
ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্মের অন্যতম জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর ফল কাঁঠাল। রসালো স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদের জন্যই নয়, পুষ্টিগুণের কারণেও গ্রীষ্মকালে খাদ্য তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেন গরমের দিনে কাঁঠাল খাওয়া জরুরি।
শরীরে জোগায় শক্তি
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম ও পানিশূন্যতার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কাঁঠাল প্রাকৃতিকভাবে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। একটি মাঝারি আকারের কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ থাকে, যা শরীরকে তাৎক্ষণিক এনার্জি দেয়।
ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার
কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। গ্রীষ্মের সময় ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশির মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কাঁঠাল খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম মজবুত হয়। এছাড়া এতে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
হজমে সহায়তা করে
গ্রীষ্মকালে অনেকেই বদহজম বা অজীর্ণতার সমস্যায় ভোগেন। কাঁঠালে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত পরিমিত কাঁঠাল খাওয়া পেটের জন্যও উপকারী।
ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক
কাঁঠালে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ ও জিঙ্কের মতো উপাদান, যা ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, বলিরেখা কমাতে এবং চুল পড়া রোধ করতেও সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক ঠাণ্ডা অনুভূতি দেয়
কাঁঠালের উচ্চ জলীয় উপাদান শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কাঁঠাল খাওয়া শরীরে এক ধরনের শীতল প্রশান্তি আনে, যা ডিহাইড্রেশন রোধেও কার্যকর।
যদিও কাঁঠাল পুষ্টিকর, তবে অতিরিক্ত খেলে গ্যাস বা হজমের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের কাঁঠাল খাওয়ার আগে পরিমাণ নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি। প্রকৃতি যেমন গ্রীষ্মে আমাদের জন্য কাঁঠালের মতো ফলের ব্যবস্থা করেছে, তেমনি আমাদেরও এই সময়ে প্রকৃতির এই উপহারকে গ্রহণ করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করা উচিত। তাই গরমের দিনে খাদ্য তালিকায় পাকা কাঁঠাল বা কাঁঠালের বিচির নানা পদ রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
ফারুক