
ছবি: সংগৃহীত
দিনের শেষে মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি পেতে ঘুমের আগে এক কাপ সুগন্ধযুক্ত কাশ্মীরি জাফরান ও এলাচ চা হতে পারে আদর্শ পানীয়। ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই উপাদান দুটিকে শুধু রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্যই নয়, চিকিৎসাগত গুণেও বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চা নিয়মিত ঘুমের আগে পান করলে শরীর ও মনের উপর পড়ে ইতিবাচক প্রভাব।
এই চায়ের রয়েছে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা, যা রাতের ঘুমের সময় শরীরের ভেতর থেকে কাজ করে:
১. ত্বকের যত্নে কার্যকর:
জাফরানে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের পুরোনো ক্ষতি সারিয়ে তোলে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এলাচ ত্বক পরিষ্কার করে এবং কালচে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই চা পান করলে ত্বকে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
জাফরান ও এলাচে থাকা ভিটামিন ও খনিজ শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে মজবুত করে তোলে, যা মৌসুমি অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
৩. ঘুমের গুণগত মান বৃদ্ধি করে:
জাফরানে থাকা প্রাকৃতিক যৌগ যেমন ক্রোসিন ও স্যাফ্রানাল ঘুমকে গভীর ও শান্ত করতে সহায়ক। এলাচের প্রশান্তিদায়ক গন্ধও ঘুমাতে সহায়তা করে, যা নিদ্রাহীনতায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য উপকারী হতে পারে।
৪. হজমে সহায়তা করে:
এলাচ হজম শক্তি বাড়াতে সুপরিচিত। এটি গ্যাস, অম্বল ও পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। রাতের খাবারের পর এই চা পান করলে হজম সহজ হয় ও পেট থাকে আরামদায়ক।
৫. মানসিক চাপ কমায়:
সাধারণত “সূর্যের মসলা” নামে পরিচিত জাফরান প্রাকৃতিকভাবে মন ভালো রাখে ও মানসিক চাপ হ্রাস করে। এলাচের স্নিগ্ধ ঘ্রাণের সাথে মিশে এটি একটি চমৎকার মানসিক প্রশান্তি আনে।
৬. হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে:
জাফরান ও এলাচ উভয়েই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত এই চা পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনের শেষে ঘুমানোর আগে এক কাপ কাশ্মীরি জাফরান ও এলাচ চা শরীর ও মনের জন্য হতে পারে এক নিঃশব্দ যত্ন। এই চা শুধু সুস্বাদু নয়, বরং এটি স্বাস্থ্য সচেতনতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
সূত্র: https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/health-fitness/diet/kashmiri-saffron-and-elaichi-tea-benefits-6-wonderful-reasons-to-have-this-drink-at-bedtime/photostory/120721901.cms?picid=120721969
মিরাজ