
ছবি: প্রতিকী
ওজন কমানো মানেই যে না খেয়ে থাকা বা কঠোর ডায়েট, তা কিন্তু নয়। সঠিক পরিকল্পনা ও অনুপ্রেরণায় এটি হতে পারে সহজ, কার্যকর এবং টেকসই। এবার দেখে নেওয়া যাক ওজন কমাতে কীভাবে কাজ করবেন এবং কোন কোন তারকাদের অভিজ্ঞতা আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।
১. পরিমিত ও সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
ওজন কমাতে প্রথম শর্ত হলো স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার। প্রচলিত ফ্যাড ডায়েট নয়, বরং প্রাধান্য দিন:
- প্রোটিনযুক্ত খাবার, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
- প্রচুর সবজি, যা ফাইবার ও ভিটামিনের উৎস।
- পরিশোধিত শর্করার বদলে খান পুরো শস্য।
- মিষ্টিজাত পানীয় ও স্ন্যাকস এড়িয়ে চলুন।
বিশ্বখ্যাত গায়িকা অ্যাডেল প্রায় ১০০ পাউন্ড ওজন কমিয়েছেন সুষম খাদ্য ও “Sirtfood” ডায়েট অনুসরণ করে, যা শরীরের নির্দিষ্ট প্রোটিন অ্যাকটিভ করে।
২. মজাদার ব্যায়ামকে সঙ্গী করুন
ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম অপরিহার্য। তবে কঠিন রুটিন নয়, বরং এমন কিছু বেছে নিন যা আপনি উপভোগ করেন। দ্রুত ফল পেতে:
- কার্ডিও (দৌড়, সাইক্লিং, সাঁতার)
- শক্তি বাড়ানোর ট্রেনিং
- দলবদ্ধ খেলাধুলা বা গ্রুপ ক্লাস
অভিনেত্রী রেবেল উইলসন প্রতিদিন হাঁটা ও HIIT এক্সারসাইজে মনোযোগ দিয়ে প্রায় ৭০ পাউন্ড ওজন কমিয়েছেন। ব্যায়ামকে উপভোগ করার কথাই তিনি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
৩. নিয়মিত রুটিন মেনে চলুন
দ্রুত ফল পেতে হলে প্রতিদিন নিয়ম মেনে চলাই মূল চাবিকাঠি। এর মধ্যে থাকতে পারে:
- খাবার প্রস্তুতি
- নির্দিষ্ট সময়ের ব্যায়াম
- খাদ্য ও ব্যায়ামের হিসেব রাখা
‘গার্ডিয়ানস অফ দ্য গ্যালাক্সি’ সিনেমার জন্য ক্রিস প্র্যাট ৬ মাসে ৬০ পাউন্ড ওজন কমিয়েছেন নির্দিষ্ট ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে।
৪. মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিন
ওজন কমানো কেবল শারীরিক নয়, মানসিক লড়াইও বটে। আত্মবিশ্বাস, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও পজিটিভ মানসিকতা আপনাকে আবেগের বশে খাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
কান্ট্রি গায়িকা ত্রিশা ইয়ারউড ৩০ পাউন্ড ওজন কমিয়েছেন মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে। তিনি কখনোই চরম ডায়েটে যাননি।
৫. বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
দ্রুত ফলাফল পাওয়ার আশায় অতিরিক্ত প্রত্যাশা না করে, প্রতি সপ্তাহে ১-২ পাউন্ড কমানোর লক্ষ্য স্থির করুন। ধীরে ধীরে পরিবর্তনই স্থায়ী ফল দেয়।
অভিনেতা জোনাহ হিল ধাপে ধাপে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও বক্সিংকে নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করে ওজন কমিয়েছেন।
ওজন কমানো মানেই নিজেকে কষ্ট দেয়া নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হওয়া। তারকাদের সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনি নিজেও পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন—স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে, ধৈর্য ও অনুপ্রেরণায়।
সূত্র: https://best.ketofitlife.com/weight-loss-tips/?ref=https://create.usq.edu.au/awooll/best-time-to-drink-chia-seeds-for-weight-loss-morning-night-or-pre-meal/
রবিউল হাসান