
ছবি: প্রতীকী
বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ যাওয়ার পর হঠাৎ মনে হলো—“চুলা কি বন্ধ করলাম?” এই মুহূর্তের ছোট্ট আতঙ্ক অনেকেরই পরিচিত। কেউ কেউ আবার সেই চিন্তায় ফিরে যান বাড়িতে, কেবলমাত্র নিশ্চিত হতে। এই মানসিক উদ্বেগ আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি কাজ করে। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, কিছু নির্দিষ্ট রাশির মানুষ এই উদ্বেগে ভোগেন অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পাঁচটি রাশির জাতক-জাতিকারা এমন চিন্তায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন—
১) কর্কট (Cancer)
কর্কট রাশির মানুষদের ঘর, পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি প্রবল ভালোবাসা এবং সুরক্ষাবোধ থাকে। তারা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সচেতন। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একধরনের শঙ্কা কাজ করে তাদের মধ্যে।
এই কারণেই তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায়ই চিন্তিত হয়ে পড়েন—চুলা, গ্যাস কিংবা দরজা ঠিকঠাক বন্ধ হয়েছে তো? নিরাপত্তার ব্যাপারে এই অতিরিক্ত মনোযোগ অনেক সময় তাদের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করে।
২) কন্যা (Virgo)
নিয়ম-শৃঙ্খলা ও নিখুঁততায় বিশ্বাসী কন্যা রাশির মানুষেরা প্রতিটি কাজের আগে ও পরে মানসিকভাবে একটি চেকলিস্ট তৈরি করে নেন।
তারা বাড়ি ছাড়ার আগে একাধিকবার গ্যাস, লাইট, তালা পরীক্ষা করেন। তবুও মনে মনে সন্দেহ কাজ করে—“সত্যিই কি সব ঠিকঠাক করলাম?” এই অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক চাপ বাড়ায়। তবে এটিই তাদের যত্নবান ও সচেতন স্বভাবের প্রকাশ।
৩) মীন (Pisces)
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা কল্পনাবিলাসী ও সংবেদনশীল হন। তারা প্রায়ই নানা দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকেন এবং বাস্তব থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
এই ভাবনার জগতে হারিয়ে গিয়ে তারা প্রায়ই ভুলে যান চুলা বন্ধ করেছেন কি না। এরপর শুরু হয় চিন্তা—“না জানি কি হয়েছে!” আর তখনই তারা নিরাপত্তার খাতিরে আবার ফিরতে পারেন বাড়ির দিকে।
৪) মিথুন (Gemini)
চঞ্চল ও বহুমুখী চিন্তায় ভরা মিথুন রাশির মানুষেরা একসাথে অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততার ফাঁকে প্রায়ই কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেমন চুলা বন্ধ করা, খেয়াল থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে।
তারা হয়তো বেরিয়ে গিয়েই কয়েক মিনিট পরেই চিন্তায় পড়েন—“উফ! চুলা কি বন্ধ করেছি?” এটাই তাদের প্রাণবন্ত ও ভাবনাপ্রবণ স্বভাবের এক অনন্য দিক।
৫) মকর (Capricorn)
জীবনে শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতাকে প্রাধান্য দেন মকর রাশির জাতক-জাতিকারা। তারা কোনো কিছুতেই অব্যবস্থা সহ্য করতে পারেন না।
তাই চুলা, গ্যাস, তালা—সবকিছু একাধিকবার পরীক্ষা করেও মনে মনে অস্বস্তিতে ভোগেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তি পান না। ফলে প্রায়ই তারা ফিরে যান আবার যাচাই করতে।
জ্যোতিষবিদদের মতে, এই উদ্বেগ বা বাড়তি সচেতনতা আসলে দুর্বলতা নয়, বরং সচেতন, যত্নশীল ও দায়িত্ববান মনোভাবেরই পরিচয়।
তাই যদি কখনো দেখেন কেউ মাঝপথ থেকে ফিরে যাচ্ছেন চুলা পরীক্ষা করতে, তাহলে অবাক হবেন না। বরং নিজের দিক থেকেও একবার দেখে নিন, কারণ একটু বাড়তি সতর্কতা অনেক সময় বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।
এম.কে.