
ছবি: সংগৃহীত
পরিবারকে আমরা সাধারণত আমাদের আশ্রয়স্থল, নির্ভরতার প্রতীক ও নিঃশর্ত ভালোবাসার স্থান হিসেবে দেখি। তবে, সব পারিবারিক সম্পর্ক সুখকর নয়। অনেক ক্ষেত্রে বিষাক্ত পারিবারিক পরিবেশ একজন ব্যক্তিকে অবহেলিত ও একাকী করে তোলে। নিউ ইয়র্কের 'আনকভার মেন্টাল হেলথ কাউন্সেলিং'-এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কীভাবে বুঝবেন আপনার পরিবার আপনাকে সত্যিই গুরুত্ব দেয় না এবং কীভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন।
পরিবারের অযত্নের ৮টি সতর্ক সংকেত:
যোগাযোগের অভাব: যদি আপনি পরিবারে অবহেলিত বা গুরুত্বহীন অনুভব করেন, তা বড় একটি সতর্কতা।
নির্বিচার সমালোচনা: উৎসাহের বদলে যদি সব সময় নেতিবাচক মন্তব্য পান, তা সুস্থ সম্পর্কের ইঙ্গিত নয়।
ব্যক্তিগত সীমারক্ষাকে উপেক্ষা: আপনার গোপনীয়তা ও মানসিক সীমানা সম্মান করা উচিত, তা না হলে সমস্যা রয়েছে।
শর্তসাপেক্ষ ভালোবাসা: ভালোবাসা কখনো শর্তযুক্ত হওয়া উচিত নয়।
মানসিক অবহেলা: আপনার অনুভূতিগুলো গুরুত্ব না দেওয়া মানেই আন্তরিকতার অভাব।
পক্ষপাতিত্ব: পরিবারে বৈষম্য তৈরি হলে ক্ষোভ ও আত্মবিশ্বাসে ধস নামতে পারে।
একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতা: পরিবারিক অনুষ্ঠানে বা সিদ্ধান্তে আপনাকে বাদ দেওয়া বড় ইঙ্গিত হতে পারে।
কঠিন সময়ে সহায়তার অভাব: বিপদের সময় পাশে না থাকা প্রকৃত সম্পর্কের অভাব নির্দেশ করে।
কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন ও সুস্থ হবেন:
সীমারেখা নির্ধারণ করুন: স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন কোন আচরণ আপনি মেনে নেবেন না।
নিজের যত্ন নিন: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতন থাকুন।
সহযোগী নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: বন্ধু ও বিশ্বাসযোগ্য মানুষের সহায়তা নিন।
ডায়েরি লিখুন: অনুভূতি প্রকাশের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে নিয়মিত লেখালেখি করুন।
সহানুভূতির চর্চা করুন: অন্যের সমস্যাকে বুঝুন, তবে নিজেকে অবহেলা করবেন না।
যোগাযোগ সীমিত করুন: প্রয়োজনে দূরত্ব তৈরি করুন নিজের মানসিক শান্তির জন্য।
নিজেকে গড়ে তুলুন: ব্যক্তিগত দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ান।
পেশাদার সহায়তা নিন: থেরাপিস্টের সাহায্যে সুস্থ জীবনগঠনের পথে এগিয়ে যান।
পরিশেষে, আপনার পরিবারে নেতিবাচক সম্পর্কের চিহ্নগুলো চিনে নেওয়া মানে সাহসের প্রথম ধাপ পেরোনো। মনে রাখবেন, নিরাময় মানে ভুলে যাওয়া নয় — বরং নিজেকে সম্মান ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে নতুন জীবন গড়ে তোলা।
https://uncovercounseling.com/blog/toxic-family-relationships-signs-your-family-doesnt-care-about-you/
আবীর