
ছবিঃ সংগৃহীত
যে প্রজন্ম প্রাক-ডিজিটাল যুগে তাদের কর্মজীবন শুরু করেছে, তাদের মুখে কিছু পুরোনো প্রবাদ বাক্য এখনকার তরুণদের মাঝে অস্বস্তি তৈরি করে। এই বাক্যগুলো শুনলে মনে হয়, যেনীই সময়ের তরুণদের অলস, অযোগ্য বা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বলা হচ্ছে।
নিচে এমন নয়টি পরিচিত বাক্যের তালিকা দেওয়া হলো, যা বুমাররা প্রায়ই বলেন এবং সেগুলো আশেপাশের মানুষকে বিরক্ত করে।
‘আমাদের সময়…’
পুরনো দিনের গল্প দিয়ে বর্তমানকে ছোট করা হয়, এতে করে তরুণদের অভিজ্ঞতা অগ্রাহ্য হয়।
‘আজকালকার ছেলেমেয়েরা পরিশ্রমের মূল্য জানে না’
এই বাক্য তরুণদের পরিশ্রমকে অস্বীকার করে, যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করছ।
‘তোমার বয়সে আমি বাড়ি কিনে ফেলেছিলাম’
আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা উপেক্ষা করে এই মন্তব্য তরুণদের ব্যর্থ মনে করায়।
‘কারণ আমি বলেছি তাই’এই একতরফা সিদ্ধান্ত বিশ্বাসহীনতা সৃষ্টি করে, প্রশ্নের জায়গা বন্ধ করে দেয়।
‘এটাই নিয়ম’
পরিবর্তন ও উদ্ভাবনের পথ রুদ্ধ করে দেয়, যা কোনো তরুণের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর।
‘তোমরা তো সবকিছুই সহজে পাচ্ছ’
এই বাক্য প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি যে মানসিক চাপ আসে তা অস্বীকার করে।
‘টাকা গাছে ধরে না’
অভাবের মধ্যেও যারা খরচ নিয়ন্ত্রণ করে চলছে, তাদের প্রতি অবজ্ঞাসূচক এই বাক্য ।
‘যেটা চলছে, সেটা ঠিক আছে’
এই ধরনের উক্তি বা বাক্য উন্নতির সুযোগকে অস্বীকার করে।
‘আমাদের সময় পুরস্কার না পেয়েও খুশি থাকতে হতো’
আত্মসম্মান ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইতিবাচক আলোচনার পরিবর্তে উপহাস করা হয় এই বাক্যের মাধ্যমে।
এই সব কথাবার্তা আসলে দূরত্ব তৈরি করে, সম্পর্ক নয়। যদি আমরা সত্যিই প্রজন্মের ব্যবধান দূর করতে চাই, তাহলে দরকার সম্মান, কৌতূহল ও পরিবর্তনের ইচ্ছা।
সূত্রঃ গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং
আরশি