যেই ভুল করে গন্ধম ফল খেয়ে আদম আর হাওয়া পৃথিবীতে পদচিহ্ন রেখেছিল, সেই চিহ্ন ধরেই ফুজান হেঁটে চলছে, আমরাও চলছি। ফুজান আমাদের কোথায় নেবে জানি না। তবু তাকে অনুসরণ করছি। ফুজানের পিছু চলার মজাই এটা। সবকিছুতে একটা রহস্য রহস্য ভাব থাকে।
অনেকক্ষণ ধরে হাঁটছি। আমাদের ফেলে অনেকটা এগিয়ে গেছে ঐ যে ঐ দীর্ঘদেহী নারী, তাকে আমরা ফুজান বলে ডাকি। ছোটবেলায় ফুপু ডাক বের হওয়ার আগে ফু করে হাওয়া ছাড়তে হতো অনেকটা, ফুপুর ‘ফু’ জোরালো হয়ে ওঠে ‘পু’ টা হাওয়া হয়ে যেতো। আর তাই ফুপুজান ডাকটা হয়ে যেতো ফুজান। এখন ফোকলা দাঁত নেই কারও, তবু ফুজান ডেকে আমরা প্রাণে আরাম পাই।
ফুজান শুধু আমার বা ওর একার ফুজান না, হলাইজানা গ্রামের চুমকি, ছিমকি, বুলবুলি, বীনা, লিপি, সাজ্জাদ, ফারুক, কাদের, শফি সবার ফুজান। আমাদের ফুজানের নাম হাওয়া বিবি। আমাদের কারও বাড়ির কোনো মুরুব্বিই চায় না আমরা ফুজানের সঙ্গে কথা বলি বা ফুজানের পিছু পিছু ঘুরি। কিন্তু ফুজান আমাদেরকে টানে। তার কথা, স্পর্শ, হাসি সবকিছু আমাদের সবাইকে একেবারে টেনে ধরে রাখে। তাই যে যতই না করুক না কেন, আমরা কখনো ফুজানের পিছু ছাড়ি না।
সবচেয়ে রহস্যময় ফুজানের হাসি। হাসলে তার পান খাওয়া দাঁতের সারির প্রায় সবই দেখা যায়, আবার কী যেন কী একটা দেখা যায় না। পিছু ফিরে ঠিক তেমনি করে হেসে ঠোঁটের ফাঁকে বিড়ি গোঁজে ফুজান। পেশাদারিত্বের সঙ্গে ধোঁয়া ছেড়ে মানুষটা সামনে এগোয়। আমরাও এগোই।
সামনে দীপ রাজার দীঘি। দীঘির আধ খাওয়া নামের মতো দীঘিরও একই অবস্থা। সন্দ্বীপ রাজার নাম কালে কালে দীপ রাজা হয়ে গেছে আর দীঘি হয়ে গেছে পুকুর। রাজা রাজ্য ছেড়ে ওপারে চলে যাওয়ার পর দীঘিটা খতিয়ানে সরকারি খাস সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। অনেক বছর হলো প্রামাণিকরা দীপ দীঘি লিজ নিয়েছে। বছর বছর মাছ ছাড়া হচ্ছে দীঘিতে। এই বছর বিষ দিয়ে কারা যেন দীঘির মাছ মেরে ফেলেছে। আমরা দেখেছি বড় বড় রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ভেসে উঠেছিল। ছেলেপেলেরা টানাটানি করছিল মাছ নেওয়ার জন্য, প্রশাসনের লোকেরা কাউকে একটা মাছে হাত লাগাতে দেয়নি। ওদের কথামতো কামলারা জাল টেনে মাছ তুলে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলেছে। পরে অজ্ঞাতনামা আট দশজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ছোট প্রামাণিক। মামলার তদন্ত চলছে, কারও নাম এখনো সামনে আসেনি, কেউ ধরাও পড়েনি। ছোট প্রামাণিকের নিজের নামেও একই ধরনের মামলা আছে। গত আষাঢ়ে হিন্দুপাড়ার রিপন সাধুর আম বাগানের দুশ’ চারা এক রাতের মধ্যে কেটে নিয়েছিল কারা যেন। রিপন সাধু পরের দিন থানায় ছোট প্রামাণিকের নামে এজাহার দিতে গিয়েছিল। থানা মামলা নেয়নি। পরে আদালতে গিয়ে মামলা করে রিপন সাধু নালিশে লিখেছে, ঐ আম বাগানের সীমানা নিয়ে গণ্ডগোল বাঁধায় দেওয়ানী আদালতে মামলা করেছিল রিপন সাধু তাই ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে ছোট প্রামাণিক গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এরপর আদালতে আত্মসমর্পণ করে অনেক টাকা খরচ করে বড় উকিল ধরে জামিন নিয়েছে ছোট প্রামাণিক। এসব নিয়ে হলাইজানা গ্রামে অশান্তির শেষ নেই।
