
ছবিঃ সংগৃহীত
এই দৌড়ঝাঁপের জীবনে মাঝে মাঝে থেমে যাওয়া, নিজেদেরকে বুঝে ওঠা আর ছোট ছোট জিনিসগুলোর কদর করা খুব জরুরি। বলিউড অভিনেত্রী ও পরিবেশকর্মী দিয়া মির্জা এমনই কিছু মননশীল জীবনপাঠ দিয়েছেন, যা বিশেষ করে সেই তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে যারা জীবনে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেন এবং নিরন্তর ছুটে চলেন।
১. বাইরের স্বীকৃতি খোঁজো না
দিয়া মনে করেন, আসল সাফল্য তখনই আসে যখন আপনি নিজেকে ভালোবাসতে শেখেন। প্রত্যেকে আপনার কাজ পছন্দ করবে এমন নয়, তবে আপনি যদি নিজে আপনার কাজ ভালোবাসেন—তাতেই সার্থকতা।
২. ‘না’ বলতে শিখো
সবকিছুতে হ্যাঁ বলা মানেই প্রোডাক্টিভ হওয়া নয়। নিজের সীমারেখা টেনে দেওয়া খুবই জরুরি। দিয়া বলেন, ‘না’ বলা অনেক সময় আপনাকে অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা থেকে বাঁচায়।
৩. নিজের উপর বিশ্বাস রাখো
যারা নিজের উপর বিশ্বাস রাখে এবং নিজের মূল্যবোধকে সম্মান করে, তারাই সত্যিকারের পার্থক্য গড়ে তুলতে পারে। তরুণীদের উদ্দেশে দিয়া বলেন, নিজেকে প্রাধান্য দাও এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখো।
৪. ব্যর্থতাকে আপন করে নাও
দিয়া মনে করেন, ব্যর্থতা কোনো শেষ নয়—বরং এগিয়ে যাওয়ার এক অনিবার্য ধাপ। ব্যর্থতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে আরও শক্তভাবে ফিরে আসার কথা বলেন তিনি।
৫. নিজের যাত্রাকে সম্মান করো
তুলনা আমাদের আনন্দ কেড়ে নেয়। প্রত্যেকের জীবন, লড়াই ও স্বপ্ন আলাদা। দিয়া বলেন, নিজের গল্পকে ভালোবাসো এবং নিজের স্বকীয়তাকে সম্মান করো।
৬. সহানুভূতিশীল হও
জীবনে আমরা কোথায় পৌঁছাতে চাই তা জানলেও, দৈনন্দিন জীবনের উদ্দেশ্য প্রায়ই ভুলে যাই। দিয়া মনে করিয়ে দেন—আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটানো, নিজেকে সময় দেওয়া ও একটু থেমে যাওয়া কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।
৭. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো
জীবনে ছোট ছোট বিষয়ের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা শেখা উচিত। সাফল্যের পেছনে ছুটতে ছুটতে মাঝে মাঝে থেমে, যা আছে তার কদর করলেই হৃদয় পূর্ণ হয়।
দিয়া মির্জার এই সাতটি সহজ অথচ গভীর জীবনপাঠ আজকের কর্মব্যস্ত তরুণীদের জন্য হতে পারে একান্ত দরকারি দিশা।
রিফাত