পুঁথি-পাঁচালি আকারে একদা প্রচলিত ছিল
রংপুরের কৃষক সমাজে নাথযুগের লোকসাহিত্য গোপিচন্দ্রের গান’ পুঁথি-পাঁচালি আকারে একদা প্রচলিত ছিল আর তা স্থানীয় লোক গায়কদের মুখে মুখে ফিরতো। রংপুরের এই লোক গায়কদের মুখ থেকে শুনে সেগুলো সংকলন করেছিলেন জর্জ আব্রাহাম গিয়ার্সন। ১৮৭৮ সালে ‘মানিক রাজার গান’ নামে তিনি তা এশিয়াটিক সোসাইটি পত্রিকায় প্রকাশ করেন। পরের বছর একই পত্রিকায় ‘গোপীচাঁদের গীত’ নামে তাঁর আরও একটি সংগ্রহ প্রকাশিত হয়।
ব্রিটিশ ভারতের সিভিল সার্ভিসে কর্মরত এই কীর্তিমান মানুষটি কর্মসূত্রে রংপুরে অবস্থানকালে উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক বা কথ্য ভাষার উপরেও প্রচুর গবেষণা করেছিলেন। একইভাবে তৎকালীন রংপুর জেলার নীলফামারী মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাহিত্যানুরাগী বিশে^শ^র ভট্টাচার্য্য এ অঞ্চলের তিনজন যোগীর মুখ থেকে শুনে শুনে গোপীচন্দ্রের গানের পুরোটাই লিখে নিয়েছিলেন। যা অনেক পরে ১৯২২ সালে কোলকাতা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ‘গোপীচন্দ্রের গান’ (১ম খ-) আকারে শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন এবং বসন্তরঞ্জন রায় এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
এরপর ১৯২৪ সালে বিশে^শ^র ভট্টাচার্য কবীন্দ্র ভবানী দাসের ‘গোপীচন্দ্রের পাঁচালি’ ও কবি শুকুর মাহমুদের ‘গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ’ যা যোগীর পুঁথি নামে সর্বাধিক পরিচিত ছিল, সে দুটি পুঁথি সম্পাদনা করে ‘গুপীচন্দ্রের সন্ন্যাস’ নামে প্রকাশ করেন। এর বাহিরেও সতের বা আঠার শতকের কবি দুর্লভ মল্লিক রচিত ‘গোবিন্দচন্দ্রের গীত’ সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন শিবচন্দ্র শীল। বাংলা ১৩২১ সনে ঢাকা সহিত্য পরিষদ থেকে ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী ও বৈকুণ্ঠনাথ দত্তের সম্পাদনায় ভবানীদাসের ‘ময়নামতির গান’ প্রকাশিত হয়। ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী বাংলা ১৩৩২ সালে শুকুর মাহমুদের ‘গোপীচাঁদের সন্ন্যাস’ নামে আর একখানি পুঁথি প্রকাশ করেছিলেন।
তবে এ ধারার সর্বশেষ ও উল্লেখযোগ্য সংযোজন সুবিখ্যাত লেখক ও প্রত্নগবেষক আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া সম্পাদিত কবি শুকুর মাহমুদ বিরচিত ‘গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস’। ১৯৬৮ সালের প্রথমভাগে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এই যশস্বী লেখক তৎকালীন রংপুর জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার জনৈক তৈয়ব আলি সরকারের হেফাজত থেকে পাঁচখানা পুঁথি উদ্ধার করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল কবি শুকুর মাহমুদ রচিত পুঁথি ‘গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস’ এর একটি হাতে লেখা পান্ডুলিপি। বাংলা একাডেমি থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে।
