ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

জেনে নিন একটি ‘সুখী দিন’ কাটাতে কোন কাজে কত সময় দেবেন

প্রকাশিত: ০২:৫৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০২:৫৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

জেনে নিন একটি ‘সুখী দিন’ কাটাতে কোন কাজে কত সময় দেবেন

ছবি: প্রতিকী

সুখী দিন মানে ঠিকঠাক অনুপাতে সময় ভাগ করাএকটু কাজ, প্রচুর ভালোবাসা আর শারীরিক তৎপরতা।

আপনি চাইলে আজই চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই রুটিন। এটি শুধুমাত্র প্রোডাক্টিভিটি বা কাজের দক্ষতা নয়, বরং মানসিক শান্তি ভালো লাগা নিয়েই তৈরি।

সুখী দিনের জন্য বৈজ্ঞানিক মাপকাঠি কী বলছে?

একটিআদর্শ দিনহতে পারে এমন:

  • ঘণ্টা পরিবারের সাথে সময় কাটানো
  • ঘণ্টা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে আড্ডা
  • . ঘণ্টা সাধারণ সামাজিক যোগাযোগ
  • ঘণ্টা ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত
  • ঘণ্টা খাবার পানীয় উপভোগ
  • ঘণ্টা অর্থবহ কাজ বা প্রোডাকটিভ অ্যাক্টিভিটি
  • ১৫ মিনিটের কম যাতায়াত
  • ঘণ্টার কম স্ক্রিন টাইম (মোবাইল/টিভি/কম্পিউটার)

সামাজিক সম্পর্ক: সুখের মূল চাবিকাঠি

গবেষণা বলছেসারাদিনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে পরিবার বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়।

পরিবারের সাথে ঘণ্টা সময় কাটানোকে ধরা হয়েছেপারফেক্ট ডে’-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

বন্ধুদের সাথে অন্তত ঘণ্টা আড্ডা আপনাকেহ্যাপিনেস বুস্টদেয়এমনকি গবেষকরা বলেন, এটাএকটি অফুরন্ত আনন্দের ঝর্ণাধারা

তবে অতিরিক্ত ছোটখাটো সামাজিক যোগাযোগ (যেমন পরিচিতদের সাথে কথা বলা) ঘণ্টার পর থেকে আর তেমন সুখ বাড়ায় না।

রান্নার উপমায় বললে:

  • পরিবার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সময় = চকলেট চিপসযত বেশি, তত মজাদার!
  • সাধারণ আড্ডা = লবণঅল্প হলেও চলবে, বেশি হলে স্বাদ নষ্ট।

কাজ হোক, তবে সীমায়

ফর্মুলা অনুযায়ী ঘণ্টা কাজ করাই যথেষ্ট।
ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে দিনের শেষে মানুষটিপিক্যাল বা নীচের দিকেরদিন হিসেবে রেট করে।

গবেষকরা বলছেন, ছোট পরিসরের অর্থবহ কাজ (যা উদ্দেশ্য বা অর্জনের অনুভূতি দেয়) মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শরীরচর্চা: মেজাজ ভালো রাখার জাদুকাঠি

প্রতিদিন ঘণ্টা ব্যায়াম বা যে কোনো ধরনের শারীরিক কসরতগবেষণায় দেখা গেছে এটি আনন্দ বাড়ায়।

জিম, হাঁটা, খেলাধুলাযেকোনো কিছুই হতে পারে, শুধু নিয়মিত হলেই হয়।

ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যায়ামে মেজাজ আরও ভালো হয়, তবে তার চেয়ে বেশি করলে আর অতটা বাড়তি উপকার মেলে না।

 

একটু অবাক করা হলেও সত্যিবেশি স্ক্রিন টাইম (টিভি, ফোন) দিনকে আরও খারাপ করে তোলে।

প্রতিদিন ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন-ভিত্তিকচিল টাইমথাকলে সেটিপারফেক্ট ডেথেকে দূরে সরিয়ে নেয়।

তবে ঘুম বাদ- ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্যই!

চিকিৎসকদের মতে, ১৫ মিনিটের ছোট যাতায়াত মানসিকভাবে ভালো প্রভাব ফেলে। তবে লম্বা যাত্রা মানে স্ট্রেস, ক্লান্তি, আর সময় নষ্ট।

গৃহস্থালির কাজ, বাজার-সদাই এসবও আনন্দের উৎস নয়।
তবে এগুলো সময় বাঁচিয়ে বা সংগঠিতভাবে করলে সারা দিনে ভালো কিছুতে সময় বরাদ্দ করা সম্ভব হয়।

 

সূত্র: https://dmnews.com/nat-a-scientific-formula-for-the-perfect-day/

রবিউল হাসান

×