
ছবিঃ সংগৃহীত
আজকের ডিজিটাল যুগে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন মোবাইল বা স্ক্রিনে খারাপ খবর, নেতিবাচক তথ্য দেখেই। এই আচরণকে বলা হয় ডুমস্ক্রলিং। এটি শুধু সময় নষ্ট করে না, মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও ফেলে নেতিবাচক প্রভাব।
মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী, যাঁদের জীবনে স্ক্রিনের বাইরে কোনো বাস্তব শখ নেই, তাদের মধ্যে দেখা যায় কিছু সাধারণ অভ্যাস। নিচে সেই সাধারণ অভ্যাস তুলে ধরা হলো।
অবিরাম স্ক্রল করা
কাজের বা আনন্দের জন্য নয়, কেবল অভ্যাসবশত খারাপ খবর বা কনটেন্ট স্ক্রল করে যাওয়া। এটি মনকে অবসন্ন ও নেতিবাচক করে তোলে।
আর পাঁচ মিনিট
নিজেকে বোঝানো, আর পাঁচ মিনিট দেখেই ফোন রাখব — কিন্তু ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, সময় চলে যায়। এই অভ্যাস ব্রেইনের পুরস্কার-প্রাপ্তির চক্রে আটকে ফেলে।
বর্তমানকে অবহেলা
চারপাশের মানুষ বা প্রকৃতির বদলে মন পড়ে থাকে স্ক্রিনে। এখনকার মুহূর্ত উপভোগ করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়।
ঘুমের ব্যাঘাত
রাতে ঘুমানোর আগে বা ঘুম ভেঙেই স্ক্রল করার অভ্যাস ঘুমের মান নষ্ট করে, ফলে শরীর ও মনের ক্ষতি হয়।
অসন্তুষ্টি ও মানসিক চাপ
নেগেটিভ কনটেন্ট বেশি দেখার ফলে মনের মধ্যে অজানা ভয়, দুশ্চিন্তা বা হতাশা তৈরি হয়।
সৃজনশীলতা হারিয়ে যাওয়া
ডুমস্ক্রলিংয়ের ফলে মস্তিষ্কে নতুন কিছু শেখার বা সৃজনশীল কিছু করার আগ্রহ কমে যায়।
অলসতা ও সিদ্ধান্তহীনতা
যাদের বাস্তবে কোনো শখ নেই, তারা সহজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, কোনো কিছু শুরু করাও তাদের কঠিন মনে হয়।
যে কোনো সময়েই আপনি এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। বাস্তব শখ যেমন বই পড়া, ছবি আঁকা, হাঁটা বা বাগান করা মন ও শরীর দুইয়েরই উপকার করে। তাই স্ক্রল বন্ধ করুন, জীবন খুঁজে নিন।
সূত্রঃ হ্যাকস্পিরিট
আরশি