ছবি: সংগৃহীত।
টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পরিস্থিতি অনেকেই মোকাবেলা করেন। ঋণগ্রহিতা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা ফেরত না দেয় এবং তার সামর্থ্য থাকে, তবে এই পরিস্থিতিতে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নিচে কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:
১. শান্তিপূর্ণ আলোচনা: প্রথমেই ধৈর্য সহকারে ঋণগ্রহিতার সঙ্গে আলোচনা করুন। তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে জানতে চান কেন তারা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। যদি সম্ভব হয়, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দিন, যার মধ্যে তারা টাকা ফেরত দেবে।
২. লিখিত চুক্তি: ভবিষ্যতে এমন সমস্যা এড়ানোর জন্য, ঋণ দেওয়ার আগে একটি লিখিত চুক্তি তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে ধারদেনা পরিশোধের শর্ত এবং সময়সীমা স্পষ্ট থাকবে।
৩. আইনি ব্যবস্থা নেওয়া: যদি আলোচনা ও চেষ্টার পরও টাকা ফেরত না আসে, তবে আপনি আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। বাংলাদেশের আইনে ঋণ পুনরুদ্ধার করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন:
- নোটিশ পাঠানো: প্রথমে একটি আইনি নোটিশ পাঠান, যা ঋণগ্রহিতাকে তার দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে জানান দেয়।
- মামলা করা: যদি নোটিশ পাঠানোর পরও ঋণ ফেরত না আসে, তবে আপনি আদালতে মামলা করতে পারেন। ঋণ ফিরে পাওয়ার জন্য মামলা দায়ের করার অধিকার আপনার রয়েছে।
৪. মধ্যস্থতা বা সালিসি: কখনও কখনও আদালতের পথে যাওয়ার আগে, একটি সুশৃঙ্খল মধ্যস্থতা বা সালিসির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হতে পারে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়তে পারে এবং সময়ের সাথে সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫. ঋণ পুনরুদ্ধার সংস্থা ব্যবহার: যদি ঋণগ্রহিতা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে একদম উদাসীন হন, তবে আপনি একটি ঋণ পুনরুদ্ধার সংস্থার সাহায্য নিতে পারেন, যারা আপনাকে এই ধরনের সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।
এছাড়া, অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা বা শত্রুতা তৈরি না করে সবসময় সদয় ও শান্তিপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
নুসরাত