
ছবি: সংগৃহীত।
ভিটামিন-B12 আমাদের শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এটি স্নায়ু টিস্যুর সঠিক কার্যকারিতা, মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যপ্রবাহ এবং লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিনের অভাবে মাথার মধ্যে সারাক্ষণ নেতিবাচক চিন্তা আসতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শুধুমাত্র ভিটামিন-B12 সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াই যথেষ্ট নয়; শরীরকে এ ভিটামিন সঠিকভাবে শোষণ করতেও সহায়তা করতে হবে।
দই, ইডলি এবং দোসার মতো ফারমেন্টেড খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে, যা ভিটামিন-B12 সহজে শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি, প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যালোকে থাকলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং এর ফলে ভিটামিন-B12 শোষণ আরও উন্নত হয়।
খাবারের পরপরই চা কিংবা কফি পান না করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক, কারণ ক্যাফেইন এই ভিটামিনের শোষণে বাধা সৃষ্টি করে।
পালং শাক, ডাল ও বিটরুট লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে, যার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন-B12 আরও কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও, অতিরিক্ত রান্নার ফলে দুগ্ধজাত পণ্য ও মাশরুমে থাকা ভিটামিন-B12 নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার বাষ্পে সিদ্ধ করে বা হালকাভাবে রান্না করার পরামর্শ দেন তিনি।
একটি সুস্থ পাচনতন্ত্র ভিটামিন-B12 শোষণকে আরও কার্যকর করে তোলে। এজন্য উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার—যেমন ফল, শাকসবজি ও আস্ত শস্য—নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
সতর্কতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে ভিটামিন-B12 ঘাটতি রোধের মূল চাবিকাঠি।
সায়মা ইসলাম