সমুদ্র
শীত ঋতু পৌষ ও মাঘ মাস হলেও শীতল বাতাস বইতে থাকে অগ্রহায়ন মাস থেকেই। যার সমাপ্তি ঘটে ফাল্গুনে। আর এ সময়ে পর্যটকরা ছুটে যান বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের সারা বছরের পাঠ চুকিয়ে ডিসেম্বরে পায় দীর্ঘ ছুটি। তাই অভিভাবকরাও বছর শেষে ছেলে-মেয়েদের মানসিক প্রশান্তি দিতে শীতের সময়েই চলে যান নান্দনিক জায়গায়। তবে কিছু বিষয়ে জানা থাকলে ভ্রমন হবে আরও আনন্দদায়ক।
প্রথমত, যেসব পর্যটক ভাবছেন কাপড়ের ব্যাগ ভারী করবেন শীতের কাপড় দিয়ে। এই চিন্তা একেবারেই ঝেড়ে ফেলতে হবে। সমুদ্র পারে ঠান্ডা লাগে না বললেই চলে। তবে ছোট শিশুদের জন্য খুবই হালকা ফুল হাতার পোশাক নিতে পারেন। বড়দের জন্যও পাতলা কিছু উষ্ণ কাপড় সঙ্গে নিবেন, যা রাতে বাহিরে ঘুড়তে গেলে প্রয়োজন হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে ক্যাপ বা হ্যাট। ব্যাগে বহন করে নিয়ে যাওয়া ঝামেলা মনে করলে সেখানে গিয়েও কিনতে পারেন। কেননা রোদের তীব্রতায় ত্বকে খুব সহজেই কালচে ভাব চলে আসে। বয়স অনুযায়ী সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুণ দিনের বেলা সমুদ্র পাড়ে যাওয়ার সময়। তাই আগেই কিনে ফেলুন প্রয়োজনীয় প্রসাধনী।
তৃতীয়ত, সমুদ্র স্নানে যেতে হলে প্লাস্টিকের বা বার্মিজ শু কিনুন আগেই। কেননা পানিতে ভিজে আপনার দামি জুতা জোড়া নষ্ট হলে বীচে যাওয়ার আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে অনেকটাই। তাই সমুদ্র পাড়ে যাওয়ার প্রস্তুতিতে বাড়তি একজোড়া জুতাকে প্রাধান্য দিতে হবে, যা পানিতে ভিজলেও নষ্ট হবে না।
চতুর্থত, পর্যটন নগরীগুলোতে এখন অনেক পর্যটক। তাই ঘুরতে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে বাস বা ট্রেনের টিকিট কনফার্ম করুন নূন্যতম এক সপ্তাহ আগেই। তা নাহলে অনাকাঙ্খিত সমস্যা তৈরি হতে পারে যেকোনো সময়।
আর কে