ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা দিচ্ছেন না তো!

প্রকাশিত: ১০:৪২, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা দিচ্ছেন না তো!

ছবি: সংগৃহীত

স্থুলতার কারনে বাচ্চাদের অনেক সময় ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়, অনেক সময় তাঁদের শরীরে কোলেস্টরল চলে আসে, অনেক সময় তাঁদের ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। এছাড়া তাদের ঘাড়ের ওখানে কালো হয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম সমস্যা হয় এবং তাদের সর্বোপরি যে বেশি উচ্চতার জন্যে তাঁদের কিন্তু কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, অনেকক্ষণ হাঁটতে পারে না, দৌড়াতে পারে না, কাজে কামে যে গতি সেগুলো আস্তে আস্তে কমে আসে,এর সাথে অনেক সময় দেখা যায় অনেক বাচ্চাদের নাকের পিছনে মাংস পুড়ে যায়। সেটা দেখা যায় যে অ্যাডিনয়েড বলে, তার জন্য বাচ্চারা খুব আরামের সাথে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে না। মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয় তো এই জাতীয় সমস্যা গুলো। কিন্তু ওভারওয়েট ওবেসিটি এগুলোর সাথে থাকে।

এখন যদি আমরা বলি যে সমস্ত জটিলতা গুলো এখানে হয় সেই জটিলতার ভিতরে আমরা অনেকগুলো বলেছি যে ডায়াবেটিসের কথা,বলেছি কোলেস্টেরলের কথা বলেছি ব্লাড প্রেসারের কথা।এছাড়া অনেক বাচ্চাদের কিন্তু মানসিকভাবে অনেকটা ডিপ্রেসড হয়ে যায় যখন তারা আশেপাশে বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে বুলিং এর শিকার হয়। অনেকসময় তাদের কে কটাক্ষ করে কথাবার্তা বলে এগুলো কিন্তু তাদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। 

আমি এখানে বলতে চাই যে আমাদের জীবন কিন্তু চলছে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণার উপরে।তো সেই জন্যে বাচ্চারা   হয়তো ছোট বয়সে সে তার চাহিদার কথা প্রকাশ করতে পারবে না। কিন্তু কান না দিয়ে তাঁর চাহিদার কথা কিন্তু সে প্রকাশ করে, সে যখন আরও বড় হয় তখন কিন্তু সে মৌখিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে। তাহলে আমাদের উচিত হবে বেশিরভাগ দৃষ্টি আমরা মানসিক বিকাশ কী ভাবে হয় সেদিকে দেব। আর খাবারের বিষয়টা বাচ্চা চাই তার ওপর ছেড়ে দেবো যেটাকে বলা হয় ডিমান্ড ফিটিং বাচ্চার যখন ক্ষুধা লাগবে যখন তার চাহিদার প্রয়োজন হবে সে তখন নিজের খাবার চাইবে। আমাদের দায়িত্ব হবে খাবার তৈরি করে। আমরা বাচ্চাকে দিব বাচ্চা খাবে।

রাসেল

×