
ছবি সংগৃহীত
চলমান তীব্র গরমে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই ভরসা রাখছেন ঠান্ডা পানীয় ও প্রাকৃতিক শরবতের ওপর। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পাওয়া আখের রসও হয়ে উঠেছে অনেকের পছন্দের পানীয়। তবে এই আখের রস কি আসলেই শরীরের জন্য উপকারী, নাকি লুকিয়ে আছে কোনো ঝুঁকি? এ নিয়ে মত দিয়েছেন পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে।
আখের রসের উপকারিতা:
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আখের রস প্রাকৃতিক এক ধরনের টনিক, যা তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি জোগায় ও রিফ্রেশিং অনুভূতি দেয়। এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। গরমে শরীরে তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণেও সহায়তা করতে পারে এই রস।
তবে সাবধানতা জরুরি!
আখের রসের কিছু দিক আবার মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ অরিজিৎ। তার মতে, আখের রসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একেবারেই নিষেধ।
এছাড়া এই রস রক্তকে পাতলা করতে পারে, বাড়াতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। এতে মেটাবলিক ডিসঅর্ডার ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকা অবস্থায় এটি খেলে মাথা ঘোরা, অনিদ্রা, পেট খারাপসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
রাস্তার পাশে খোলা পরিবেশে যেভাবে আখের রস বিক্রি করা হয়, তা স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অরিজিৎ জানান, আখের রস অল্প সময়েই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খোলা পরিবেশে তৈরি হলে এতে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, যা পেটের অসুখ ডেকে আনতে পারে।
কীভাবে খেলে ভালো?
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, খালি পেটে আখের রস না খাওয়াই ভালো। খাবার খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পর খেলে এর উপকার মেলে। এছাড়া লেবুর রস, পুদিনা পাতা বা আদা মিশিয়ে খেলে এটি আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
আশিক