ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

অণু গল্প ॥ ধন্যবাদ প্রিয় মাস্ক

এস এম সাথী বেগম

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ২০ জুন ২০২৪

অণু গল্প ॥ ধন্যবাদ প্রিয় মাস্ক

রোমানা

অন্য একটা উপজেলায় মেডিকেলে চাকরি করেন রোমানা। প্রতিদিন চব্বিশ কিলোমিটার যেতে হয়। যখন মর্নিং সিফটে ডিউটি থাকে সকাল ৭টার মধ্যেই বাসা থেকে বের হতে হয়। প্রতিদিনের মতোই সেদিনও বাসা থেকে বের হয়ে আট সিটের অটোতে উল্টো পার্শ্বে বসেছে। সঙ্গে অল্প বয়সী মেয়েটি জড়সড় হয়ে বসে আছে। একেতো ঠাণ্ডা তার ওপর কুয়াশা। কিছুদূর যেতেই আরেকটি যাত্রী নেবার জন্য অটো থামতেই একটা বড় ব্যাগ নিয়ে মাস্ক পরা এক নারী উঠেই রোমানাকে ধমকে বললেন সরে বসেন।

রোমানা সরে বসেই তাঁর চোখ দুটো চিনে ফেলেছেন। এক সঙ্গেই বাসে করে অফিসে যান। পাশাপাশি বসলে কতো গল্প হয়। কি যে অমায়িক ব্যবহার। তিনি টিচার। ছাত্রছাত্রীদের গল্পে বিভোর থাকে। আবার কিছুক্ষণ পর সেই কড়া গলায় বললেন সরতে পারছেন না? আপনি কি কথা শোনেন না? রোমানাও মাস্ক পরেছে। রোমানা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে যেন মহিলা তাকে চিনতে না পারে। যদি চেনে ফেলে তাহলে মহিলাটি যেন বিভ্রান্তিতে না পড়ে।
এক স্ট্যান্ডেই নামতে হবে কিন্তু টিচার মহিলাটি দু’একবার রোমানার চোখের দিকে তাকিয়েছে। রোমানা না চেনার ভান করে অন্যদিকে তাকিয়ে ছিল। টিচার ম্যাডাম নেমে গেলেন। অন্য এক রাস্তার মোড়ে। রোমানা ভাবছে তাঁকে কি চিনেই নেমে গেলেন না তার সেখানে কোন কাজ আছে? আবার ভাবছে অফিস সময়ে কোথাও যাবার কথা নয়। ভাবতে ভাবতে রোমানা নিজের সঙ্গে নিজেই বলে ধন্যবাদ মাস্ক। আজ তুমি ছিলে বলেই আসল রূপটা বেরিয়ে এলো।
পাশের অল্প বয়সী মেয়েটি বলে আপা কাকে ধন্যবাদ দিলেন?

×