রংপুর তথা উত্তরবঙ্গের কৃষিসমাজে নাথযুগের এই লোকগাথার বিশুদ্ধ ও পরিশীলিত রূপ আমরা দেখতে পাই আ, কা, মো, যাকারিয়া সম্পাদিত গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস গ্রন্থটিতে। ভূমিকায় ‘আমার কৈফিয়ত’ অংশে গ্রন্থকার লিখছেন ‘বর্তমান গ্রন্থে বৌদ্ধ, হিন্দু, নাথ ও মুসলিম ভাবধারার মিলনে যে মিশ্র ভাবধারার সৃষ্টি হয়েছে তার দৃষ্টান্ত বিরল। এ সমস্ত বাদ দিলেও আলোচ্য পুঁথিতে একটি নতুন জিনিসের সন্ধান পাওয়া যায়। সেটা হচ্ছে এ গ্রন্থের ওপর চর্যাগীতির ভাবধারার প্রভাব।
চর্যাগীতিকার ভাবধারার এমনভাবে পরিপুষ্ট কোনো রচনা বোধহয় মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে আজও মেলেনি। বৌদ্ধধর্মের প্রভাব বাংলাদেশে একসময় স্তিমিত হয়ে আসে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগে শূণ্যবাদী মহাযানী বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে শৈব ধর্মের মিশ্রণে যোগ ও তন্ত্রসাধনা মূলক গুরুবাদী এই নাথ ধর্মমতের উদ্ভব ঘটে। শিব এদের আদিগুরু তিনিই আদিনাথ। তাঁর শিষ্য মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীননাথ এই ধর্মের প্রবর্তক। নাথধর্মে নয়জন গুরুর কথা জানা যায়। তাছাড়া চুরাশিজন সিদ্ধাচার্য, তাদের শিষ্য-প্রশিষ্য নিয়ে এক বিশাল গুরু পরম্পরা। মৎস্যেন্দ্রনাথ ছিলেন আদিতে একজন বৌদ্ধ গুরু, তাঁর শিষ্য গোরক্ষনাথ।
এই সুবিখ্যাত গুরু গোরক্ষনাথের সময়ে নাথধর্ম সারা বাংলায় এমনকি বাংলার বাহিরে বিহার উড়িষ্যা হয়ে নেপাল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যযুগে সুদীর্ঘ সময় ধরে নাথধর্মকে কেন্দ্র করে নাথ সাহিত্য চর্চিত হয়েছে। তবে এই সাহিত্যের কেন্দ্রে গোরক্ষনাথ, তাঁর যোগ মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণই নাথ সাহিত্যের মূল উপজীব্য।
নাথ সাহিত্যের প্রধান দুটি আখ্যানের একটিতে আছে কৈলাসে শিব-গৌরীর সংসারে মীননাথ, গোরক্ষনাথ, হাড়িপা, শিবের সহচর হিসেবে আছেন। শিব পতœী গৌরীর হঠাৎ বাসনা হলো ‘মহাজ্ঞান তত্ত্ব’ জানবার। যা আয়ত্ত্বে¡ এলে মৃত্যুকে কে রোধ করা সম্ভব। অনেক সাধ্য সাধনার পর শিব গৌরীকে এই মহাজ্ঞান শিক্ষা দিতে রাজি হলেন। সমুদ্রের জলরাশির ওপর এক নির্জন স্থানে শিব এই গুঢ় তত্ত্ব গৌরীকে শোনাতে যাবেন ঠিক সেই মুহূর্তে মীননাথ যোগবলে মাছের রূপ ধরে গোপনে জলের নিচে অবস্থান করে এই গুপ্তবিদ্যা শুনতে লাগলেন।
এদিকে ধর্মনিরঞ্জন ভাবলেন নারী স্বভাবতই পেটে কথা রাখতে পারে না তাই গৌরী এ তত্ত্ব জানতে পারলে আরও অনেকেই তা জেনে যাবে তখন সবাই অমর হতে চাইবে এতে সৃষ্টি রসাতলে যাবে। তাই তিনি মায়াবলে গৌরীকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। লুকিয়ে থেকে মীননাথ এ মহাজ্ঞান লাভ করলেন। গৌরী একদিন পরীক্ষা নিতে চাইলেন শিব সহচর এই যোগীদের, যে তাঁরা ইন্দ্রিয় জয় করতে পেরেছেন কি না। শিবের ইচ্ছায় মায়াবলে অপূর্ব সুন্দরী রমণী সেজে তিনি যোগীদের আহার্য্য পরিবেশন করতে লাগলেন। গৌরীর এই মোহনীয় রূপ দেখে সবাই মনে মনে তাঁকে পাবার বাসনা করলেন। কিন্তু শুধু গোরক্ষনাথ সেই নারীকে মাতৃভাবে অনুভব করলেন।
