
ছবিঃ সংগৃহীত
আপনার সন্তান অত্যন্ত রাগী এবং জেদি? কোন কথাই শোনে না? চিন্তার কিছু নেই। মাত্র ১৫ থেকে ৩০ দিন যদি আপনি নিচের যেকোনো তিনটি কৌশল মেনে চলেন, তাহলে সন্তানের মধ্যে দারুণ পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
সন্তানের রাগ বা জেদ প্রতিটি অভিভাবকের জন্যই চিন্তার বিষয়। শিশুকে জেদমুক্ত করতে এবং অতিরিক্ত রাগ থেকে রক্ষা করতে, তাদের প্রতি ইতিবাচক ও যত্নশীল হওয়াটা জরুরি। কিছু কার্যকর কৌশল আছে, যা প্রয়োগ করে সন্তানের রাগ ও জেদ মোকাবেলা করা সম্ভব। চলুন, সেই কৌশলগুলো জেনে নেওয়া যাক—
১. শান্ত থাকুন
আপনার সন্তান যখন রাগ করে, তখন আপনাকে অবশ্যই শান্ত থাকতে হবে। আপনি যদি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন, তাহলে শিশুর রাগ আরও বেড়ে যেতে পারে। বরং আপনি শান্ত থাকলে, আপনার সন্তানও দ্রুত শান্ত হবে।
২. সন্তানের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন
শিশুটি কেন রেগে যাচ্ছে বা জেদ করছে, তা বোঝার চেষ্টা করুন। অনেকে তাদের অনুভূতি ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না। তাকে বলুন, "আমি বুঝতে পারছি তুমি কী চাও এবং কেন কষ্ট পাচ্ছ।" এতে সে নিরাপদ বোধ করবে এবং নিজের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পাবে।
৩. বিকল্প কিছু দিন
আপনার সন্তান কোনো কিছু নিয়ে জেদ করছে? সরাসরি না করে তাকে গ্রহণযোগ্য কোনো বিকল্প দিন। এতে সে বুঝবে, তার চাওয়াকে আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং তা বিবেচনাও করছেন।
৪. ধৈর্য ধরুন ও সময় দিন
সন্তান রাগান্বিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হতে পারে। তাকে সময় দিন। সে নিজে থেকেই ধীরে ধীরে শান্ত হবে। যদি সে একা থাকতে চায়, তবে তাকে একা থাকতে দিন।
৫. একটি নিয়মিত রুটিন তৈরি করুন
অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন অনেক সময় শিশুকে রাগী করে তোলে। তাই একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন এবং প্রথমদিকে তাকে সেই রুটিন অনুসরণে সহায়তা করুন। কিছুদিনের মধ্যে সে নিজেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
৬. ইতিবাচকভাবে উৎসাহ দিন
শিশুর ভালো আচরণগুলোর প্রশংসা করুন এবং তাকে ইতিবাচকভাবে উৎসাহিত করুন। এতে করে সে বুঝবে, কোন আচরণগুলো তার জন্য গ্রহণযোগ্য।
৭. শাস্তি নয়, সচেতনতা তৈরি করুন
শাস্তির পরিবর্তে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন কেন রাগ এবং জেদ করা ঠিক নয়। উদাহরণস্বরূপ, বলতে পারেন, "তুমি যদি খেলনাটা ভেঙে ফেলো, তাহলে আর খেলতে পারবে না।"
৮. আগ্রহী হন ও মনোযোগ দিন
আপনার সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান এবং মনোযোগ দিন। যদি সে বুঝতে পারে যে আপনি তার প্রতি মনোযোগী, তাহলে সহজেই নিজের আবেগ প্রকাশ করবে এবং রাগ-জেদ কমে আসবে।
শেষ কথা
সন্তানের মন-মানসিকতা বুঝে, ভালোবাসা ও যত্নের মাধ্যমে তাকে পরিচালনা করা হলে ধীরে ধীরে তার রাগ এবং জেদ কমে আসবে।
ইমরান