
ছবি: প্রতিকী
পরিমিত কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে—এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে কফি পানকে যুক্ত করেছেন গবেষকরা। এই উপকারিতার পেছনে রয়েছে কফির মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা ক্যাফেইনযুক্ত এবং ক্যাফেইনমুক্ত উভয় ধরনের কফিতেই পাওয়া যায়।
হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের নিউট্রিশন বিভাগের রিসার্চ ফেলো ডেরিক আলপেরেটের সহলেখকতায় করা এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন চার কাপ কফি (কিন্তু ক্রিম ও চিনি ছাড়া) পান করলে শরীরের মোট চর্বির পরিমাণ প্রায় ৪% কমে যেতে পারে।
২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল হাফিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডেরিক আলপেরেট বলেন, “আমাদের গবেষণার ফলাফল এবং আগের গবেষণাগুলোর প্রমাণ মিলিয়ে বলা যায়, নিয়মিত কফি পান ওজন কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে—যদি তা এমন একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হয়, যেখানে ফলমূল, শাকসবজি, মাছ এবং সম্পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার বেশি থাকে এবং চিনি, কৃত্রিমভাবে মিষ্টিযুক্ত পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত এবং লাল মাংস কম থাকে।”
একই প্রতিবেদনে, হার্ভার্ডের এপিডেমিওলজি বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর এলিজাবেথ মোস্টফস্কি জানান, ক্যাফেইন মস্তিষ্কের সেই রিসেপ্টরগুলোকে ব্লক করতে পারে, যেগুলো ব্যথার সঙ্গে যুক্ত। ফলে ক্যাফেইন ব্যথানাশক ওষুধের কার্যকারিতাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সূত্র: https://hsph.harvard.edu/news/coffee-beneficial-healthy-diet/
রবিউল হাসান