ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

শিশুর খারাপ আচরণ পাল্টে যাবে আজ থেকেই—শুধু মানুন এই ১০টি নিয়ম!

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

শিশুর খারাপ আচরণ পাল্টে যাবে আজ থেকেই—শুধু মানুন এই ১০টি নিয়ম!

ছবি: সংগৃহীত।

শিশু শাসনের কথা উঠলেই অনেক বাবা-মা মনে করেন কড়াকড়ি না করলে সন্তান বেয়াড়া হয়ে উঠবে। কিন্তু আধুনিক শিশু মনোবিজ্ঞান বলছে, শাসনের অর্থ শারীরিক বা মানসিক কঠোরতা নয়, বরং ভালবাসা ও সহানুভূতির মাধ্যমে শেখানো। শিশুকে নম্রভাবে শাসন করলে সে শুধু নিয়ম-কানুনই শেখে না, বরং বাবা-মায়ের সঙ্গে গড়ে তোলে এক গভীর সম্পর্কের বন্ধন।

নিচে এমন ১০টি নম্র ও কার্যকরী উপায় তুলে ধরা হলো, যা শিশুর শৃঙ্খলা গঠনে সহায়ক হবে—দমন নয়, উন্নয়নের পথ দেখাবে।

১. ইতিবাচক ভাষা ব্যবহার করুন
“এটা কোরো না” বলার বদলে বলুন “চলো আমরা এটা করি।” শিশুকে নির্দেশ নয়, প্রস্তাবের মাধ্যমে শেখানো অনেক বেশি কার্যকর।

২. বিরতির সুযোগ দিন
অল্প সময়ের জন্য শিশুকে আলাদা রেখে তাকে নিজের আচরণ বোঝার সুযোগ দিন। এটা শাস্তি নয়, বরং আত্মবিশ্লেষণের সময়।

৩. শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন
চোখের যোগাযোগ শিশুকে গুরুত্ব দেওয়ার অনুভূতি দেয় এবং তার মনোযোগ ধরে রাখে।

৪. আচরণের পরিবর্তে শিশুকে ভালোবাসুন
“তুমি খারাপ” বলবেন না, বরং বলুন “তোমার এই কাজটা ভালো ছিল না।” এতে আত্মসম্মানে আঘাত না লেগে ভুল শুধরানোর সুযোগ তৈরি হয়।

৫. রুটিন তৈরি করুন
নিয়মিত ঘুম, খাওয়া, খেলা ও পড়ার সময় থাকলে শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলা সহজে গড়ে ওঠে।

৬. বিকল্প দিন
“না” বলার বদলে বিকল্প দিয়ে বলুন, যেমন—“এটা ভাঙার বদলে চল এটা নিয়ে খেলি।”

৭. শুনুন, তারপর প্রতিক্রিয়া দিন
শিশু কেন রেগে গেল বা বাজে আচরণ করল—তা বোঝার চেষ্টা করুন। শোনা শিশুকে নিরাপত্তা ও ভালোবাসার অনুভব করায়।

৮. অনুকরণীয় হোন
আপনি যেমন আচরণ করবেন, শিশুও তাই শিখবে। নিজেই ভালো উদাহরণ হয়ে উঠুন।

৯. ছোট অর্জনে উৎসাহ দিন
শিশু যখন ভালো কিছু করে, তখন তার প্রশংসা করুন। এতে সে ইতিবাচক আচরণে উৎসাহিত হয়।

১০. ধৈর্য ধরুন
শিশু বড় হচ্ছে, ভুল করবেই। ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা শাসনের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি।

শিশুদের আচরণ শুধরে দিতে কেবল শাসনের নয়, বরং বোঝার প্রয়োজন। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুললে, তারা নিজেরাই শৃঙ্খলার মূল্য বুঝে নিতে শুরু করে। নম্র কণ্ঠে বলা প্রতিটি কথা, ছোট ছোট দৃষ্টান্ত—তাদের মন ও আচরণ গঠনে রাখে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব।

নুসরাত

×