
ছবি: প্রতিকী
টমেটো কেবল সালাদ বা রান্নায় রঙ ও স্বাদ আনে না, বরং এটি একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে, যা আমাদের শরীর ও মনের সার্বিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে বিজ্ঞানসম্মত কিছু চমকপ্রদ উপকারিতার কথা তুলে ধরা হলো—
১. বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে
টমেটোতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা ধোঁয়া ও দূষণজনিত ক্ষতিকর উপাদান নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
২. ঘুমের উন্নতি ঘটায়
এতে থাকা মেলাটোনিন প্রি-কার্সার ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরের ঘুম-জাগরণ চক্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, রাতের ঘুমে বিশ্রাম বাড়ায়।
৩. বার্ধক্যের প্রভাব কমায়
লাইকোপেন ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টেলোমিয়ার সংক্ষিপ্ত হওয়ার হার হ্রাস করে, যা বার্ধক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।
৪. রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে
টমেটোর বীজের নির্যাসে থাকা উপাদান প্লেটলেট জমাট বাঁধার হার কমায়, ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
৫. শ্রবণশক্তি রক্ষা করে
এতে থাকা পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বয়সজনিত শ্রবণশক্তি হ্রাস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
৬. শরীরে ভারী ধাতুর শোষণ কমায়
টমেটোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সীসা বা ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর ধাতুর সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে শরীরে শোষণ কমাতে সহায়তা করে।
৭. মস্তিষ্কে প্রদাহ কমায়
লাইকোপেন মস্তিষ্কের প্রদাহ হ্রাসে ভূমিকা রাখে, যা উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
৮. ক্ষত দ্রুত সারায়
টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন সি ও কে, যা শরীরে কোলাজেন তৈরি করে ক্ষত স্থান দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে।
৯. প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে
টমেটোর খোসার অবিচার্য আঁশ অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাবার হিসেবে কাজ করে, যা হজমশক্তি ও মাইক্রোবায়োম উন্নত করে।
১০. হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে
লাইকোপেন ও অন্যান্য ফাইটোপুষ্টি এস্ট্রোজেন বিপাকে ভূমিকা রেখে মেজাজের ওঠানামা ও ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ কমায়।
টমেটো শুধু রান্নার উপাদান নয়, বরং প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি রাখলে আপনি পেতে পারেন শরীর ও মনের জন্য বহু স্বাস্থ্যকর সুবিধা। তাই বলাই যায়—প্রতিদিন একটি টমেটো, সুস্থ জীবনের পথে এক ধাপ এগিয়ে।
সূত্র:https://www.moneycontrol.com/health-and-fitness/10-health-benefits-of-tomatoes-more-than-a-vitamin-superfood-visual-story-2987765.html
রবিউল হাসান