দুধ ও খেজুর
দুধ ও খেজুর খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার।দুধ ও খেজুর মিশিয়ে খাওয়ার ব্যাপারে জানি খেজুরের বাজারের এর আর্টিকেল পড়ে ।অন্যদিকে নঈম সিদ্দিকীর ‘মানবতার বন্ধু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’ বইতেও উল্লেখ আছে।এরচে বেশি জানা নাই।
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়: খেজুরে প্রচুর আয়রন থাকে, যা রক্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুধে খেজুর ভিজিয়ে তা কিছুক্ষণ গরম করার পর ১৮-৫৫ বছর বয়সী কয়েকজন মানুষকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ানোর পর ১০ দিনের মধ্যে তাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়েছে। দুধ ও খেজুরের এই কম্বিনেশন খেলে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা রোগ সেরে উঠে।
বয়সের ছাপ দূর করে: খেজুর ও দুধে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে বলে এই দুই খাবার বয়স বাড়ার কারণে মুখের চামড়া কুঁচকে যে বয়সের ছাপ পড়ে, তা দূর করে। এক্ষেত্রে দুধে কয়েকটি খেজুর রাতভর ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খেজুর ও দুধের মিশ্রণের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর ১৫-২০ মিনিট সেই পেস্ট মুখে মেখে রাখুন। পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই পেস্ট মুখে মাখলে উপকার পাওয়া যাবে।
ত্বক ও চুলের যত্নে: দুধ-খেজুর ত্বক এবং চুলের যত্নে অনন্য। ত্বকের দাগ ছোপ দূর করে এটি। উপরন্তু হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরিয়ে আনে। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে, তারাও খেয়ে দেখতে পারেন খেজুর-দুধ। উপকার পাবেন নিশ্চিত।
জীবনীশক্তি বাড়ায়: ১০০ গ্রাম খেজুরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ১৫ শতাংশ শক্তি পাওয়া যায়। আর দুধে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রায় ৯ শতাংশ শক্তি থাকে। এ কারণে দুধের সঙ্গে খেজুর ভিজিয়ে খেলে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনি এই ফুড কম্বিনেশন কতটা হজম করতে পারছেন।
শরীরে শক্তি বাড়ে: খেজুরে আছে প্রাকৃতিক শর্করা। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। একসঙ্গে দুটি মিশলে পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় অনেক। তাই নিয়মিত দুধে খেজুর ফেলে খান। শরীর দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পাবেন। যারা জটিল কোনও অসুখে ভুগছেন, তারা দুধ-খেজুর খেলে ভালো ফল পাবেন। পেট পরিষ্কার থাকবে।
গরমকালে এমনিতেই কোনও ভারী খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয়। অল্প খেলেই পেট ভার হয়ে থাকে, গ্যাসের সমস্যা হয়। এই সমস্যা দুর করতে দুধ আর খেজুরের মিশ্রণ বেশ উপকারী। খেজুরে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকে, তা হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে।
দুধ ক্যালশিয়ামের খুব ভাল উৎস। দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে হাড় মজবুত হয়। গাঁটের ব্যথার সমস্যা থাকলেও এই পানীয় খেলে সুফল মিলবে।
দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও খেজুর দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। চোখে আঞ্জনির হলে এই পানীয় খেলে উপকার পেতে পারেন। যারা একটানা কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন তাদেরও চোখের উপর বেশ চাপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রেও খেজুর দুধ খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে দুধ, খেজুরের মিশ্রণ। আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬। এই সমস্ত উপাদান রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করে। ফলে সংক্রমণজনিত সর্দিকাশি ঠেকিয়ে রাখতে পারে এই পানীয়।
অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে দুধ-খেজুরের মিশ্রণ। দুধে রয়েছে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক উপাদান, যা ঘুমের সঙ্গে জড়িত হরমোনের সমতা বজায় রাখে। খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা স্নায়ুর উত্তেজনা বজায় রাখতে পারে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের পথ্য হতে পারে এই পানীয়।
রিয়াদ