সংগৃহীত
একটি সুস্থ দাম্পত্য জীবন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যখন স্ত্রী ব্যক্তিগত, সামাজিক বা অর্থনৈতিকভাবে স্বামীর চেয়ে এগিয়ে যান, তখন স্বামীর মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। এই অস্বস্তি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসের সংকটে পরিণত হতে পারে, যা তাকে স্ত্রীকে ছোট করার প্রবণতায় ঠেলে দেয়।
অসমতা থেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য!
যদি স্বামী অনুভব করেন যে স্ত্রী তার চেয়ে বেশি সফল বা সম্মানিত, তখন এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে যদি স্বামীর পারিবারিক অবস্থান স্ত্রীর পরিবারের তুলনায় দুর্বল হয়, তাহলে তার মধ্যে অবচেতনে এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব গড়ে উঠতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে, তিনি স্ত্রীর সাফল্যকে প্রশংসা না করে তাকে সবার সামনে হেয় করার চেষ্টা করেন-অফিস, পরিবারের মধ্যে, এমনকি সন্তানদের সামনেও।
স্ত্রীর প্রতি এই আচরণ কেন অন্যায়?
একজন স্ত্রী যদি তার কঠোর পরিশ্রম বা যোগ্যতার কারণে এগিয়ে যান, তবে সেটি তার প্রাপ্য। তার এই অর্জনকে হেয় করা মানে কেবল তার আত্মসম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করা নয়, বরং সম্পর্কের ভিত দুর্বল করে ফেলা। একটি সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিক সম্মান ও সমর্থনের। কিন্তু যখন একপক্ষ অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে শুরু করে, তখন তা কেবল মানসিক কষ্টই সৃষ্টি করে না, বরং সম্পর্কেও গভীর ফাটল ধরায়।
সমাধান কী?
এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা জরুরি। স্বামীকে বোঝানো প্রয়োজন যে স্ত্রীর সাফল্য তার ব্যর্থতা নয়, বরং তাদের পারিবারিক উন্নতির অংশ। অন্যদিকে স্ত্রীকেও সংবেদনশীল হতে হবে এবং স্বামীর মাঝে তৈরি হওয়া সংকোচ দূর করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান বজায় রাখলে দাম্পত্য আরও মজবুত হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং পারস্পরিক সমর্থন হবে সম্পর্কের মূল ভিত্তি।
সূত্র:https://tinyurl.com/zcy9mc6b
আফরোজা