ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

যেসব অভ্যাস শিশুদের উচ্চ নম্বর পেতে সহায়তা করে!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

যেসব অভ্যাস শিশুদের উচ্চ নম্বর পেতে সহায়তা করে!

ছবি: সংগৃহীত

কোন শিশু কেন সবসময় ভালো ফল করে, এই প্রশ্ন অনেক অভিভাবকের মনে। সাধারণভাবে মনে করা হয়, যারা ভালো রেজাল্ট করে তারা স্বভাবতই মেধাবী। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একটু ভিন্ন। দেখা গেছে, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর পেছনে কিছু সহজ। কিন্তু কার্যকর অভ্যাস কাজ করে। যা তাদের মনোযোগ, শেখার আগ্রহ ও শৃঙ্খলাবোধ গড়ে তোলে।

নিয়মিত রুটিনে চলে: ভালো ফল করা শিশুরা সাধারণত নির্দিষ্ট একটি দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলে। ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া, খেলা, পড়াশোনা ও ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় থাকে তাদের। এই নিয়মিত রুটিন তাদের মনে শৃঙ্খলা আনে এবং মস্তিষ্ককে স্থির রাখে, যা শেখার জন্য সহায়ক।

প্রশ্ন করতে ভয় পায় না: যারা ভালো নম্বর পায়, তারা ‘কেন’ ও ‘কিভাবে’ প্রশ্ন করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তা সে শ্রেণিকক্ষে হোক বা বাসায়। এ ধরনের প্রশ্ন করার প্রবণতা বলে দেয়, তারা শুধু মুখস্থ করছে না, বরং বোঝার চেষ্টা করছে। শিক্ষকরা এমন শিক্ষার্থীদের মনে রাখেন এবং তাদের আরও উৎসাহ দেন।

প্রতিদিন একটু হলেও পুনরায় পড়ে: উচ্চ নম্বর পাওয়া শিশুরা প্রতিদিন স্কুলে শেখা বিষয়গুলো কয়েক মিনিটের জন্য হলেও পুনরায় পড়ে। এতে শেখা বিষয়গুলো দীর্ঘমেয়াদে মনে থাকে। ছোট এই অভ্যাসটি সময়ের সঙ্গে বড় ফল বয়ে আনে।

ভালোভাবে ঘুমায়:  যেসব শিশু নিয়মিত ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমায়, তাদের মনোযোগ ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বেশি থাকে। ঘুম মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে এবং মানসিক চাপ সামলাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পরীক্ষার সময়।

পাঠ্যবইয়ের বাইরে পড়ে: অনেক মেধাবী শিশু গল্পের বই, বিজ্ঞান সাময়িকী বা নানা বিষয়ভিত্তিক লেখাপত্র পড়ে। এতে তাদের সাধারণ জ্ঞান বাড়ে, ভাষা চর্চা হয় এবং লেখালেখি বা বক্তৃতায় দক্ষতা আসে। তারা বেশি কৌতূহলী হয় এবং নতুন কিছু শেখার আগ্রহ জাগে।

পড়ার সময় একাগ্র থাকে:  শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা সাধারণত পড়ার সময় মোবাইল বা টিভি থেকে দূরে থাকে। নিরিবিলি পরিবেশে পড়াশোনা করলে মনোযোগ বাড়ে, কাজ দ্রুত শেষ হয় এবং ভালোভাবে মনে থাকে। দীর্ঘ সময় নয়, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পড়াশোনা এটাই মূল চাবিকাঠি।

ভুল থেকে শেখে, ভয় পায় না:  ভুল করলে তারা দমে না যায়, বরং ভুলটা কোথায় হয়েছে তা খুঁজে বের করে। পরীক্ষার খাতা দেখে, শিক্ষকের মতামত নেয়, এবং ভুল সংশোধনের চেষ্টা করে। এটাই ‘গ্রোথ মাইন্ডসেট’ যেখানে ব্যর্থতাকে শেখার অংশ হিসেবে দেখা হয়।

ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে: ‘আমি প্রথম হব’ বলার বদলে তারা ভাবে, ‘আজকের অধ্যায়টা শেষ করি’। এভাবে ছোট ছোট লক্ষ্য সহজে পূরণ হয় এবং সাফল্যের অনুভূতি দেয়। দিন শেষে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলোর ফলই বড় হয়ে ওঠে।

শহীদ

×