
ছবি: প্রতিকী
কথা বলা, ব্যাখ্যা দেওয়া, যুক্তি তোলা—এসবই আমাদের স্বাভাবিক মানবিক আচরণ। কিন্তু কখনো কখনো এই স্বাভাবিক অভ্যাসই আমাদের ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। তাই কিছু কিছু পরিস্থিতিতে নীরব থাকা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমন ১০টি পরিস্থিতি যেখানে চুপ থাকাই শ্রেয়:
১. ভুল ধরনের তর্কে জড়িয়ে গেলে
তর্ক হওয়া স্বাভাবিক। তবে কিছু তর্ক খুব আবেগপ্রবণ এবং রাগের বশবর্তী হয়ে ঘটে, যেখানে মানুষ এমন কিছু বলে ফেলে যা বলা উচিত নয়। এমন উত্তপ্ত মুহূর্তে নীরব থাকাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
২. সব তথ্য না জানলে
সম্পূর্ণ তথ্য ছাড়া কোনো বিষয়ে মতামত দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই যেখানে সব তথ্য জানা নেই, সেখানে বিতর্ক বা আলোচনায় অংশ না নিয়ে নীরব থাকাই শ্রেয়।
৩. অন্যের অভিযোগ বা ভেন্টিং চলাকালে
অনেক সময় মানুষ কোনো পরামর্শ চায় না, বরং মন খুলে বলতে চায়। যদি মনে হয় কেউ শুধু নিজের কষ্টের কথা বলছে, সেখানে পরামর্শ না দিয়ে নীরবে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।
৪. উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে
সবাই আমাদের মঙ্গল চায় না। কেউ কেউ উসকানি দিয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতি বুঝতে পারলে প্রতিক্রিয়া না দিয়ে নীরব থাকা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. যখন কেউ নিজের অতিরিক্ত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করছে
অনেক সময় আমরা কথা বলতে বলতে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত বিষয়, প্রেমঘটিত গল্প বা গুজব বলে ফেলি। বিশেষ করে পেশাদার পরিবেশে এমন তথ্য শেয়ার করা বিপদজনক হতে পারে। তাই সচেতনভাবে নীরব থাকা উচিত।
৬. অন্যায় বিচার বা সমালোচনার সময়
কাউকে দেখে মনে হতে পারে তার পোশাক বা আচরণ অদ্ভুত। তবে এটি আপনার ব্যক্তিগত মত, সবাই তা শুনতে চায় না। তাই অন্যায়ভাবে কাউকে বিচার বা সমালোচনা করার বদলে নীরব থাকাই ভালো।
৭. গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য চলাকালে
ধরা যাক, অফিসের বিজনেস হেড কোম্পানির সাফল্যের ওপর বক্তব্য দিচ্ছেন। এমন সময়, যদি আপনাকে সরাসরি কিছু বলতে না বলা হয়, তাহলে নীরব থাকাই শালীনতা ও পেশাদারিত্বের পরিচায়ক।
৮. যখন আলোচনায় আপনি যুক্ত নন
চারজন বন্ধু জলবায়ু পরিবর্তন বা বৈশ্বিক রাজনীতির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করছে। আপনি হঠাৎ করে বিপরীতমুখী কোনো মন্তব্য করতে চান। এমন অবস্থায়, যদি কেউ বিশেষভাবে আপনার মতামত না চায়, তাহলে নীরব থাকা উচিত।
৯. সিদ্ধান্ত না নিয়ে দ্রুত কিছু বলার আগে
কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে না ভেবে মন্তব্য করা ঠিক নয়। চাকরির অফার গ্রহণ করা হোক বা নিজের ক্যামেরা ধার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি—সবকিছু ভালোভাবে ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ততক্ষণ নীরব থাকাই উত্তম।
১০. দুঃখজনক ঘটনার সময়
দুঃখের সময়ে শব্দের চেয়ে অনুভূতির গুরুত্ব বেশি। হৃদয়ভাঙা বা ট্র্যাজেডির মুহূর্তে নীরব উপস্থিতিই সবচেয়ে বড় সহমর্মিতা প্রকাশ করে। কারণ কোনো কথাই সেই ব্যথা মুছতে যথেষ্ট নয়।
সূত্র: https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/spotlight/web-stories/10-situations-it-is-best-to-stay-silent-in/photostory/120605677.cms
রবিউল হাসান