
ছবি: সংগৃহীত।
ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকেই নিয়মিত হাই হিল পরেন। অফিস মিটিং হোক কিংবা পার্টি — আকর্ষণীয় লুকের জন্য হাই হিল যেন অবিচ্ছেদ্য। তবে স্টাইলের এই মূল্য দিতে হয় শরীরের আরাম বিসর্জন দিয়ে। অনেকেই হিল পরার কারণে কোমর, হাঁটু কিংবা গোড়ালিতে তীব্র ব্যথায় ভোগেন। অবহেলা করলে এসব ব্যথা পরবর্তীতে বড় কোনো শারীরিক সমস্যায় রূপ নিতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া জরুরি।
চলুন জেনে নিই, কেন হিল পরলে ব্যথা হয় এবং কীভাবে মিলতে পারে সমাধান।
কেন হিল পরলে ব্যথা হয়?
হাই হিল পরলে শরীরের স্বাভাবিক ভঙ্গি বদলে যায়। পায়ের ভর ঠিকমতো ভাগ না হওয়ায় পায়ের পাতা, গোড়ালি ও হাঁটুর উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এছাড়া, শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কোমরের পেশিগুলোর ওপর অতিরিক্ত টান পড়ে। এর ফলে দীর্ঘ সময় হিল পরলে কোমর এবং গোড়ালিতে ব্যথা অনুভূত হয়। দীর্ঘমেয়াদে এটি মেরুদণ্ডের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
সমাধান কী?
১. সঠিক উচ্চতার হিল বাছুন:
খুব বেশি উঁচু হিল পরার পরিবর্তে মাঝারি (১-২ ইঞ্চি) উচ্চতার হিল বেছে নিন। এটি স্টাইলের সঙ্গে আরামও বজায় রাখবে।
২. সাপোর্টিভ জুতা পরুন:
হিলের পাশাপাশি এমন জুতা নির্বাচন করুন, যাতে পায়ের পাতায় ভালো সাপোর্ট মেলে। কুশনযুক্ত ইনসোল বা আরচ সাপোর্টযুক্ত জুতা ব্যবহার করা উপকারী।
৩. হিল পরার সময়সীমা সীমিত করুন:
টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা হিল না পরে, প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে জুতা খুলে পা বিশ্রাম দিন। অফিসে গেলে ব্যাগে একটি কমফোর্টেবল স্যান্ডেল রাখুন, প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করুন।
৪. ব্যায়াম করুন:
পায়ের পেশি শক্তিশালী করতে নিয়মিত স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে গোড়ালি, হাঁটু ও কোমরের পেশি সুরক্ষায় বিশেষ কিছু ব্যায়াম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী করতে পারেন।
৫. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন:
যদি ব্যথা দীর্ঘমেয়াদে থাকে বা তীব্র হয়, দ্রুত একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। সঠিক চিকিৎসায় বড় কোনো জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
স্টাইল ও স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য রাখা জরুরি। সাময়িক ফ্যাশনের জন্য যদি শরীরের স্থায়ী ক্ষতি হয়, তাহলে তা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সঠিকভাবে হিল ব্যবহার করে নিজেকে সুন্দর রাখার পাশাপাশি সুস্থও রাখা সম্ভব।
নুসরাত