে পুরুষের সমগ্র চিন্তা জানি না পেরেছি কি তুলে ধরতে, তবু বলি পুরুষ শব্দে মিশে আছে রণক্ষেত্র।
নাহিদা