
চিনি আসলে কী?
চিনি একটি প্রকারের কার্বোহাইড্রেট যা খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনে। এটি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে—কিছু প্রাকৃতিক, যেমন ফল বা দুধে থাকা চিনি; আর কিছু প্রক্রিয়াজাত, যেমন চিনি (সুক্রোজ), সিরাপ বা অন্যান্য মিষ্টিজাত উপাদান।
চিনির ধরণ – প্রাকৃতিক বনাম যোগ করা চিনি
প্রাকৃতিক চিনির মধ্যে রয়েছে ফ্রুকটোজ (ফলে), ল্যাকটোজ (দুধে), এবং গ্লুকোজ (দেহের শক্তির জ্বালানি)। অন্যদিকে, যোগ করা চিনি—যেমন টেবিল সুগার বা কর্ন সিরাপ—প্রক্রিয়াজাত এবং সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা প্যাকেটজাত খাদ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত চিনি কেন ক্ষতিকর?
অতিরিক্ত চিনি খেলে ওজন বাড়ে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং লিভারে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, দাঁতের ক্ষয়, অতিরিক্ত খিদে এবং অপুষ্টির ঝুঁকি বাড়ে, কারণ এইসব চিনিযুক্ত খাবারে প্রোটিন বা ফাইবারের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান কম থাকে।
কতটুকু চিনি খাওয়া নিরাপদ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, দৈনিক ক্যালোরির ১০% এর কম হওয়া উচিত যোগ করা চিনির পরিমাণ—আদর্শভাবে ৫%। এটি দিনে প্রায় ৬ চা চামচ চিনির সমান। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ নিজের অজান্তেই এর চেয়ে অনেক বেশি চিনি খেয়ে ফেলেন।
গোপনে থাকা চিনির উৎস
চিনি অনেক সময় এমন খাবারে লুকিয়ে থাকে যেগুলো আমরা সন্দেহই করি না—যেমন ফ্লেভারযুক্ত দই, সস, সিরিয়াল বা প্রোটিন বার। তাই প্যাকেটের গায়ে ‘দেক্সট্রোজ’, ‘মালটোজ’ ইত্যাদি নামে লুকানো চিনি শনাক্ত করা জরুরি।
চিনি কমানোর কিছু সহজ উপায়
• প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
• ফল বা দারুচিনি দিয়ে খাবার মিষ্টি করুন
• সম্পূর্ণ খাবার বেছে নিন
• যাঁরা খেলাধুলা করেন তাঁদের জন্য বাড়তি চিনি লাগতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কম চিনি মানেই ভালো স্বাস্থ্য।
অতিরিক্ত চিনি নানা রোগের মূল কারণ। তাই পরিমিত চিনি গ্রহণ, সঠিক খাদ্য নির্বাচন ও খাদ্য উপকরণের লেবেল পড়ার অভ্যাসই হতে পারে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
রাজু