-
বোধ ও ক্ষত চিহ্ন
মাসুদ চয়ন
বৃক্ষময় প্রকাণ্ড জংলাগুলোই হেঁটে চলবার আস্থাস্রোত হয়ে উঠল
নীচ তন্ত্রের অনুসন্ধানী বোধগুলো অনর্গল ক্রেজ ছড়াচ্ছে
রক্তসিদ্ধ সংবেদনশীলতা উপছে উঠছে ভীষণ
হাড়গোড় হিম হয়ে আসছে মিথিলা!!
চলে এসো মিথিলা;
শীর্ণচূর্ণ মনস্তাপে খৈ হয়ে যেয়ো না...
আজকাল নির্বোধ তত্ত্বের আর্তচিৎকার রাশভারি
প্রতিটি রাজপথ হুলস্থূল স্বৈর উল্লাসে
প্রতিপক্ষ শিবিরে কে আছে জানবে না;
যত্রতত্র সর্প স্তুতি
না হাঁটলে বাঁচা যায়!!!
অবরুদ্ধতায় আর কত নত হওয়া যায়, কাকচক্ষুময় গিরিখাতের সোপানে...
বুক হাতরালে বুঝতে পারবে বুকের ভিতরেই কোনো না কোনো স্বৈর সীমান্ত
আমি জংলা বেছে নিয়েছি
তুমিও বেছে নিতে পারো মৃত্যুময় কোনো উপছায়া
বৃক্কে আয়েশে প্রকল্পিত হোক মরমি স্বীয়তা
রক্তচুষ্য চুম্বনগুলো ধেয়ে আসছে জোঁক হয়ে
অগ্নি স্কেচ হয়ে
বিগত প্রেমের জন্যে প্রার্থনা
গাউসুর রহমান
বিগত প্রেমের জন্যে প্রার্থনা
ব্যাপারটা নতুন না
তোমার শরীর মনে টুংটাং ঘণ্টা বেঁধে নিয়েছিলাম
তোমার রাঙা অভিশাপ নিয়েছি বুক পেতে।
আজ সব কিছুতেই আমি দ্বিধায় থরথর
বুঝি না কিছুতেই আপন পর;
বুলেটে বিঁধেছি যখন গোলাপ ভুলেছি
সহজেই নদী ও হৃদয়ের অপলাপ।
বুকে ও পাঁজরায় মানুষ আত্মপর
মানুষের নিয়ত বসতি দ্বিধার ঘর;
বিভাগীয় শহরে বানাতে চাই শব্দের কুঁড়েঘর
মানুষের মুখে মুখে রটেছে দেখো গরিব কবিতার খবর।
যারা পারে লিখতে ধনী কবিতা
আলো ও ছায়ায় জ্বলে তাদের শব্দের সলিতা
সবার থাকে না কবিতা দেখার চোখ
বোঝার দরকার নেই তাদের কবির দুঃখ সুখ।
নীরবতার ছায়া মূর্তি
সুশান্ত কুমার দে
একটা ফালতু আবেদন, বিষয় ভিত্তিক
শব্দ,বাক্যগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে।
অযাচিত একটা চিরকুট। এক চিলতে
সিঁদুর রাঙা মেঘ। বরফে আচ্ছাদিত
জমাটবাঁধা অশ্রুসিক্ত!
রিনার দু’চোখ ভরা স্বপ্ন বুননের
এক টুকরো দর্পণ।
তবুও, হা হতাশ- আমিও দস্তখত করলাম!
কিন্তু, সব স্বপ্নটায় হতাশা ব্যঞ্জক,
উর্বর ভূমির বীজতলা শুষ্ক প্রায়!
একটা মৃত মরু উদ্যানের মধ্যেই
হাবুডুবু খাচ্ছে, একট নিষিক্ত ভ্রƒণের
বাঁচার আর্তি! গন্ধহীন বাতাসেও
উঁকি দেয়- নীরবতার ছায়া মূর্তি!