
খাওয়ার পরপরই যদি আবার ক্ষুধা অনুভব করেন, তাহলে তা হতে পারে অতিরিক্ত ক্ষুধার একটি ইঙ্গিত। এটি শুধু বিরক্তিকর নয়, স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। তবে এ ধরনের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে কিছু নির্দিষ্ট প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। পুষ্টিবিদদের মতে, এ ধরনের খাবার দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখতে সক্ষম, ফলে ক্ষুধা কমে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকেও বিরত থাকা যায়।
জেনে নিন এমন পাঁচটি কার্যকর খাবারের তালিকা:
গ্রিক দই হতে পারে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের সেরা উপায়
অতিরিক্ত ক্ষুধা মোকাবেলায় কার্যকরী সমাধান হিসেবে খেতে পারেন গ্রিক দই। এটি সাধারণ দইয়ের তুলনায় অনেক বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ। চাইলে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন নানা রকম ফল, যা এই দইকে করে তুলবে আরও সুস্বাদু।
কুইনোয়া: ক্ষুধা কমায়, পেট ভরিয়ে রাখে
ক্ষুধা কমানোর উত্তম সমাধান হতে পারে কুইনোয়া। এতে প্রচুর পরিমাণে আশ থাকায় এটি হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামুক্ত রাখে। রান্না করা এক কাপ কুইনোয়াতে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন ও পর্যাপ্ত আশ থাকে। ভাতের পরিবর্তে কুইনোয়া খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেক পুষ্টিবিদ।
চিয়াবিজ: ধীরে হজম হয়, ক্ষুধা কমায়
পুষ্টিগুণে ভরপুর চিয়াবিজও হতে পারে ক্ষুধা দূর করার একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান। এতে থাকে প্রোটিন, আশ এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। চিয়াবিজ পানিতে ভিজিয়ে খেলে এটি জেলির মতো আকার ধারণ করে, যা ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা কম রাখতে সাহায্য করে।
বাদামে মিলবে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি
প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও আশের দারুণ উৎস হলো বাদাম। কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠবাদামের মতো এক মুঠো বাদাম খেয়েই মিলবে পর্যাপ্ত ক্যালোরি ও পুষ্টি। এটি ক্ষুধা দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
ছোলা ও মিষ্টি আলুর জুটি ক্ষুধা কমাতে সহায়ক
বুট বা ছোলার মতো ডাল জাতীয় খাবার কাঁচা অথবা সিদ্ধ করে কাছে রাখুন। অল্প পরিমাণে খেলে ক্ষুধা কমে আসে দ্রুত। সাথে চাইলে যুক্ত করতে পারেন সিদ্ধ মিষ্টি আলু, যা আরও কার্যকরভাবে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত ক্ষুধা শুধু আপনার ডায়েট নয়, পুরো স্বাস্থ্যচক্রে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন ও আশসমৃদ্ধ এই খাবারগুলো রাখলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, শরীরও থাকবে সুস্থ ও পরিপূর্ণ।
সূত্র:https://tinyurl.com/467hfu4c
আফরোজা