শত অশান্তির মাঝেও দীপ রাজার দীঘির পাড়ে এসে দাঁড়ালে শান্তি শান্তি লাগে। ফুজান দীঘির ঘাটলায় নেমে পানি ছুঁয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এতক্ষণ খেয়াল করিনি ফুজান কুলি করে মুখ ধুয়ে নিচ্ছে। এরপর আঁচলের খুঁট থেকে একটা পান তুলে মুখেও দিয়েছে। বুঝি বিড়ির গন্ধ দূর করতে চায় ফুজান। আরও বুঝতে পারি, ফুজান কোথায় যাবে।
ফুজান প্রামাণিক পাড়ার দক্ষিণমুড়া কবরস্থানের দিকে যাচ্ছে। এখানে আগেও এসেছি আমরা। ফুজানের পিছু পিছু। অবশ্য কবরস্থানের ভাঙাচোরা গেটের সামনেই থামতে হয়েছে। নারীদের এই কবরস্থানে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কমিটির অনুমোদন নেই। ফুজান অবশ্য না শোনার মানুষ না। তবু এই নিষেধাজ্ঞা ফুজান শোনে। কারণ যার কবরের জন্য এখানে ফুজান আসে তার কবরটা কবরস্থানের একেবারে পশ্চিম সীমানা ঘেঁষা। আর সীমানার বাঁশের বেষ্টনীও আধভাঙা। চাইলেই কবরের কাছাকাছি দাঁড়ানো যায়। এই কবরে কোনো ফলক নেই। শুধু নজর আন্দাজেই আমরা বুঝে নেই ঐখানে ফুজানের মায়ের কবর। হাত বাড়ালেই কবর সংলগ্ন সফেদা গাছটা ছোঁয়া যায়।
গাছটা ছুঁয়েই আমাদের শরীর শিরশির করে। ফুজানেরও হয়তো একই হাল হয়। সে শব্দহীন কাঁদে খানিকক্ষণ। আমরা তাকে থামানোর চেষ্টা করি না। ফুজান তার মায়ের জন্য কাঁদবে, আমরা থামানোর কে?
তবু ফুজান থামে। আমাদের হাত ধরে বলে, ‘চল যাই।’
‘কই যাইবা?’
‘রাজার দীঘিত।’
‘ক্যান? আবার বিড়ি খাইছো নি?’
আমাদের কথার ঠেসে ফুজান শব্দ করে হাসে। পুকুরের পানি টলমল টলমল ঝলমল ঝলমল করে। থেকে থেকে বুড়বুড়ি ওঠে পানিতে। একটা, দুটা মাছ এখনো আছে নাকি! মাথা উঁচু করে দেখার চেষ্টা করি। একটা মাছও সাঁতার কাটে না। মনে আফসোস জাগে।
‘প্রামাণিকগো ছাড়া মাছগুলারে কোনো শয়তানরা যে বিষ খাওয়ায় মারলো!’
‘মারছে ভালা করছে।’
ফুজানের উত্তরটা এত অপ্রত্যাশিত ছিল যে আমরা ঘাটলার ধারে এসে হোঁচট খাই। ফুজান আমাদের হাত ধরে টান দিয়ে দাঁড়ায়।
‘ঐ মাছ আমি মাগনা দিলেও খাই না। রাজাকারগো পাইলাপুইষা বড় করা মাছ, আমার ঘিন্না লাগে।’
ফুজানের মুখচোখ বিকৃত হয়ে ওঠে। তরতর করে ঘাটলার সিঁড়ি ধরে নামে ফুজান। ফের অনেকটা সময় নিয়ে কুলি করে, মুখ ধোয়।
আমরা সমস্বরে জানতে চাই, ‘ও ফুজান, পানিতে ঘিন্না লাগে না?’
‘দুরো যা, এই দীঘি রাজার দীঘি, পানিও রাজার। এই দীঘির পানি মিঠা, খাইয়া দ্যাখ। আমার মা কইছে, রাজা রাজ্যের পাইক পেয়াদা দিয়া মনকে মন গুড়, চিনি ঢালছে এই পানিতে।’
আমরা ফুজানের আজগুবি গল্প শুনে হাসি। তারপর সুরেলা কণ্ঠে জানতে চাই, ‘তোমার মায়ের নামটা কী গো ফুজান?’
