
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন নানা সমস্যার মুখোমুখি। ডিজিটাল যুগে সব বয়সী মানুষের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে এই মাধ্যমটি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মেটার জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্প্যাম কন্টেন্ট বা অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট।
মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক ব্যবহারকারী পোস্টের রিচ বাড়াতে ও অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে ফেসবুকের অ্যালগরিদমের দুর্বলতাকে কাজে লাগাচ্ছেন। ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ পোস্ট তৈরি করে তাতে অপ্রাসঙ্গিক বা অতিরিক্ত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন। এমনকি অনেক সময় এমন ছবি বা ভিডিও যুক্ত করা হচ্ছে যার সাথে পোস্টের মূল বিষয়ের কোনো সম্পর্কই নেই।
উদাহরণস্বরূপ—কেউ কুকুরের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখছেন "টপ টেন এয়ারপ্লেন ফ্যাক্টস"—যা সম্পূর্ণ অসংলগ্ন। আবার গাড়ি সংক্রান্ত কোনো পোস্টে ব্যবহার করা হচ্ছে #LikeForLike, #ViralContent ইত্যাদি হ্যাশট্যাগ, যেগুলোর সাথে পোস্টের মূল বিষয়বস্তু সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এ ধরনের আচরণ ঠেকাতে ফেসবুক এখন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা ঘোষণা করেছে—যদি কোনো পোস্টকে স্প্যামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তাহলে সেই পোস্টের রিচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেওয়া হবে। এ ধরনের পোস্ট কেবলমাত্র পোস্টদাতার ফলোয়ারদের মধ্যেই দৃশ্যমান থাকবে এবং সেই পোস্ট থেকে আর কোনো আয় করা যাবে না।
এছাড়াও, যারা ভুয়া কমেন্টের মাধ্যমে পোস্টের এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানোর চেষ্টা করেন, তারাও ফেসবুকের নজরদারির আওতায় আসবেন। শিগগিরই এমন একটি ফিচার চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অপ্রয়োজনীয় বা ফেক কমেন্ট রিপোর্ট করতে পারবেন।
মেটা আরও জানিয়েছে, যারা একাধিক একাউন্ট খুলে একই ধরনের কনটেন্ট বারবার পোস্ট করেন, তাদের জন্য মনিটাইজেশন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটা চায়, ফেসবুককে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও মানসম্পন্ন সামাজিক মাধ্যম হিসেবে বজায় রাখতে। যারা ফেসবুককে অসৎভাবে ব্যবহার করছেন—তাদের জন্য কোনো রকম ছাড় নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইমরান