
ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্মকাল শুরু হতেই শরীর সুস্থ রাখতে ও ভালো থাকার জন্য হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। তাপমাত্রা বাড়ার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার অন্যতম কার্যকর উপায় হলো ঠান্ডা ও সতেজতা আনে এমন পানীয় খাদ্যতালিকায় রাখা। বেল শরবত এমনই একটি পানীয়, যা শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, বরং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগায়। ভারতীয় বেল বা উড অ্যাপল একটি ফল যা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। বেল ফলের শাঁস থেকে রস বের করে, তাতে জল ও সামান্য মিষ্টি উপাদান মিশিয়ে তৈরি হয় বেল শরবত।
বেল শরবতের অসংখ্য স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। নিচে এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—
পানিশূন্যতা রোধে সহায়ক: বেল শরবত প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান ধারণ করে, যা গ্রীষ্মকালে শরীরের তরল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: অতিরিক্ত গরমের ফলে হজমপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে এবং বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেলে থাকা খাদ্যতন্তু হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর।
শরীর ঠান্ডা রাখে: বেল শরবতের ঠান্ডা প্রকৃতি শরীরের ভেতর থেকে উত্তাপ কমাতে সহায়তা করে। গরমে আরাম পাওয়ার জন্য এটি একটি আদর্শ পানীয়।
পুষ্টিতে ভরপুর: শুধু হাইড্রেটই নয়, বেল শরবত পুষ্টিতেও ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, ‘এ’, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের কোষকে অক্সিডেটিভ চাপ থেকে রক্ষা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য বেল শরবত হতে পারে ভালো একটি বিকল্প। এতে ক্যালোরি কম, কিন্তু পেট ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ, ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।
ত্বকের যত্নে কার্যকর: বেল শরবতের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সূর্য ও গরমের কারণে ত্বকের ক্ষতি রোধ করতে পারে এবং ত্বকের নমনীয়তা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাপমাত্রা যতই বাড়ুক, বেল শরবতের মতো প্রাকৃতিক ও ঠান্ডা পানীয় গ্রীষ্মকালে শরীরকে হাইড্রেটেড, চনমনে ও সতেজ রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এটি সহজেই খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা যায়। চাইলে সরাসরি পান করুন, চাইলে অন্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে বা স্মুদি বানিয়েও উপভোগ করতে পারেন।
শহীদ