
ছবি: প্রতীকী
অনেক সময় আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমন কিছু তথ্য অন্যদের সাথে শেয়ার করি, যা পরে আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক এক ভিডিওবার্তায় আবু মারজান এই প্রসঙ্গে সতর্ক করে জানিয়েছেন, কিছু কিছু বিষয় রয়েছে, যা গোপন রাখলে জীবন হবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়। চলুন জেনে নিই কোন কোন বিষয়ে চুপ থাকা উচিত এবং কেন।
জীবনের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
নিজের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও পরিকল্পনা অন্যের কাছে প্রকাশ করলে মস্তিষ্ক মনে করে কাজটি অনেকটাই সম্পন্ন হয়ে গেছে। এতে করে উদ্যম কমে যায়। পাশাপাশি, নেতিবাচক মন্তব্যের ফলে মনোবল ভেঙে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তা নিজের মধ্যে রাখাই উত্তম।
আর্থিক অবস্থা
আপনার ইনকাম বা আর্থিক পরিস্থিতি অন্যদের জানানোও ঝুঁকিপূর্ণ। উচ্চ আয় হলে হিংসা বা সন্দেহ, আর কম আয় হলে করুণা ও উপহাসের শিকার হতে হতে পারেন। তাই এ বিষয়টি গোপন রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পারিবারিক সমস্যা
প্রত্যেক পরিবারেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। তবে এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললে তা কৌতূহলী বা কুচক্রীদের জন্য হাসির খোরাক হতে পারে। এমনকি এর অপব্যবহার করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইলও করা হতে পারে। তাই কেবল ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত মানুষের সাথেই এ ধরনের আলোচনা সীমিত রাখা উচিত।
দুর্বলতা ও ভয়
নিজের ভয় বা দুর্বলতার কথা প্রকাশ করলে তা অন্যের হাসাহাসির বিষয় হয়ে উঠতে পারে। তীব্র প্রতিযোগিতামূলক সমাজে এগুলো গোপন রাখা আত্মরক্ষার অন্যতম কৌশল।
অপরের ব্যাপারে ব্যক্তিগত মতামত
কাউকে অপছন্দ করলে সরাসরি তাকে বা অন্য কাউকে তা জানানো সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। অনুরূপভাবে, কারো ভুল বারবার উল্লেখ করাও অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর। সব সত্য কথা সব সময় বলা উচিত নয়— এটিই পরিণত আচরণের নির্দেশনা।
একান্ত ব্যক্তিগত সম্পর্ক
নিজের প্রেম, বিবাহ বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জটিলতা অন্যের সাথে শেয়ার করা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ অপরের হস্তক্ষেপ কিংবা অবিবেচক মন্তব্য সম্পর্কের জন্য ঝড়ের মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই এসব বিষয়ে চুপ থাকা নিরাপদ।
পরোপকার ও দান খয়রাত
কাউকে সাহায্য করলে বা দান করলে তা প্রচার না করাই উত্তম। ইসলামী শিক্ষানুসারে, ডান হাত দান করলে যেন বাম হাতও তা জানতে না পারে— এমন নীতিতে চলাই শ্রেয়। নিঃস্বার্থ সাহায্যই প্রকৃত মানবিকতার পরিচয়।
এম.কে.