ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পিঁয়াজু খেতে অর্ডার দিতে হবে একদিন আগে!

প্রকাশিত: ২১:০১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পিঁয়াজু খেতে অর্ডার দিতে হবে একদিন আগে!

পেঁয়াজু

সুস্বাদু এই পেঁয়াজু চাইলেই খাওয়া যাবে না। একদিন আগে করতে হবে অর্ডার ,তবেই মিলবে আব্দুল কুদ্দুসের বিখ্যাত এই পেঁয়াজু।  

এতটাই জনপ্রিয় এই পেঁয়াজু যে প্রতিদিন দরকার হয় দুই মন পেঁয়াজের। আব্দুল কুদ্দুসের এই পেঁয়াজু  খেতে লোকজন ভিড় জমায় নানা প্রান্ত থেকে। 

সেক্ষেত্রে আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায়, এখানে প্রতিদিন নানা ধরনের মানুষের সমাগম থাকে। 

একই সাথে ভিড় বেশি থাকার কারণে যদি কেউ খুব বেশি করে নিতে চায় সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই জানিয়ে দিতে হবে। 

আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় তার দোকানে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই মন পেঁয়াজু বিক্রি হয়। 

আব্দুল কুদ্দুস জানান যারা এই পেঁয়াজু কেজি ধরে কিনতে চান, তাদেরকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে।   

এছাড়া যারা দোকানে এসে ভিড় জমান বা দোকানে এসে খেতে চান তাদের জন্য থাকে পেয়াজু বাটি ভর্তি, সেইসঙ্গে তরতাজা কাঁচামরিচ। 

দোকানে থাকা একজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় আব্দুল কুদ্দুস সাহেব নিয়ম কানুন খুব সুন্দর ভাবে মেনে চলেন। 

যেহেতু তার দোকানে অনেক বেশি বিক্রি হয় সেক্ষেত্রে কাস্টমারের আনাগোনা স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়।  তাই যারা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কেনার জন্য অপেক্ষা করেন তাদের সকলকে সেই নিয়ম অনুযায়ী পেঁয়াজু দেয়া হয়।   

লাইনের বাহির থেকে কেউ আসলে তাকে সেই নিয়ম ভেঙে পেয়াজু দেয়া হয় না। পাবনার সদর উপজেলার আব্দুল কুদ্দুস নিজ বাড়ির সামনেই টিনের ছাউনি দিয়ে গড়ে তোলেন অস্থায়ী এই দোকান। 

কিছুদিনের মধ্যেই তার হাতের পেঁয়াজু পরিচিতি পায়, পাবনা জেলা সহ আরো নানান ধরনের মানুষের কাছে। আব্দুল কুদ্দুস পেঁয়াজুভাজা এবং খদদের সামলানো সবই তিনি নিজ হাতে করেন। 

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় আব্দুল কুদ্দুসের হাতের পেঁয়াজু অসম্ভব মজাদার হওয়ার কারণে যারা একবার খেয়ে যান তারা বারবার এই দোকানে ফিরে আসেন। 

আব্দুল কুদ্দুস জানান কোন বিদেশী মসলা নয় দেশীয় মসলা সাথে ডাল পেঁয়াজ এবং মরিচের সংমিশ্রণে তিনি এই পেঁয়াজু তৈরি করে থাকেন। 

মজাদার এই পেঁয়াজু বিক্রি করে আব্দুল কুদ্দুসের প্রতি মাসে আয় হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তিনি জানান বিকেল চারটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত তার এই দোকানে পেঁয়াজু বিক্রি হয়। 

দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে কিনে নিয়ে যান এই প্রিয়াজু সাথে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। আব্দুল কুদ্দুস জানান দিনশেষে তিনি বাড়ির জন্যেও এই মজাদার পেয়াজু নিয়ে যান। 

আর কে

×