
ছবি: সংগৃহীত।
দেশে ও দেশের বাইরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র। সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও ধনাঢ্যদের লক্ষ্য করে নিখুঁত ফাঁদ পাতছে এই চক্রগুলো। অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে দিনের পর দিন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, প্রথমে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে, কখনো অনলাইনে ভিডিও কলে খোলামেলা আলাপচারিতা রেকর্ড করে, আবার কখনো সরাসরি রুম ডেটের নামে বাসায় ডেকে এনে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা হয়। একবার ফাঁদে পড়লে মুক্তি পেতে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।
হানি ট্র্যাপ কী?
'হানি ট্র্যাপ' শব্দটি প্রথম জনপ্রিয় হয় ব্রিটিশ-আইরিশ লেখক জন লে ক্যারের ১৯৭৪ সালের গোয়েন্দা উপন্যাস 'টিঙ্কার, টেইলর, সোলজার, স্পাই' প্রকাশের মাধ্যমে। হানি ট্র্যাপ মূলত প্রেম বা যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে কাউকে ব্ল্যাকমেইল বা নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর একটি কৌশল। সাধারণত রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অধিকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব চক্রের মূল লক্ষ্য শুধু ব্যক্তিগত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া নয়, কখনো কখনো তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এজন্য সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
নুসরাত