ফুজান হেসে উঠে বলে, ‘আমার মায়ের নামটি মা লো আমার মায়ের নামটি মা।’
আমরা এবার দুলে দুলে হাসি আর ফুজানের ঢঙে আবৃত্তি করি, ‘আমার মায়ের নামটি মা, তাহার নেই কো তুলনা।’
॥ দুই ॥
ফুজানকে ঘরে দেখছি না। কোথায় গেল সকাল সকাল? ঘরে তো নেই। ঘরটা কেমন যেন, নিঃসঙ্গ, রূঢ়, দমবন্ধ করা। এই ঘরে চার দেওয়ালই আছে শুধু আর কিছু নেই, ফুজানের মা বেঁচে থাকতেও আসতাম এখানে। মা-মেয়ের সংসারও নিস্তরঙ্গ ছিল। ওদের দুজনকে একঘরে বলা যেত না তবু কেমন যেন সতর্কতা ছিল সবার। এই ঘরে দাবি-দাওয়া নিয়ে হুট করে কেউ ঢুকতো না, এখনো ঢোকে না। আমরা ফুজানের ঘর দেখি। দেখি ফুজানের একটা ছোট ঘর আছে, বর নেই। শুনেছি অনেক অনেক বছর আগে ফুজানের একবার গায়ে হলুদ হয়েছিল। কাঁচা হলুদ আর মেহেদি পাতা বেটে হাওয়া বিবির মা হাওয়া বিবির গায়ে হলুদের আয়োজন (এরপর ১১ পৃষ্ঠায়)
করেছিল। ঐ আয়োজনে তেমন কোনো অতিথি আসেনি। তবু মা- মেয়ের হাসিতে ঝলমল করে উঠেছিল এই ঘরদোর। পরের দিন শুক্রবার বরযাত্রী আসার শুভদিন ছিল। কিন্তু হাওয়া বিবির শরীরে হলুদ ছুঁইয়ে গোসল করানোর আগে অশুভ সংবাদটা এসেছিল। বরপক্ষ বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। এরপর হাওয়া বিবির মা মেয়েকে বিয়ে দিতে কতজনের কাছে যে গেছে। পাত্র পায়নি। একবার এক সত্তর বছরের বুড়ো হাওয়া বিবিকে দ্বিতীয় বিবি করতে রাজি হয়েছিল, হাওয়া বিবি রাজি হয়নি। মায়ের সঙ্গে কাজিয়া-ফ্যাসাদ করে সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যাবে কোথায়? বাপ মরা মেয়ের তো মা-ই সব। ঐ মেয়ের বাপই বা কে? ঐ প্রশ্ন তুললে হাওয়া বিবির মা ঝিম ধরে থাকতো বহুক্ষণ। হাওয়া বিবিও ঝিম ধরে থাকে।
ঝিম ধরা ফুজানকে আমরা খুঁজে পাই দীপ রাজার দীঘির ধারে।
ফুজান মানুষটাই এমন। দীঘলে পাথালে মানুষটা যেমন আসমান ছুঁই ছুঁই তার মেজাজ-মর্জিও তেমন আসমানের মতো থৈহীন। যখন যা মন চায় করে, যেখানে মন চায় যায়। কোনো শিকল নেই পায়ে। এমন একটা শিকলহীন জীবনের জন্য কত তড়পাই আমরা আর ফুজান তড়পায় নিজের স্বাধীনতার বাড়াবাড়ির জন্য। পান খাওয়া দাঁতের হাসি দেখলে বোঝার উপায় নেই ঐ স্বাধীনতাই ফুজানের পায়ের বেড়ি। একা ঘরে স্বাধীন থেকে থেকে ফুজান যখন হাঁপিয়ে ওঠে তখনই সে এমন করে ঘর ছাড়া হয়। ঘর ছেড়ে দীপ রাজার দীঘির ঘাটলা ছাড়া আর যাবে কোথায়?
