ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

মাত্র ৭ দিনেই ডায়াবেটিসের খেলা শেষ! খরচ হবে না ১ টাকাও

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

মাত্র ৭ দিনেই ডায়াবেটিসের খেলা শেষ! খরচ হবে না ১ টাকাও

ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিস একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক রোগ, যাতে মানুষের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায় এবং এটি সারা জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ডায়াবেটিসকে বলা হয় সুগার ডিজিজ।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং খাদ্যাভাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলিও চিনির স্তরকে প্রভাবিত করে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়।

ডাঃ অনিল বনসল বলেন, যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, মানুষের একটি ভাল জীবনধারা, সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। সবকিছুর একটি ভাল ভারসাম্য তৈরি করা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করতে পারে।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শরীরকে ইনসুলিনের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে। এতে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়ামের পাশাপাশি সময়মতো ওষুধও খেতে হবে। এ ব্যাপারে গাফিলতি করা উচিত নয়।

চিকিৎসক বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা কিছু সময় ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম মানে শুধু ওয়ার্ক আউট নয়, হাঁটাহাঁটি করলে সুগার লেভেলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ডায়াবেটিস রোগীদের লাঞ্চ ও ডিনারের পর ব্যায়াম করতে হবে।

যদি দুপুরের খাবারের পর তা সম্ভব না হয়, তবে রাতের খাবারের পর সব উপায়ে হাঁটা বা ব্যায়াম করা উচিত। আসলে খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম করার জন্য একটি উপযুক্ত সময় আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ডা. অনিল বনসল বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার পর অবশ্যই হাঁটতে হবে। সাধারণত, রাতের খাবারের পর হাঁটা বা ব্যায়াম করা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়।

অনেক গবেষণায়ও এই সময়টিকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যাইহোক, লোকেদের সারা দিন শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করা উচিত এবং যখনই তারা খাওয়ার পরে সুযোগ পায়, তাদের শারীরিক কার্যকলাপ করা উচিত। এতেই সুগার লেভেল তরতরিয়ে কমবে৷

শহীদ

×