![ঘন ঘন প্রস্রাবের চিকিৎসা কী? ঘন ঘন প্রস্রাবের চিকিৎসা কী?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/2-1-2501140414.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রখ্যাত কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এমএ সামাদ। তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে অনেক রোগী আসে যাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, যা অত্যন্ত বিরক্তিকর।
এটি কেন হয়? এটি কি গুরুত্বপূর্ণ রোগের কারণে, না গুরুত্বপূর্ণ রোগ ছাড়াও হতে পারে?
একজন সুস্থ মানুষ দিনে ৪-৫বার প্রস্রাব করে তা হলে এটা স্বাভাবিক। যার মূত্রথলি আছে, তার ধারণক্ষমতা ২৫০ সিসি। এই পরিমাণ জমে গেলে প্রস্রাব করার অনুভূতি তৈরি হয়। এর পরে যত প্রস্রাব জমতে থাকবে, তত বেশি প্রস্রাব অনুভূতি তৈরি হবে। কিন্তু যদি ৭ বারের বেশি প্রস্রাব করতে হচ্ছে, তা হলে এটি ঘন ঘন প্রস্রাব হিসেবে ধরা হবে।
ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা সমাধানের কিছু কার্যকরী উপায়
জীবনযাত্রায় পরিবর্তন: ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত চার থেকে ছয় ঘণ্টা আগে তরল খাবার খাওয়া কমিয়ে আনুন। রাতের বেলা অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন গ্রহণ পরিহার করতে হবে। ধূমপান ত্যাগ করুন। ওজন বেশি থাকলে তা কমিয়ে ফেলুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মূত্রত্যাগ করুন।
পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ বা তলপেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করুন। আপনার পায়ের টিস্যুতে যদি পানি জমে ফোলা ভাব থাকে তাহলে রাত নামার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই সেটিকে বিশ্রাম দিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: নকটারিয়া যদি কোন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হয়ে থাকে যেমন ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ, তাহলে এসব রোগের চিকিৎসা করলে নকটারিয়ারও উপশম হতে পারে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাটা গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসার সময়সূচী পরিবর্তন করা: ডাইরেটিকস এবং এনজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইমের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমিয়ে আনা যায়। এক্ষেত্রে তারা চিকিৎসা সূচী এবং পদ্ধতি পরিবর্তন করে দিয়ে থাকেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: ঘনঘন মূত্রত্যাগের বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ পেতে অনেক সময় ব্যায়াম উপকারে আসতে পারে। এক্ষেত্রে তলপেটের মাংসপেশি ও মূত্রথলির ব্যায়াম এবং এ সংক্রান্ত চিকিৎসা ভাল কাজ করবে। তলপেটের মাংসপেশি ও মূত্রথলির ব্যায়ামের ফলে প্রস্রাবের বেগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সহজ আসে।
প্রয়োজনে ওষুধ খেতে হবে: সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে রোজ ওষুধ খাওয়া নিয়ে ভীতি বা অস্বস্তি রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় রোগীর সাথে আলাপের পর চিকিৎসক নকটারনাল পলিইউরিয়া বা রাত্রিকালীন অতি মূত্র উৎপাদন রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রাসেল