
ছবি: সংগৃহীত
ধীরে হাঁটলে ওজন কমবে তো? দ্রুত হাঁটলে বেশি ক্ষণ দম ধরে রাখতে পারেন না যে! দ্রুত হাঁটবেন না কি ধীরে, কোনটি ভাল? ধন্দে পড়ে এমন প্রশ্নে জর্জরিত অনেকের মতো আপনিও? সে ক্ষেত্রে নতুন রুটিনে হাঁটা অভ্যাস করে দেখতে পারেন। ইংরেজিতে এই নিয়মটিকে ‘ইন্টার্ভাল ওয়াকিং’ বলা হচ্ছে। ইন্টার্ভাল অর্থাৎ ব্যবধান মেনে হাঁটার নিয়ম।
ইন্টার্ভাল ওয়াকিংয়ের নিয়ম কী?
পালা করে গতি বদলানোই এই হাঁটার মূলমন্ত্র। প্রথমে কয়েক মিনিট আপনার স্বাভাবিক গতির তুলনায় দ্রুত হাঁটতে হবে। তার পর খানিক ক্ষণ একেবারে গতি কমিয়ে আনতে হবে। খানিক ক্ষণ এ ভাবে হাঁটার পর আবার গতি বাড়িয়ে হাঁটার রুটিনকেই ‘ইন্টার্ভাল ওয়াকিং’ নাম দেওয়া হয়েছে।
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের ওয়েবসাইট ‘হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং’য়ে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি গবেষণপত্রে চিকিৎসক লরেন এলসন জানাচ্ছেন, দ্রুত হাঁটার কথা বলা হচ্ছে কারণ এর ফলে ব্যক্তির হৃৎস্পন্দনের গতি বাড়তে পারে। এই নিয়মের মধ্যেই আরও একটি নিয়মের বা রুটিনের সংযোজন হয়েছে সম্প্রতি। তা হল ৫-৪-৫ রুটিনে হাঁটা।
হাঁটার ৫-৪-৫ রুটিন কী?
হৃৎস্পন্দন বাড়ানোর জন্য প্রথমে ৫ মিনিট দ্রুত হাঁটতে হবে, অথবা দৌড়তে হবে। তার পর ৪ মিনিট ধীরে ধীরে হাঁটতে হবে। দম বাঁচাতে এই ৪ মিনিট যথেষ্ট। হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাকে অব্যাহত রাখতে তাই পরের ৫ মিনিটে ফের সেই গতির সঙ্গে হৃৎস্পন্দনের গতিকে মেলাতে হবে। সারা দিনে দুই বা তিন বার মতো এই রুটিনটি অভ্যাস করলেই ৩০-৪৫ মিনিটের শরীরচর্চা হয়ে যাচ্ছে। এতে না জিমের প্রয়োজন, না ট্রেডমিলের।
একটানা ধীরে হাঁটা, জগিং করা বা দৌড়নোর তুলনায় ইন্টার্ভাল ওয়াকিংয়ের উপকারিতা বেশি বলা হচ্ছে। তার অন্যতম কারণ, এতে কোনওটিই অতিরিক্ত নয়। দু’ধরনের গতির ভারসাম্য বজায় রাখার ফলে একই সঙ্গে হাই ইন্টেনসিটি ইন্টার্ভাল ট্রেনিং এবং অ্যারোবিক এক্সারসাইজ়, দু’টিই হয়ে যায়।
এছাড়া অন্যান্য গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইন্টার্ভাল ওয়াকিংয়ের ফলে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত হচ্ছে। ‘সেল মেটাবলিজ়ম’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, ৬৫ থেকে ৮০ বছরের মানুষদের মধ্যে যাঁরা ইন্টার্ভাল ওয়াকিং এবং অন্যান্য ইন্টার্ভাল ওয়ার্কআউট করেছেন, তাঁদের হার্টের কার্যকারিতা বেড়েছে, বার্ধক্যজনিত পেশিক্ষয় রোধ করা গিয়েছে।
শহীদ