তখন গৌরীর অভিশাপে গুরু মীননাথ কদলীনগর তথা নারীকুলে নির্বাসিত হয়ে ঘর সংসার করতে লাগলেন। হাড়িপা মেহেরকুলের রানী ময়নামতির রাজ্যে নিচ কর্ম ঝাড়ুদারের পেশায় নিযুক্ত হলেন। পরবর্তীতে গোরক্ষনাথ কে গৌরী অনেক ভাবেই প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি সত্যিকারের যোগীপুরুষ, তাই গৌরীর সব ছলাকলা তিনি সহজেই উপেক্ষা করতে পেরেছিলেন।
এদিকে কদলীরাজ্যে ষোলশত নারীর সান্নিধ্যে মীননাথ তাঁর মহাজ্ঞান বিস্মৃত হলেন। জড়িয়ে পরলেন সংসারের ভোগবাসনায়। তাঁর শিষ্য গোরক্ষনাথ অনেক রাজ্য ঘুরে গুরুর এই নৈতিক পতনের সংবাদ পেয়ে ব্যথিত হলেন। মোহগ্রস্থ গুরুকে সংসারজীবন থেকে ফিরিয়ে আনবার জন্য গোরক্ষনাথ অনেক কষ্ট স্বীকার করে কদলীরাজ্যে প্রবেশ করলেন। তিনি নর্তকীর বেশে রাজ্যের অন্দরে প্রবেশ করে নৃত্যগীতের মাধ্যমে শাস্ত্রের গুহ্য কথা শুনিয়ে গুরু মীননাথের হারানো চৈতন্য ফিরিয়ে আনলেন। এজন্যই এই উপাখ্যানের নাম মীনচৈতন্য বা গোরক্ষবিজয়।
অপর আখ্যানে আমরা পাই মানিকচন্দ্র ষোলবঙ্গের রাজা। তার দেওয়ান এককানি জমির খাজনা ‘দেড়বুড়ি’ থেকে ‘পনের গন্ডা’ করায় প্রজাদের অভিশাপে ধর্মরাজের ইচ্ছায় মানিকরাজার আয়ু কমে মাত্র ছয় মাসে ঠেকল। রানী ময়নামতি ছিলেন যোগসিদ্ধা। রাজার প্রাণরক্ষার জন্য রানী তাকে মহাজ্ঞান দীক্ষা দিয়ে অমর করে রাখতে চাইলেন। কিন্তু নারীর কাছে কিংবা নিচকর্মের গুরু হাড়িপার কাছে দীক্ষা নিতে রাজার জাত্যাভিমান ও পৌরুষে বাধে। যথাসময়ে মৃত্যুদূত যম এসে উপস্থিত হলেন।
রানী ময়নামতির অনেক কৌশল ব্যর্থ হলো এমনকি হাতী ঘোড়া মোহর ভেট দিয়েও যমদূতকে নিরস্ত করতে পারলেন না। মানিকরাজার মৃত্যু হলো। গোরক্ষনাথের বরে রানী ময়নামতি গোপিচন্দ্র নামে এক পুত্রসন্তানের মা হলেন। বারো বছর বয়সে গোপিচন্দ্রের বিয়ে হলো হরিশচন্দ্র রাজার মেয়ে অদুনার সঙ্গে। যৌতুক হিসাবে পাওয়া গেল বোন পদুনা কে। একদিন দৈবজ্ঞ এসে জানিয়ে গেল গোপিচন্দ্রের পরমায়ু মাত্র কুড়ি বছর। তবে প্রতিকার আছে যে, হাড়িপার কাছে দীক্ষা নিয়ে তাকে বারো বছর সন্ন্যাস জীবন যাপন করতে হবে। কিন্তু গোপিচন্দ্র স্ত্রী-সংসার ছেড়ে যেতে রাজি হয় না বরং মায়ের চরিত্রের উপর কলঙ্ক আরোপ করে।
ফলে ময়নামতি তার সতীত্বের পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়। এরপর অনেক তত্ত্বকথা বুঝিয়ে গোপিচন্দ্রকে হাড়িপার কাছে দীক্ষা দিয়ে মাথা মুড়িয়ে সন্ন্যাস যাত্রায় রাজি করায়। গুরু হাড়িপা রাজপুত্রের অহংকার দূর করতে হীরা নটি বা সুলোচনা নামে এক রূপোজীবিনীর কাছে গোপিচন্দ্রকে বন্ধক রাখে। সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে গুরু তাকে উদ্ধার করে আড়াই অক্ষরের মহাজ্ঞান শেখায়। এভাবেই শেষ হয় গোপিচন্দ্রের সন্ন্যাসজীবন, তার অকালমৃত্যু রোধ হয়। সে ফিরে এসে মহাসুখে গুরু নির্দেশিত উপায়ে রাজ্য পরিচালনা ও সংসার করতে থাকে।
