
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই মনে করেন, কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি। তবে একজন লেখক ও একক মায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে—নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে এগোনো বরং ক্লান্তি ও বার্নআউটের দিকে ঠেলে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে সাফল্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। সে অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি নিজের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন এনেছেন পাঁচটি অভ্যাসের মাধ্যমে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো—
১. কাজের গুরুত্ব বুঝে অগ্রাধিকার নির্ধারণ
সব অনুরোধ বা কাজের প্রতি 'হ্যাঁ' বলার প্রবণতা ত্যাগ করে তিনি বেছে নিয়েছেন শুধুমাত্র সেসব কাজ, যা সত্যিকার অর্থে প্রভাব বিস্তার করে। এতে সময়, শক্তি এবং মানসিক স্থিতি—তিনটিই সাশ্রয় হয়েছে।
২. নিখুঁত না হলেও যথাযথ—এই মানসিকতা গ্রহণ
অতিরিক্ত পারফেকশনিজম যে বার্নআউটের অন্যতম কারণ, তা উপলব্ধি করে তিনি 'যথাসময়ে ভালো কাজ প্রদান'কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এতে কাজের গতি যেমন বেড়েছে, তেমনি মানসিক চাপও হ্রাস পেয়েছে।
৩. আত্ম-যত্নকে অগ্রাধিকার দেওয়া
নিজের যত্নকে আর বিলাসিতা হিসেবে দেখেন না তিনি; বরং এটি জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। দৈনন্দিন রুটিনে নির্দিষ্টভাবে সময় বরাদ্দ করেছেন বিশ্রাম, পছন্দের কাজ অথবা মানসিক প্রশান্তির জন্য।
৪. এক সময়ে একটিই কাজে সম্পূর্ণ মনোযোগ
মাল্টিটাস্কিংয়ের বদলে এককভাবে একটি কাজ শেষ করার অভ্যাস গড়ে তোলায় তার কাজের মান উন্নত হয়েছে, এবং সময় ব্যবস্থাপনাও হয়েছে আরও কার্যকর।
৫. ধাপে ধাপে অগ্রগতিকে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ
সাফল্যের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ না করে ধৈর্য ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় বিশ্বাস স্থাপন করেছেন তিনি। এতে মানসিক চাপ কমেছে এবং লক্ষ্য অর্জনও হয়েছে অনেক বেশি স্থায়ীভাবে।
এই পাঁচটি অভ্যাস তার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য এনে দিয়েছে। বার্নআউট নয়, সচেতন অভ্যাস ও পরিকল্পিত জীবনযাপনই হতে পারে টেকসই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
সূত্র: https://dmnews.com/mal-5-habits-that-finally-helped-me-succeed-without-burning-out/
আবীর