বিচ্ছেদ ডেকে আনতে পারে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা।
সম্প্রতি বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। নবদম্পতিদের মাঝে যেমন এই প্রবণতা বাড়ছে তেমনি পিছিয়ে নেই এক সাথে বেশি সময় কাটানো দম্পতিও।
দীর্ঘ দাম্পত্যের পরে বিচ্ছেদ ডেকে আনতে পারে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা। তবে এই ‘গ্রে ডিভোর্স’ কারও কারও জন্য মানসিক চাপ কমানোর উপায়ও বটে।
দীর্ঘ দাম্পত্যের পর যেসব কারণে হতে পারে বিচ্ছেদ—
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব
পারিবারিক সহিংসতা
যৌনজীবনে অপূর্ণতা
দারিদ্র্য ও টানাপোড়েন
সন্তানের কোনো সমস্যা নিয়ে মতানৈক্য
মানসিক রোগ (ব্যক্তিত্বের সমস্যা, মাদকাসক্তি)
বাল্যবিবাহ
জীবনে ঘটে যাওয়া বড় কোনো দুর্ঘটনা, বিপর্যয় ইত্যাদি
কী করবেন
.যে কারণেই হোক, দীর্ঘ দাম্পত্যের পর বিচ্ছেদ হলে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে—
.আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। মনের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
.শোক, দুঃখ বা আঘাতকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
.আর্থিক ব্যবস্থাপনা বা সম্পত্তির বিষয়ে আইন ও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাবেন না। কাউকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করবেন না।
.নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন না। নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখুন। নতুন করে নিজেকে পরিচিত করান।
.পেশাগত আর সামাজিক কর্মকাণ্ডে সাবলীল থাকুন। মনে রাখবেন, বিচ্ছেদ একটি বৈধ প্রক্রিয়া।
.সন্তানের বিষয়ে আইনি ও নৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখুন। বিচ্ছেদ হয় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে, মা–বাবা ও সন্তানদের মধ্যে নয়।
.নতুন কোনো সম্পর্ককে ভবিষ্যতে বিয়েতে রূপান্তর করবেন কি না, সার্বিকভাবে সেটি বিবেচনা করুন।
.লম্বা দাম্পত্যের পর বিচ্ছেদ হলেও এটাকে একটি নতুন শুরু হিসেবে দেখুন।
.চারপাশের যাদের সঙ্গ আপনার ভালো লাগে, তাদের সঙ্গে সময় কাটান।
আর কে