ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

আপনিও কি টেক্সট মেসেজকে ফোন কলের থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন? জেনে নিন, এর পেছনে কোন কারণগুলো কাজ করে

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৩:১৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আপনিও কি টেক্সট মেসেজকে ফোন কলের থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন? জেনে নিন, এর পেছনে কোন কারণগুলো কাজ করে

ছবিঃ সংগৃহীত

আপনার ফোন বেজে উঠলে অস্বস্তি লাগে, কিন্তু মেসেজের মাধ্যমে সহজেই উত্তর দিতে পারেন? তাহলে আপনি একা নন। এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১০ শতাংশ Gen Z প্রাপ্তবয়স্করা ফোনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রায় অর্ধেকই বলেছে, ফোন কল তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়— তাই তারা মেসেজকেই বেশি নিরাপদ মনে করে।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পছন্দ কিন্তু কাকতালীয় নয়। আমরা যেভাবে যোগাযোগ করতে পছন্দ করি, তা আমাদের ব্যক্তিত্বের গভীর বৈশিষ্ট্যগুলোর আভাস দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা টেক্সট-ফার্স্ট মানসিকতা পোষণ করেন, তাদের মাঝে কয়েকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়:

ইন্ট্রোভার্ট বা নিঃশব্দে সময় কাটানোর প্রয়োজনীয়তা

ফোনে কল করতে হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং আবেগীয় শক্তি লাগে। কিন্তু ইন্ট্রোভার্টরা নিজেদের ভেতরে ভেবে নিয়ে উত্তর দিতে পছন্দ করেন, যা টেক্সটিং সহজ করে দেয়।

নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের প্রবণতা

টেক্সটে শব্দ ঠিক করে সাজানো যায়, ইমোজি যোগ করা যায়। যারা নিজের উপস্থাপনা নিয়ে সচেতন, তাদের জন্য টেক্সট আদর্শ মাধ্যম।

বেশি দায়িত্ববান ও সতর্ক মানসিকতা

টেক্সটের মাধ্যমে কথোপকথনের লিখিত রেকর্ড থাকে। তাই ভুল কম হয়, তথ্য হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।

সমালোচনার ভয় থাকা

টেক্সটে জড়তা বা নার্ভাসনেস প্রকাশ পায় না। তাই যারা প্রত্যক্ষ সমালোচনাকে ভয় পান, তাদের জন্য টেক্সট বেশি নিরাপদ।

নিজের সময় ও স্বাধীনতা বজায় রাখার আকাঙ্ক্ষা

টেক্সটিং মানে — ভাবার সময় পাওয়া, সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করার সুযোগ। এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে যাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্তে আসতে অস্বস্তি বোধ করেন।

নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ ও আগ্রহী হওয়া

নতুন অ্যাপ ও ফিচার যেমন ভয়েস নোট, জিআইএফ ব্যবহারে যারা আগ্রহী, তারা সাধারণত টেক্সটিংকে অগ্রাধিকার দেয়।

কগনিটিভ মিনিমালিজম

কম কথায় কাজ শেষ করা, অতিরিক্ত সামাজিক আলাপে না জড়ানো— এই মানসিকতা থেকেও অনেকেই টেক্সট পছন্দ করেন।

তবে এতোকিছুর পরেও বড় ও আবেগপূর্ণ আলোচনার জন্য মাঝে মাঝে ফোন কলে কথা বলুন। এতে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। আপনি যদি ইন্ট্রোভার্ট, পারফেকশনিস্ট বা ব্যস্ত জীবনের জন্য টেক্সট করতে বেশি পছন্দ করেন— সেটা আপনার ব্যক্তিত্বের গল্প বলে। তবে মাঝে মাঝে তিন মিনিটের একটি কল সম্পর্ককে আরও গভীর ও মানবিক করে তুলতে পারে। আপনার মুঠোফোন শুধু আঙ্গুলের নয়, হৃদয়েরও গল্প বলুক!

সূত্রঃ ডেইলি মোটভেশন নিউজ

আরশি

×