দীঘিটা প্রামাণিকদের ভিটা থেকে অনেকটা দূরে। একসময় এই দীঘি হলাইজানার সব মানুষের ছিল। ছোট প্রামাণিক লিজ নেওয়ার পর থেকে মালিকানা বদল হয়েছে। দীঘির মাছ মরে যাওয়ার পর পাহারাও জোরদার হয়েছে। পাড় থেকে গজ শ’ দূরে একটা টঙঘরে দুজন দশাসই পাহারাদার থাকে, আশপাশে কাউকে দেখলে লাঠি হাতে তেড়ে আসে। আজ আমাদের দেখে ওরা উসখুস করছিল। তখনই বুঝেছি ফুজান এখানে আছে। ফুজানকে দেখলে পাহারাদাররা চুপসে যায়। একদিন ফুজানকে ঘাটলায় নামতে দেবে না বলে ওরা লাঠি হাতে তেড়ে এসেছিল। ফুজান সপাটে বুক চাপড়ে ‘আয় দেখি আমারে সরা’ বলতে বলতে ঘাটলায় শুয়ে পড়েছিল।
আজও ফুজান শুয়ে আছে। আমরা কাছে এগিয়ে দেখি ফুজানের বয়সী চোখ দুটি ভেজা। কানের দুপাশে পানি গড়ানোর চিহ্ন লেগে আছে। মুখটিতেও যন্ত্রণার ছাপ। ফুজানের পাশে বসে চমকে উঠি। তার শরীরের দুপাশে ছড়ানো হাত দুটির আঙুলগুলো রক্তাক্ত, আঙুলের ভাঁজে ভাঁজে কাচা ক্ষত। এমন ক্ষত ফুজানের হাতে আগেও দেখেছি। কী হয়েছে জানতে চাইলে ফুজান উত্তর না দিয়ে রহস্যময় হেসেছে। মাকে, বাবাকে প্রশ্ন করলে ধমক শুনেছি, শুনেছি, যুদ্ধের কালে নষ্ট হয়েছে ফুজানের মা, ফুজানের জন্মেরও ঠিক নেই। অমন বেজন্মা মেয়েমানুষের সঙ্গে না মেশাই ভালো।
আমরা তবু ফুজানের সঙ্গে মিশি, মিশে মিশে ঢল বৃষ্টিতে ভেজা মাটি-কাদার মতো মাখামাখি হয়ে যাই। ফুজানের রক্তমাখা হাতে শান্ত চুমু খেতে খেতে জানতে চাই, ‘ফুজান তোমার কী হইছে?’
সত্যি সত্যি আজ কী যেন হয়েছে ফুজানের। ফুজান বিড়বিড় করছে। নিজেকে ভাঙছে। কাঁপছে। কাঁদছে। থই পাচ্ছি না কোনো। মনে হচ্ছে কেউ আমাদের দীপ রাজার দীঘির কেন্দ্রে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমাদের পায়ের নিচে জল কিছু নেই। ও জলও দাপুটে, থির হতে দিচ্ছে না। ছলবল ছলবল করে অতলে টেনে নিতে চাইছে।
ফুজানই আমাদের টেনে তোলে। নরম স্বরে শোনায় ফুজানের মায়ের কিসসা। যেই কিসসার সঙ্গে জলেরই মিতালি।
‘পাকিস্তানি মিলিটারিরা, রাজাকারের বাচ্চারা আমার মায়ের হাত পা বাইন্ধা এই দীঘিত ফালায় রাখতো। মায়ের আঙুলের চিপায় চিপায় ইটের টুকরা রাইখা চাপ মারতো, বেয়োনেট দিয়া সমানে খোঁচাইতো। আহারে...শইলের বেদনায় আমার মায় চিক্কুর পাইড়া কত কানছে! কোনো জালিম আমার মায়ের কান্না শোনে নাই...মা, ও মা রে...আমারে একলা ফালায়ে কই গেলি মা...’
উদলা আকাশের নিচে হাওয়া কাঁপে থরোথরো। হাওয়া বিবিও কাঁপে। কাঁপতে কাঁপতে উঠে বসে আমাদের এক ঝলক দেখে নেয়। তারপর দীঘির দিকে মুখ করে বসে।
‘বড় প্রামাণিক ছিল শান্তি কমিটির মেম্বার। আমার মারে ওই বড় প্রামাণিকই টাইনা ক্যাম্পে তুলছিল। একমাস বিশ দিন ছিল মা ক্যাম্পে। আমি তখন আছিলাম আসমানের ম্যাঘ। মা কানলেই ম্যাঘ থেইকা পানি হইয়া টুপুরটুপুর পড়তাম।’
আসমানে সাদাকালো মেঘ ভাসে। আমাদের চোখে ভাসে দীপ দীঘির জল। আমাদের মনে পড়ে যায়, এখনও অনেকেই ফুজানকে দেখে খিকখিক করে হাসে আর বলে, ‘এ্যাই দ্যাখ দ্যাখ ওর বাপ না মিলিটারি, দ্যাখোস না কেমন শরীর স্বাস্থ্য। বাঙালির বীজে জন্ম না।’
আমরা ফুজানের হাতের আঙুলে হাত বুলাই। স্পর্শে স্পর্শে বেদনার ঢল নামে। ফুজান গুমরে ওঠে। আমরা ক্ষীণ স্বরে বলি, ‘একটু ধোঁয়া খাইবা ফুজান?’
ফুজান হাসে। এই হাসি দীপ রাজার দীঘির জলের মতো সবুজ।
আমরা ফের হেঁয়ালিভরে জানতে চাই, ‘তোমার মায়ের নাম কী গো ফুজান?’
ফুজান হেসে উঠে বলে, ‘আমার মায়ের নামটি মা লো আমার মায়ের নামটি মা।’
আমরা এবার দুলে দুলে হাসি আর ফুজানের ঢঙে আবৃত্তি করি, ‘আমার মায়ের নামটি মা, তাহার নেই কো তুলনা।’