
ছবি: সংগৃহীত
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রতিদিনই গ্রীষ্মের খরতাপ তীব্রতর হচ্ছে। এই গরমে স্বস্তির সেরা পথ হলো বেশি করে পানি পান এবং পানীয় গ্রহণ। তাই নির্জলা পানি পান করুন বারবার। পাশাপাশি বিভিন্ন উপাদানে তৈরি শরবত বা পানীয় মুখে স্বাদ আনবে, পানির চাহিদা পূরণ করবে এবং বাড়তি পুষ্টিরও জোগান দেবে।
তবে বাজারের প্যাকেটজাত জুসে ভরসা না করাই ভাল। এতে প্রচুর চিনি থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো তো নয়, বরং বেশি ক্ষতি করতে পারে। আর কেবল ডায়াবেটিস রোগীই কেনো? যে কারো জন্যই বাড়তি চিনি ক্ষতিকর।
ফল-সবজির সঙ্গে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় উপাদান মিশিয়ে অনেকেই গরমে শরবত বানিয়ে পান করেন। সেটাও ডায়াবেটিস রোগীসহ অনেকের জন্য উপযোগী নয়। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রার দিকেও খেয়ালতো রাখতেই হয়।
তাই, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় যেন প্রভাব না পরে, সেজন্য কম চিনি কিংবা একেবারেই চিনিহীন এবং উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সতেজ গ্রীষ্মকালীন ফল এবং পানীয় পান করতে হবে।
কী ধরনের পানীয় হতে পারে তার গুটিকয় উদাহরণ এখানে তুলে ধরা হলো-
ঘোল: ঘোল এমন এক ঠান্ডা পানীয় যাতে প্রোবায়োটিক রয়েছে। এই পানীয় হজমেও সহায়তা করে এবং শরীরকে হাইড্রেটেডও রাখে। মূলত দুধ বা পাতলা দই দিয়ে তৈরি হয় ঘোল। এতে কম শর্করা এবং ভালো ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি আদর্শ পানীয়। স্বাদ বাড়াতে এতে কিছু মশলা যোগ করা যায়। যেমন: ভাজা জিরা গুঁড়ো, তাজা ধনেপাতা, এক চিমটি কালো গোলমরিচ ও লবণ।
নারকেল বা ডাবের পানি: প্রাকৃতিকভাবে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক এবং সুস্বাদু পুষ্টিকর পানীয় হলো ডাবের পানি। এতে স্বাভাবিকভাবেই ক্যালোরি এবং শর্করা কম থাকে। ডাব পটাশিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইটের একটি দুর্দান্ত উৎস। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি এড়াতে তাজা এবং পরিমিত পরিমাণে ডাবের পারি পান করুন।
আমলকির রস: আমলকির রস ‘ভিটামিন সি’ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাজা আমলকির পেস্ট বা রস পানি সাথে মিশিয়ে পান করুন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে এতে সামান্য লবণ ও পুদিনা পাতা মিশিয়ে পান করতে পারেন।
শসা-পুদিনা ডিটক্স ওয়াটার: এক জগ ঠান্ডা পানিতে শসার টুকরো এবং তাজা পুদিনা পাতা মিশিয়ে এক ঘন্টার জন্য রেখে দিন। শসা-পুদিনা ভেজানো থাকায় এসবের নির্যাস পানিতে মিষে যায়। এই পানীয় গরমে সতেজতার অনুভূতি দিতে পারে। এছাড়াও হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।
শহীদ