সিদ্ধাচার্য মীননাথ বা মচ্ছেন্দ্রনাথ, গোরক্ষনাথ, তার শিষ্য হাড়ীপা-ময়নামতি ও তার পুত্র গোপিচন্দ্রকে নিয়ে এই যে জনপ্রিয় নাথ বৌদ্ধ কাহিনীর উদ্ভব হয়েছে তার কেন্দ্রভূমি প্রাচীন করতোয়া কেন্দ্রিক সভ্যতার অন্যতম পীঠস্থান রংপুরের খোলাহাটি অঞ্চলে। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বৌদ্ধ প্রভাবিত সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলেই নাথযোগী-সন্ন্যাসীদের পদচারণা ছিল। ঠাকুরগাঁ জেলার গোরকুই নামক স্থানে গোরক্ষনাথ সমাহিত আছেন বলে স্থানীয়রা বহুকাল ধরে বিশ^াস করে।
বগুড়ার মহাস্থান গড় থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে যোগীর ভবন নামক স্থান নাথ সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থভূমি। এখানে বেশ কিছু মন্দিরের পাশাপাশি গোরক্ষনাথের মন্দির ও নাথযোগীদের সমাধি আছে। নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট এর ঘোকশী বিলের পূর্বতীরে অবস্থিত যোগীঘোপা নাথ সম্প্রদায়ের একটি প্রাচীন ধর্মকেন্দ্র। এভাবেই সমগ্র উত্তরাঞ্চল জুড়ে অনেক ঢিবি, স্তূপ, সমাধি, মঠ-মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, পরিত্যক্ত ভিটা এবং কোন কোন অঞ্চলের নামকরণ যেমন যোগীর ভিটা, যোগীর পাশা, গোরক্ষনাথের দীঘি ইত্যাদি আজও বৌদ্ধযুগের সাক্ষ্যবহন করে।
রংপুর-খোলাহাটি রেলপথের উত্তরদিকে পন্ডিতপাড়া এলাকায় একটি প্রাচীন উঁচু জমিকে এখনো মানুষ ‘হিরা নটীর ভিটা’ বলে থাকে, সেখানে হাড়িপা গোপিচন্দ্রকে বন্ধক রেখেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। লোকচেতনায় গোরক্ষনাথের আরও রূপান্তর ঘটেছে, দিনাজপুর-রংপুর অঞ্চলের রাজবংশী পলিয়া কৃষককুল তাকে গো-রক্ষক দেবতা হিসাবে পূজা করে থাকে। তবে এসব লোক কাহিনীর আড়ালে ইতিহাস এর প্রামাণ্য খুঁজতে যাওয়া বৃথা। দীর্ঘ সময়ের বিবর্তনে প্রায় বিলুপ্তির পথে উত্তরবঙ্গের নাথ সম্প্রদায়।
এ অঞ্চলের নাথ ও দেবনাথ পদবীধারী প্রাচীন বৌদ্ধ-শৈব ধারার নাথ সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী যাদের স্থানীয়রা তাঁতী কিংবা শামুক-ঝিনুক থেকে চূর্ণ তৈরির যুগী হিসেবে জানে; তারা তাদের পুরনো পেশায় যেমন আর নেই তেমনি পুরনো ধর্মবোধ থেকেও দূরে সরে গেছে। মুসলিম শাসনামলে এরা অনেকেই একটা সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল বাকিরা ধীরে ধীরে হিন্দুধর্মের মূলশ্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। তবে সামাজিক রীতিনীতিতে কিছুটা স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রেখে চলেছে।
এই সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ বিচ্ছিন্নভাবে এখনও বিস্মৃতপ্রায় প্রাচীন করতোয়ার তীরবর্তী ঘোড়াঘাট, বদরগঞ্জের রামনাথপুর ও দিনাজপুরের খয়েরপুকুর হাটের যুগীপাড়া প্রভৃতিস্থানে বসবাস করছে। যারা সেই বিলুপ্ত বৌদ্ধযুগের ধর্মবোধ ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করে আসছে।