জান্নাত হচ্ছে পরম শান্তি এবং নেয়ামতের জায়গা।
পবিত্র হাশরের ময়দানে সব হিসাব শেষ হবে, আল্লাহতাআলা তার অশেষ রহমতে জান্নাতীদের দান করবেন জান্নাত। আর এই জান্নাত হচ্ছে পরম শান্তি এবং নেয়ামতের জায়গা।
সেই দিন মানুষের কোন ইচ্ছাই বাকি থাকবে না। জান্নাতের মাটি হবে মিশকের গন্ধ বিশিষ্ট। মুমিনদের ঘরের ইট হবে স্বর্ণ আর রুপার। জান্নাতের রাস্তাগুলো হবে মুক্তার তৈরি।
আর ঘাস গুলো থাকবে জাফরানের তৈরি। মুমিনদের অনন্তকালের চিরস্থায়ী ঠিকানা হবে এই জান্নাত। সেখানে কারো বয়স বাড়বে না। কোন কোন বর্ণনাতে আছে জান্নাতে পুরুষদের বয়স হবে ৩০ অথবা ৩৩। এবং তাদের উচ্চতা হবে আদম (আ:) এর মত।
আর জান্নাতে নারীদের সৌন্দর্য হবে অকল্পনীয়। হাদিসে বর্ণিত আছে জান্নাতে যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে তাকাবে তখন তার সৌন্দর্যে ওই ব্যক্তি মুগ্ধ থাকবে ৪০ বছর।
তখন আল্লাহ পাক জিজ্ঞেস করবেন হে ঈমানদার মুমিনগণ তোমরা কি জান্নাতে সন্তুষ্ট আর কি চাও আমার কাছে। মুমিনগণ বলবে আল্লাহ আপনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট হন। তখন আল্লাহ পাক বলবেন আমি তোমাদের উপর সন্তুষ্ট আর তাই তোমাদের জান্নাত দান করেছি।
এরপর আল্লাহ বলবেন আমি তোমাদের একটা ওয়াদা করেছিলাম সেই ওয়াদা করাটা এখনো বাকি রয়েছে। মানুষ তখন নিজেদের মধ্যে গুঞ্জন করতে থাকবেন কি সেই ওয়াদা। তারা নিজেদের মধ্যে বলতে থাকবেন।
আল্লাহ তো আমাদের সকল গুনাহ মাফ করেছেন, সকল ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, আমাদের সকল চাহিদা পূর্ণ করেছেন। আর কি বা থাকতে পারে।
এই সময় জান্নাতের চারিপাশে দরজা খুলে যাবে এবং আলোকিত হয়ে যাবে। আর আওয়াজ আসতে থাকবে কারা সেই ব্যক্তি যারা আমাকে না দেখে আমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে আজ সেই বৃদ্ধের দিন তোমরা যা চাও তাই দেয়া হবে।
তখন জান্নাতবাসী বলবেন হে আল্লাহ আমরা আপনাকে দেখতে চাই। আল্লাহ পাক সে জামায়াতে উপস্থিত থাকলেও আল্লাহ এবং জান্নাতবাসীর মাঝে থাকবে নূরের পর্দা।
যার কারনে আল্লাহকে মানুষ তখনও দেখতে পাবে না। মানুষের কথোপকথন শুনে তখন আল্লাহ স্বয়ং সেই নূরের পর্দা তুলে নিবেন।
তখন জান্নাতবাসি প্রথম বারের মতো দেখবে তাদের মালিকের চেহারা। সেই মালিক যাকে না দেখেই ভালোবেসেছে।
ইবাদত করেছে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। ভয় পেয়েছে। সেই দিনের সম্মান হয়তো আমরা কেউই কল্পনাও করতে পারবোনা।
আর কে