
ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমের শুরুটা মধুর, রঙিন স্বপ্নে মোড়ানো। কিন্তু এই মুগ্ধতার মধ্যেও কিছু সতর্কবার্তা লুকিয়ে থাকতে পারে, যা অগ্রাহ্য করলে ভবিষ্যতে সম্পর্কের বড় সংকটের জন্ম দিতে পারে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পর্কের গোড়ার দিকেই কিছু আচরণগত ইঙ্গিত আমাদের সতর্ক করে দেয়—যদি আমরা তা খেয়াল করি।
আজকের প্রতিবেদনে জানুন, এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ‘রেড ফ্ল্যাগ’ সম্পর্কে, যা সম্পর্কের শুরুতেই বুঝে নেওয়া জরুরি।
১. অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ বা স্বাধীনতা হরণ
প্রেমের শুরুতে আপনার সঙ্গী যদি আপনার প্রতিটি কাজের ওপর নজরদারি করতে চায়, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন—এসব নিয়ে অস্বাভাবিক মাত্রায় প্রশ্ন করে বা আপনাকে সীমাবদ্ধ করতে চায়, তাহলে এটি বড় সতর্ক সংকেত। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস ও পারস্পরিক সম্মান। যদি কোনো পক্ষ অপর পক্ষের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে চায়, তাহলে তা ভবিষ্যতে মানসিক অবসাদ, আস্থাহীনতা এবং নির্যাতনের রূপ নিতে পারে।
২. অতিরিক্ত দ্রুত আবেগ প্রকাশ বা 'লাভ বম্বিং'
কিছু মানুষ সম্পর্কে ঢোকার পর অল্প সময়েই অস্বাভাবিক মাত্রায় ভালোবাসার প্রকাশ করে—প্রতিনিয়ত উপহার, প্রশংসা, বা চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। মনোবিজ্ঞানীরা এটাকে 'লাভ বম্বিং' বলে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও এটা শুরুতে রোমাঞ্চকর মনে হতে পারে, তবে লক্ষ্য করা গেছে, অনেক সময় এই অতিরিক্ত আবেগের পেছনে থাকে অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা বা মানসিক নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা। প্রেমে স্বাভাবিক গতি এবং সময়ের সাথে অনুভূতির বিকাশই সম্পর্কের জন্য স্বাস্থ্যকর।
প্রেমের শুরুতে চোখ বন্ধ করে আবেগে ভেসে যাওয়া সহজ। কিন্তু সুস্থ সম্পর্ক গড়তে হলে সতর্ক চোখে সঙ্গীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, যে সম্পর্কের গোড়ার দিকেই নিয়ন্ত্রণ বা অস্বাভাবিক আবেগের ছাপ পড়ে, তা ভবিষ্যতে সুখের বদলে দুঃখের কারণ হতে পারে। তাই সম্পর্কের শুরুতেই নিজের আত্মমর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখা জরুরি।
নুসরাত